কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় রিমালে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফসলের খেত, মাছের ঘের, পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় কেউ কেউ পরিবার-পরিজন ও গবাদি পশু নিয়ে অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থানে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিয়েছেন। এই রিপোর্ট লেখার সময় সকাল সাড়ে দশটায় থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন।
অনেক গাছপালা উপড়ে অভ্যন্তরীণ সড়কযোগাযোগ বন্ধ হওয়ার উপক্রম। তাই বৃষ্টি উপেক্ষা করে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা সড়ক থেকে গাছপালা অপসারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিদ্যুৎ ও মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সমগ্র উপজেলায়। কলাপাড়া পৌর শহরের নাগরিকেরা পানি পাচ্ছে না গত তিন দিন ধরে।
এদিকে দুর্গতদের খোঁজখবর নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলাপাড়ায় আসতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম।
এ ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে কিছু গ্রাম। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার অন্তত ৩০ হাজার মানুষ তাদের জীবন রক্ষায় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিলেও অনাগত ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে শুকনো ও রান্না করা খাবার দুর্গত এসব মানুষের মধ্যে সরবরাহ করলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা কম।
এর আগে উপজেলার কাউয়ারচর এলাকায় গত রোববার দুপুরে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ডুবে মো. শরীফ (২৪) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মো. শরীফ অনন্তপাড়া এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে কলাপাড়ায় দুর্গত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৫ হাজার ১৩০। ১৪০টি বাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৬২০টি। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে দুর্গত মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এখনো দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরিতে দুই-এক দিন সময় লাগবে।
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, পাউবোর পূর্ব গৈয়াতলা, লেমুপাড়া, চম্পাপুর, মঞ্জুপাড়া, মুন্সিপাড়া, নিজামপুর, জালালপুর, ধূলাসার, বালিয়াতলী, দেবপুর, নাচনাপাড়া, বড় কলবাড়ী, খ্রিষ্টানপাড়া, চরান্ডা, চর মোন্তাজ, চালিতাবুনিয়া, বড় বাইশদিয়া বেড়িবাঁধের ২২টি স্পটে ৯ দশমিক ১৯ কিলোমিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, রিমালের তাণ্ডবে উপজেলার ২ হাজার ৪৬৫টি পুকুর এবং ৭৭৮টি ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে, প্রাথমিকভাবে মৎস্য খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৪ কোটি টাকা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপজেলার ২০ হাজার হেক্টর আবাদি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকের করলা, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স, পুঁইশাক, গিমা কলমিশাক, চিচিঙ্গা, শসা, কলা ও আমের বাগান।
কলাপাড়া দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা নিরূপণে কাজ চলমান রয়েছে। বন বিভাগ, কৃষি, শিক্ষা, এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে লিখিতভাবে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সার্বক্ষণিক তদারকিতে আমরা দুর্গত মানুষকে সহায়তা করে যাচ্ছি। ’
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা দুর্গত মানুষের জন্য ১৩০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৬ লাখ টাকা ও শুকনো খাবার বরাদ্দ পেয়েছি। চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়া যাবে। এ ছাড়া দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মো. মহিববুর রহমান সার্বক্ষণিক কলাপাড়ার দুর্গত মানুষের খোঁজ-খবর রাখছেন। দুর্গতদের খোঁজ-খবর নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কলাপাড়ায় আসতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফসলের খেত, মাছের ঘের, পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় কেউ কেউ পরিবার-পরিজন ও গবাদি পশু নিয়ে অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থানে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিয়েছেন। এই রিপোর্ট লেখার সময় সকাল সাড়ে দশটায় থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন।
অনেক গাছপালা উপড়ে অভ্যন্তরীণ সড়কযোগাযোগ বন্ধ হওয়ার উপক্রম। তাই বৃষ্টি উপেক্ষা করে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা সড়ক থেকে গাছপালা অপসারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিদ্যুৎ ও মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সমগ্র উপজেলায়। কলাপাড়া পৌর শহরের নাগরিকেরা পানি পাচ্ছে না গত তিন দিন ধরে।
এদিকে দুর্গতদের খোঁজখবর নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলাপাড়ায় আসতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম।
এ ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে কিছু গ্রাম। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার অন্তত ৩০ হাজার মানুষ তাদের জীবন রক্ষায় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিলেও অনাগত ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে শুকনো ও রান্না করা খাবার দুর্গত এসব মানুষের মধ্যে সরবরাহ করলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা কম।
এর আগে উপজেলার কাউয়ারচর এলাকায় গত রোববার দুপুরে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ডুবে মো. শরীফ (২৪) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মো. শরীফ অনন্তপাড়া এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে কলাপাড়ায় দুর্গত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৫ হাজার ১৩০। ১৪০টি বাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৬২০টি। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে দুর্গত মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এখনো দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরিতে দুই-এক দিন সময় লাগবে।
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, পাউবোর পূর্ব গৈয়াতলা, লেমুপাড়া, চম্পাপুর, মঞ্জুপাড়া, মুন্সিপাড়া, নিজামপুর, জালালপুর, ধূলাসার, বালিয়াতলী, দেবপুর, নাচনাপাড়া, বড় কলবাড়ী, খ্রিষ্টানপাড়া, চরান্ডা, চর মোন্তাজ, চালিতাবুনিয়া, বড় বাইশদিয়া বেড়িবাঁধের ২২টি স্পটে ৯ দশমিক ১৯ কিলোমিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, রিমালের তাণ্ডবে উপজেলার ২ হাজার ৪৬৫টি পুকুর এবং ৭৭৮টি ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে, প্রাথমিকভাবে মৎস্য খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৪ কোটি টাকা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপজেলার ২০ হাজার হেক্টর আবাদি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকের করলা, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স, পুঁইশাক, গিমা কলমিশাক, চিচিঙ্গা, শসা, কলা ও আমের বাগান।
কলাপাড়া দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা নিরূপণে কাজ চলমান রয়েছে। বন বিভাগ, কৃষি, শিক্ষা, এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে লিখিতভাবে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সার্বক্ষণিক তদারকিতে আমরা দুর্গত মানুষকে সহায়তা করে যাচ্ছি। ’
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা দুর্গত মানুষের জন্য ১৩০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৬ লাখ টাকা ও শুকনো খাবার বরাদ্দ পেয়েছি। চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়া যাবে। এ ছাড়া দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মো. মহিববুর রহমান সার্বক্ষণিক কলাপাড়ার দুর্গত মানুষের খোঁজ-খবর রাখছেন। দুর্গতদের খোঁজ-খবর নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কলাপাড়ায় আসতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যাত্রাবাড়ী থানার ২টি হত্যা মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
১২ মিনিট আগেক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর গুলশানের বাসায় তল্লাশির নামে তছনছ, ভাঙচুর ও লুটপাটের চেষ্টার ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে। ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকারই ‘তল্লাশি’ করতে জনগণকে উসকানি দিয়েছে।
২২ মিনিট আগেযশোর জেলার প্রথম নারী পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার রওনক জাহান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে...
৩৪ মিনিট আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে এক তরুণীকে (১৯) দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় করা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত দুজন হলেন টঙ্গী পূর্ব থানার মরকুন মাস্টারপাড়া...
৩৯ মিনিট আগে