পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ১৩টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কুয়াকাটার তাহেরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে
সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে তেমন কোনো ক্ষতি না হলেও ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে শতাধিক ঘের। নিঃস্ব হয়ে গেছেন অনেক ঘের চাষি। এর আগে সাতক্ষীরায় সপ্তাহ দু-এক আগের অতি বর্ষণে ৫ হাজার হেক্টর জমির ঘের ডুবে যায়। এতে ক্ষতি হয়েছিল ৬০ কোটি টাকার মাছ। পরে পানি শুকাতে না শুকাতে আবারও দানার প্রভাবে ভারী বর্ষণে
নর্থ ক্যারোলাইনা’স ওয়েদার অথোরিটি নামের প্রায় ৬ লাখ ফলোয়ারের একটি ফেসবুক পেজ চালান ইথান। পেজটিতে লাইকের সংখ্যা ৪ লাখ। ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর পেজটিতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ বর্তমানে উত্তর ওডিশা ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হতে পারে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এই সময়ের মধ্যে দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হওয়া বয়ে যেতে পারে...
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ কারণে আতঙ্কিত রাত পার করেছেন বাগেরহাটবাসী। তবে আশঙ্কাজনক আঘাত না হানায় যেন স্বস্তির সকাল পেলেন তাঁরা। আজ শুক্রবার সকাল থেকে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় স্বাভাবিক কাজে ফিরেছেন উপকূলের বাসিন্দারা।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় হয়ে ক্রমেই ভারতের স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে ‘দানা’। আবহবিদরা জানিয়েছেন, ওডিশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে ‘দানা’ আছড়ে পড়তে পারে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে। আছড়ে পড়ার সময় গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড় দানার অবস্থান ছিল উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন ওডিশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায়। মধ্যরাতেই প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। তবে দেশে এর প্রভাব খুব বেশি আশঙ্কাজনক না হলেও সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বলবৎ রয়েছে।
বরগুনার বেতাগীতে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে আশ্রাব আলী (৬১) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কিসমত ছোট মোকামিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানা উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে আরো অগ্রসর হয়ে আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পুরী ও সাগর দ্বীপের মাঝখান দিয়ে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। বাংলাদেশে আঘাত না হানলেও দক্ষিণ-পশ্চিমের ১৪টি জেলায় ২-৩ ফুট জলোচ্ছ্বাস ও ভারী বৃষ্টিসহ বেশকিছু প্রভাব পড়বে।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সঙ্গে সিপিপির ১৭৭টি ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুতসহ নৌ চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলাজুড়ে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে। দুপুরেও সূর্যের দেখা মেলেনি। বসতবাড়ি, গবাদিপশু ও মৎস্য ঘের নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
ভারতের পূর্ব উপকূলীয় রাজ্য ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে আঘাত হানতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা। পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে কলকাতার বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১৫ ঘণ্টার জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ২০০টির বেশি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ হয়েছে বিপুলসংখ্যক স্কুল; উপকূল থেকে প্রায় ১২ লাখ
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ প্রবল হয়ে উঠেছে। পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর সরে এসেছে। এটি পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্
পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ এ পরিণত হয়েছে। এটির ভারতের ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গ আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারতে আঘাত হানলেও বাংলাদেশের উপকূলেও প্রভাব থাকবে দানার।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে আবহাওয়া দপ্তরের ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দরে কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবে চলছে। আকাশও ভালো রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক।
কাজ শেষে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন দিনমজুর ময়নাল হোসেন। বললেন, ‘বৃষ্টি আসলে আর কী করার আছে। আমাদের ঝড়ই কী, আর বৃষ্টিই বা কী। কাজ করেই খেতে হবে। কাজ না করলে পেটে ভাত জুটবে না। তাই বৃষ্টিতে ভিজেই কাজ করলাম। এখন বাড়ি যাচ্ছি।’