দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার দেবিদ্বারে চোর সন্দেহে এক যুবককে মধ্যরাতে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তিনি বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তাঁকে চিকিৎসা বাবদ ১৫ হাজার টাকা দিয়ে এ ঘটনা দফারফার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, এখনো থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের পূর্ব নবীপুর গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. বশির মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার মো. আল মামুন ওই এলাকার আবদুল কাদের মিয়ার ছেলে। তাঁকে পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনেরা। আজ শুক্রবার পর্যন্ত তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে মারধরের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সালিস-বৈঠকে মামুনের চিকিৎসা বাবদ ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মামুনকে মোবাইল চোর সন্দেহে তাঁর নিজের ঘর থেকে তুলে নিয়ে যান কয়েক যুবক। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হাসানকে জানালে তিনি চেয়ারম্যান ও থানায় বিষয়টি জানান। তিনি মামুনকে মারধর না করে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বলেন এবং ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে যান তাঁকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসার জন্য। এর ফাঁকে চোর ধরার খবর পেয়ে উত্তেজিত এলাকাবাসী মামুনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে কিল-ঘুসি, রড, লাঠিসোঁটা, পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। পরে ইউপি সদস্য হাসান এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেন।
নির্যাতনের শিকার মো. আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কাঠমিস্ত্রির কাজ করি। দিন আনি দিন খাই। তারা রাতে আমার ঘরে এসে কোনো কিছু না বলেই জোর করে টেনেহিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়। আমি বারবার বলেছি চুরি করিনি; কিন্তু কেউ শোনেনি। তারা আমাকে মারধর করে আমার পুরো শরীর শেষ করে ফেলেছে। আমি আর কোনো কাজকর্ম করতে পারব না। চিকিৎসকেরা বলছেন আমাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে।’
আহত মামুনের মা জাহানারা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চোর সন্দেহে রাতে ঘর থেকে তুলে নিয়ে আমার ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছে। তারা প্লাস দিয়ে আমার ছেলের পায়ের নখগুলো তুলে ফেলছে। আমার ছেলে যদি কোনো অন্যায় করে থাকে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনের ব্যবস্থা নিত। কিন্তু গ্রামবাসী মিলে আমার ছেলের মাথা থেকে পা পর্যন্ত পিটিয়েছে।’
আহত মামুনের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। রাতে আমার স্বামীকে ঘরে থেকে তুলে নিয়ে চোর অপবাদ দিয়ে মারধর করল। তাঁকে বিনা দোষে রাতভর গাছের সঙ্গে বেঁধে বর্বর নির্যাতন করেছে। আমি এর বিচার চাই।’
অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য বশির মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামুন বিভিন্ন বাড়িতে চুরি করত। এমন কোনো বাড়ি নেই, যেখানে সে চুরি করে নাই। তাকে উত্তেজিত লোকজন পিটিয়েছে। আমার কিছু করার ছিল না।’
ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি স্থানীয় সালিসে মীমাংসা করা হয়েছে। তাঁরা দুই পক্ষই মেনে নিয়েছে। সাবেক মেম্বার বশির মিয়াকে ১৫ হাজার টাকা চিকিৎসা বাবদ দিতে বলা হয়েছে।’
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুমিল্লার দেবিদ্বারে চোর সন্দেহে এক যুবককে মধ্যরাতে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তিনি বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তাঁকে চিকিৎসা বাবদ ১৫ হাজার টাকা দিয়ে এ ঘটনা দফারফার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, এখনো থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের পূর্ব নবীপুর গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. বশির মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার মো. আল মামুন ওই এলাকার আবদুল কাদের মিয়ার ছেলে। তাঁকে পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনেরা। আজ শুক্রবার পর্যন্ত তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে মারধরের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সালিস-বৈঠকে মামুনের চিকিৎসা বাবদ ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মামুনকে মোবাইল চোর সন্দেহে তাঁর নিজের ঘর থেকে তুলে নিয়ে যান কয়েক যুবক। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হাসানকে জানালে তিনি চেয়ারম্যান ও থানায় বিষয়টি জানান। তিনি মামুনকে মারধর না করে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বলেন এবং ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে যান তাঁকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসার জন্য। এর ফাঁকে চোর ধরার খবর পেয়ে উত্তেজিত এলাকাবাসী মামুনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে কিল-ঘুসি, রড, লাঠিসোঁটা, পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। পরে ইউপি সদস্য হাসান এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেন।
নির্যাতনের শিকার মো. আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কাঠমিস্ত্রির কাজ করি। দিন আনি দিন খাই। তারা রাতে আমার ঘরে এসে কোনো কিছু না বলেই জোর করে টেনেহিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়। আমি বারবার বলেছি চুরি করিনি; কিন্তু কেউ শোনেনি। তারা আমাকে মারধর করে আমার পুরো শরীর শেষ করে ফেলেছে। আমি আর কোনো কাজকর্ম করতে পারব না। চিকিৎসকেরা বলছেন আমাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে।’
আহত মামুনের মা জাহানারা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চোর সন্দেহে রাতে ঘর থেকে তুলে নিয়ে আমার ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছে। তারা প্লাস দিয়ে আমার ছেলের পায়ের নখগুলো তুলে ফেলছে। আমার ছেলে যদি কোনো অন্যায় করে থাকে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনের ব্যবস্থা নিত। কিন্তু গ্রামবাসী মিলে আমার ছেলের মাথা থেকে পা পর্যন্ত পিটিয়েছে।’
আহত মামুনের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। রাতে আমার স্বামীকে ঘরে থেকে তুলে নিয়ে চোর অপবাদ দিয়ে মারধর করল। তাঁকে বিনা দোষে রাতভর গাছের সঙ্গে বেঁধে বর্বর নির্যাতন করেছে। আমি এর বিচার চাই।’
অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য বশির মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামুন বিভিন্ন বাড়িতে চুরি করত। এমন কোনো বাড়ি নেই, যেখানে সে চুরি করে নাই। তাকে উত্তেজিত লোকজন পিটিয়েছে। আমার কিছু করার ছিল না।’
ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি স্থানীয় সালিসে মীমাংসা করা হয়েছে। তাঁরা দুই পক্ষই মেনে নিয়েছে। সাবেক মেম্বার বশির মিয়াকে ১৫ হাজার টাকা চিকিৎসা বাবদ দিতে বলা হয়েছে।’
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৬ মিনিট আগেনুর নবী সরকার কালাইয়ের কিডনি বেচাকেনার দালাল চক্রের সদস্য। এ অপরাধে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কিডনি, অস্ত্র ও মানবপাচারসহ একাধিক মামলা চলমান।
৩১ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সরকার হবে। যেখানে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কিন্তু দুঃখজনক...
২ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত একটি সংলাপে খুলনার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ শনিবার...
২ ঘণ্টা আগে