বরগুনা প্রতিনিধি
‘৪০ বচ্ছর আগে মোর স্বামী মইর্যা গ্যাছে। এইহানে এট্টু ছাপড়া দিয়া ঘরের নাহান বানাইয়া পুতেরে লইয়া থাকি। ঝাড়–দারের কাজ কইর্যা যা পাই মায় পোলায় রাইন্দা বাইর্যা খাইতাম। এহন মোর হেই ঘরডুও ভাইঙ্গা হালাইছে। মোর পোলাডা লইয়া মুই এহন কুম্মে থাকমু?’ নিজের অবশেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে এসব বলছিলেন চল্লিশোর্ধ্ব নারী রোকেয়া।
আজ সোমবার বরগুনা সদর হাসপাতাল সংলগ্ন পুকুরপাড় এলাকায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের জমিতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করা হয়। এতে ওই এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। হঠাৎ এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করায় অনেকের আসবাবপত্রও ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবি।
স্থানীয়রা বলছে, প্রায় ৩০ বছর ধরে বরগুনা সদর হাসপাতাল সংলগ্ন পুকুরপাড় এলাকায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের জমিতে শতাধিক পরিবার বসবাস করে আসছে। এদের মধ্যে অনেকে এলাকা ছাড়লেও সবশেষ অর্ধশতাধিক পরিবার সেখানে ছোট ঘর তুলে বসবাস করত। মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছিল। সোমবার জেলা প্রশাসনের অভিযানে ওই পরিবারগুলোর শতাধিক মানুষ আশ্রয় হারিয়ে পথে বসেছে।
উচ্ছেদ অভিযানে গৃহহীন দিনমজুর সুখীরাম বলেন, ‘হারাদিন কাজ কাম কইর্যা যা পাই হেইয়া দিয়ে বউ-বাচ্চা নিয়ে কোনোভাবে চলতাম। সরকারি জমিতে ঘর উডাইয়া থাকতাম, হেই ঘরডাও আইজগ ভাইঙ্গা দেছে। বাসা ভাড়া নিয়ে থাহার সামর্থ্য নাই। হেইতে এহন খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিছি। সরকার লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে থাহার জাগা দেছে, আর মোগো মতো ছিন্নমূলদের উচ্ছেদ করেছে।’
ভুক্তভোগী রিকশাচালক জামাল হোসেন বলেন, ‘আমি গত ২৫-৩০ বছর ধরে এখানে বসবাস করছি। আমার আরও কোথাও জায়গা-জমি নেই। আমি এখন কোথায় থাকব? রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে। সরকার যেন আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে সেই দাবি জানাচ্ছি।’
বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ওই জমি সরকারের গণপূর্ত বিভাগের। তারা সম্প্রতি জমি দখলমুক্ত করতে আমাদের সহায়তা চেয়েছে। আমরা বিধি মোতাবেক সেখানে অভিযান চালিয়েছি। ছিন্নমূল বাসিন্দাদের থাকার জায়গা নেই এটা সত্য, কিন্তু আমাদেরও তো কিছু করার নেই। ক্ষতিগ্রস্তরা যদি আমাদের কাছে আবেদন করে তবে তাদের যাচাই বাছাই করে সরকারিভাবে আশ্রয়ের বিষয়টি আমরা দেখব।’
‘৪০ বচ্ছর আগে মোর স্বামী মইর্যা গ্যাছে। এইহানে এট্টু ছাপড়া দিয়া ঘরের নাহান বানাইয়া পুতেরে লইয়া থাকি। ঝাড়–দারের কাজ কইর্যা যা পাই মায় পোলায় রাইন্দা বাইর্যা খাইতাম। এহন মোর হেই ঘরডুও ভাইঙ্গা হালাইছে। মোর পোলাডা লইয়া মুই এহন কুম্মে থাকমু?’ নিজের অবশেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে এসব বলছিলেন চল্লিশোর্ধ্ব নারী রোকেয়া।
আজ সোমবার বরগুনা সদর হাসপাতাল সংলগ্ন পুকুরপাড় এলাকায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের জমিতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করা হয়। এতে ওই এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। হঠাৎ এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করায় অনেকের আসবাবপত্রও ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবি।
স্থানীয়রা বলছে, প্রায় ৩০ বছর ধরে বরগুনা সদর হাসপাতাল সংলগ্ন পুকুরপাড় এলাকায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের জমিতে শতাধিক পরিবার বসবাস করে আসছে। এদের মধ্যে অনেকে এলাকা ছাড়লেও সবশেষ অর্ধশতাধিক পরিবার সেখানে ছোট ঘর তুলে বসবাস করত। মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছিল। সোমবার জেলা প্রশাসনের অভিযানে ওই পরিবারগুলোর শতাধিক মানুষ আশ্রয় হারিয়ে পথে বসেছে।
উচ্ছেদ অভিযানে গৃহহীন দিনমজুর সুখীরাম বলেন, ‘হারাদিন কাজ কাম কইর্যা যা পাই হেইয়া দিয়ে বউ-বাচ্চা নিয়ে কোনোভাবে চলতাম। সরকারি জমিতে ঘর উডাইয়া থাকতাম, হেই ঘরডাও আইজগ ভাইঙ্গা দেছে। বাসা ভাড়া নিয়ে থাহার সামর্থ্য নাই। হেইতে এহন খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিছি। সরকার লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে থাহার জাগা দেছে, আর মোগো মতো ছিন্নমূলদের উচ্ছেদ করেছে।’
ভুক্তভোগী রিকশাচালক জামাল হোসেন বলেন, ‘আমি গত ২৫-৩০ বছর ধরে এখানে বসবাস করছি। আমার আরও কোথাও জায়গা-জমি নেই। আমি এখন কোথায় থাকব? রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে। সরকার যেন আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে সেই দাবি জানাচ্ছি।’
বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ওই জমি সরকারের গণপূর্ত বিভাগের। তারা সম্প্রতি জমি দখলমুক্ত করতে আমাদের সহায়তা চেয়েছে। আমরা বিধি মোতাবেক সেখানে অভিযান চালিয়েছি। ছিন্নমূল বাসিন্দাদের থাকার জায়গা নেই এটা সত্য, কিন্তু আমাদেরও তো কিছু করার নেই। ক্ষতিগ্রস্তরা যদি আমাদের কাছে আবেদন করে তবে তাদের যাচাই বাছাই করে সরকারিভাবে আশ্রয়ের বিষয়টি আমরা দেখব।’
‘মায়ের রক্তচাপ বেড়ে হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। উপায় না পেয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকাতে নিয়ে যাই। কারণ মায়ের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। তিন দিন সেখানে চিকিৎসা শেষে আবার মাদারীপুরে আসি। কিন্তু এই চিকিৎসা এখানেই...
১ ঘণ্টা আগেকেউ একা এসেছেন, কেউ পরিবার নিয়ে। কারও হাতে হালিমের বাটি, আবার কারও হাতে ছোলা ভুনা, পিঁয়াজু, বেগুনির প্যাকেট। সবাই ইফতারি কিনতে ভিড় জমিয়েছেন রাজধানীর বেইলি রোডে। পুরান ঢাকার চকবাজারের পর রকমারি ইফতার বাজার হিসেবে রাজধানীবাসীর অন্যতম পছন্দের জায়গা বেইলি রোড। প্রতিবছরের মতো এবার রমজানেও সুস্বাদু...
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ওরস আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে একটি কথিত মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা তোরণ ভাঙচুরসহ ওরস পণ্ড করে দেয়। গত সোমবার রাতে মাসকা বাজারসংলগ্ন ‘হজরত শাহ নেওয়াজ ফকির ওরফে ল্যাংটা পাগলার মাজারে’ স্থানীয় তৌহিদি জনতা লাঠি মিছিল নিয়ে হামলা করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত...
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর দক্ষিণখানে ওভারটাইমের টাকা কম দেওয়ায় ‘নিপা ফ্যাশন ওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড’ নামের একটি গার্মেন্টস ভাঙচুর করেছেন শ্রমিকেরা। এ সময় গার্মেন্টসটির ভেতরে থাকা ৫-৬টি প্রাইভেটকার ও দুটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে