কুবি প্রতিনিধি
দেশব্যাপী শিক্ষার্থী হত্যা, নিপীড়ন ও হয়রানির প্রতিবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অনেক শিক্ষক বাধার মুখে ঘোষিত মানববন্ধনে অংশ নিতে পারেননি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুবি ক্যাম্পাসে ওই মানববন্ধনে অংশ নিতে না পেরে তাঁরা ফিরে যান। পরে মাত্র ছয়জন শিক্ষকের অংশগ্রহণে ওই মানববন্ধন হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধনটি করা হয়। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম আনিছুল ইসলামের সঞ্চালনায় এই মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছয়জন শিক্ষক হলেন, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কামরুন নাহার শিলা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীমা নাসরিন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষক জয় রাজ বংশী ও বাংলা বিভাগের প্রভাষক গোলাম মাহমুদ পাভেল।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীমা নাসরিন বলেন, ‘আমরা আজ সবাই এখানে দাঁড়িয়েছি একটা বিচারহীন রাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য। শুধু নিজের মৌলিক অধিকার চাইতে গিয়ে যেভাবে শত শত শিক্ষার্থী, সাধারণ জনগণ সেখানে শিশু, কিশোর, তরুণ, যুবক, তাদের মেরে ফেলা হয়েছে, সেটা গণহত্যা। এই গণহত্যার মধ্য দিয়ে যা করা হয়েছে, সেটি একবারে নিজের যে ক্ষমতা সেটির চর্চা। যেটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। আমি এই নির্মম গণহত্যার বিচার চাই এবং তীব্র প্রতিবাদ করছি।’
শামীমা নাসরিন আরও বলেন, ‘এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, আমি কার কাছে বিচার চাচ্ছি। আমি রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে বিচার চাই না। কারণ এই যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, এটার সঙ্গে রাষ্ট্র প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। আমি বিচারকের কাছেও বিচার চাইতে যাব না। আমি বিচার চাই আমার দেশের সাধারণ জনগণের কাছে। তারা দেখেছে, তারা দেখছে, দেখবে এবং অবশ্যই তারা এর বিচার করবে। কারণ আমরা জানি, জনগণের বাণীই ঈশ্বরের বাণী এবং আপনি যদি ক্ষমতাকে ঈশ্বর মনে করে থাকেন, তাহলে সেটা হবে চরম ভুল। যা এখন হচ্ছে তা সামনেও হবে। এই অরাজকতা, এই বিচারবিহীন রাজনীতি এবং হত্যাযজ্ঞের বিপরীতে আমাদের দাঁড়াতে হবে। হয়তো আমাদের ক্ষতি হতে পারে কিন্তু যা হওয়ার হয়ে গেছে। আমরা সকলে দাঁড়াব একে একে দাঁড়াব, দুইয়ে দুইয়ে দাঁড়াব, দশে দশে দাঁড়াব।’
বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও গত ১৮ জুলাই কোটবাড়ী বিশ্বরোডে পুলিশের গুলিতে আহত সারাফ সামির জামান মেঘের মা ড. কামরুন নাহার শিলা বলেন, ‘আমার সন্তানও আহত হয়েছে। আমি সে কারণে আসিনি। শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের ওপর যে নিপীড়ন শিক্ষার্থীদের হত্যা এ বিষয়ে সকল শিক্ষকের মতো আমিও মর্মাহত ছিলাম। আমাদের আরও আগেই নামা উচিত ছিল। আমরা আসলে লজ্জিত। আমার নিজের জীবনে যেহেতু একটা দুর্বিপাক ঘটে গেছে, এ কারণে আমি আগে পদক্ষেপ নিতে পারিনি। আমার ছেলে আহত হয়েছে। আমার ছেলে মারাও যেতে পারত। সেদিন বুঝতে পেরেছি এত এত শিক্ষার্থীর পরিবার কি মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে আছে। আমার ছেলে ছোট, তাকে টার্গেট করে গুলি করা হয়েছে। আমরা দেখেছি নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর কীভাবে টার্গেট করে গুলি করা হয়েছে। এই যে একটা নৈরাজ্য অবস্থা তৈরি হয়েছে, তার দ্রুত নিরসন চাই আমরা।’
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার ব্যাপারে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হল ভূঁইয়া বলেন, ‘কর্মসূচিটি সকাল ১১টায় করার কথা থাকলেও আমরা করতে পারিনি। আমাদের অনেক সহকর্মীকে আটকে দেওয়া হয়েছে কোটবাড়ী। তাঁরা শিক্ষক পরিচয় দিয়েও তাঁদের কর্মস্থলে আসতে পারেননি। প্রক্টরকে জানানো হলেও আসতে দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা তাঁদের ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন না? তাঁরা কারা? তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা তাঁদের ক্যাম্পাসে কেন আসতে পারবেন না? আমরা কোন ব্যবস্থার মধ্যে বাস করছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা তাঁদের ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন না? আমি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, যে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার দায়িত্ব জড়িত, আমার কাজ জড়িত, আমার ইমোশন জড়িত, আমার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হচ্ছে। আমরা কেন আসতে পারব না?’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পলিটেকনিক মোড়, ক্যাডেট কলেজ মোড় ও আনসার ক্যাম্পের সামনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সব ধরনের যানবাহন চেক করছেন। যাঁরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিমুখে যেতে চাইছেন, তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাঁদের কারও কারও হাতে অস্ত্র দেখা গেছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগের বাধার মুখে পড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা হলেন, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম, অধ্যাপক খলিফা মোহাম্মদ হেলাল, আনোয়ার হোসেন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. জি এম মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
দেখা গেছে, আনসার ক্যাম্পের মোড়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল নেতা-কর্মীদের নিয়ে অবস্থান করছেন। ক্যাডেট কলেজ মোড়ে গিয়ে দেখা যায় সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নিয়াজ পাবেল নেতা-কর্মীদের নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তবে মোবাইল ফোনে আহমেদ নিয়াজ পাবেল দাবি করেন, কোনো শিক্ষককে তাঁরা ফিরিয়ে দেননি। জামায়াত-বিএনপি যেন ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পারে, সে জন্য তাঁরা মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, ‘আমরা কোটবাড়ীতে আসার পর কয়েকজন মানুষ আমাদের পথরোধ করে। আমরা শিক্ষক পরিচয় দিলেও নমনীয় হয়নি। আমাদের শহরের দিকে চলে যেতে বলে। আমাদের চলে যেতে বলার তারা কারা বা কোন পরিচয়ে তারা এই কথা বলছে জিজ্ঞেস করলে তারা কোনো পরিচয় দেয়নি। আমরা বিষয়টি প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারকে জানিয়েছি। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও পুলিশ বা কারও কোনো সাহায্য পাইনি। বাধ্য হয়ে আমাদের ফিরে যেতে হয়েছে।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘একজন শিক্ষক জানিয়েছিলেন যে উনি আসতে পারছিলেন না। সঙ্গে সঙ্গে আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছি। প্রক্টরিয়াল বডির দায়িত্ব ক্যাম্পাসের ভেতরে। বাইরে যদি কোনো ঘটনা ঘটে, সেটার জন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করতে হয়। সেটা আমরা করেছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারদলীয় লোকেরা শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বাধা দিচ্ছে। এ ব্যাপারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। আমি একটু আগে ঘুরে আসলাম, কিন্তু এমন কিছু লক্ষ্য করি নাই।’
দেশব্যাপী শিক্ষার্থী হত্যা, নিপীড়ন ও হয়রানির প্রতিবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অনেক শিক্ষক বাধার মুখে ঘোষিত মানববন্ধনে অংশ নিতে পারেননি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুবি ক্যাম্পাসে ওই মানববন্ধনে অংশ নিতে না পেরে তাঁরা ফিরে যান। পরে মাত্র ছয়জন শিক্ষকের অংশগ্রহণে ওই মানববন্ধন হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধনটি করা হয়। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম আনিছুল ইসলামের সঞ্চালনায় এই মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছয়জন শিক্ষক হলেন, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কামরুন নাহার শিলা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীমা নাসরিন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষক জয় রাজ বংশী ও বাংলা বিভাগের প্রভাষক গোলাম মাহমুদ পাভেল।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীমা নাসরিন বলেন, ‘আমরা আজ সবাই এখানে দাঁড়িয়েছি একটা বিচারহীন রাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য। শুধু নিজের মৌলিক অধিকার চাইতে গিয়ে যেভাবে শত শত শিক্ষার্থী, সাধারণ জনগণ সেখানে শিশু, কিশোর, তরুণ, যুবক, তাদের মেরে ফেলা হয়েছে, সেটা গণহত্যা। এই গণহত্যার মধ্য দিয়ে যা করা হয়েছে, সেটি একবারে নিজের যে ক্ষমতা সেটির চর্চা। যেটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। আমি এই নির্মম গণহত্যার বিচার চাই এবং তীব্র প্রতিবাদ করছি।’
শামীমা নাসরিন আরও বলেন, ‘এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, আমি কার কাছে বিচার চাচ্ছি। আমি রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে বিচার চাই না। কারণ এই যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, এটার সঙ্গে রাষ্ট্র প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। আমি বিচারকের কাছেও বিচার চাইতে যাব না। আমি বিচার চাই আমার দেশের সাধারণ জনগণের কাছে। তারা দেখেছে, তারা দেখছে, দেখবে এবং অবশ্যই তারা এর বিচার করবে। কারণ আমরা জানি, জনগণের বাণীই ঈশ্বরের বাণী এবং আপনি যদি ক্ষমতাকে ঈশ্বর মনে করে থাকেন, তাহলে সেটা হবে চরম ভুল। যা এখন হচ্ছে তা সামনেও হবে। এই অরাজকতা, এই বিচারবিহীন রাজনীতি এবং হত্যাযজ্ঞের বিপরীতে আমাদের দাঁড়াতে হবে। হয়তো আমাদের ক্ষতি হতে পারে কিন্তু যা হওয়ার হয়ে গেছে। আমরা সকলে দাঁড়াব একে একে দাঁড়াব, দুইয়ে দুইয়ে দাঁড়াব, দশে দশে দাঁড়াব।’
বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও গত ১৮ জুলাই কোটবাড়ী বিশ্বরোডে পুলিশের গুলিতে আহত সারাফ সামির জামান মেঘের মা ড. কামরুন নাহার শিলা বলেন, ‘আমার সন্তানও আহত হয়েছে। আমি সে কারণে আসিনি। শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের ওপর যে নিপীড়ন শিক্ষার্থীদের হত্যা এ বিষয়ে সকল শিক্ষকের মতো আমিও মর্মাহত ছিলাম। আমাদের আরও আগেই নামা উচিত ছিল। আমরা আসলে লজ্জিত। আমার নিজের জীবনে যেহেতু একটা দুর্বিপাক ঘটে গেছে, এ কারণে আমি আগে পদক্ষেপ নিতে পারিনি। আমার ছেলে আহত হয়েছে। আমার ছেলে মারাও যেতে পারত। সেদিন বুঝতে পেরেছি এত এত শিক্ষার্থীর পরিবার কি মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে আছে। আমার ছেলে ছোট, তাকে টার্গেট করে গুলি করা হয়েছে। আমরা দেখেছি নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর কীভাবে টার্গেট করে গুলি করা হয়েছে। এই যে একটা নৈরাজ্য অবস্থা তৈরি হয়েছে, তার দ্রুত নিরসন চাই আমরা।’
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার ব্যাপারে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হল ভূঁইয়া বলেন, ‘কর্মসূচিটি সকাল ১১টায় করার কথা থাকলেও আমরা করতে পারিনি। আমাদের অনেক সহকর্মীকে আটকে দেওয়া হয়েছে কোটবাড়ী। তাঁরা শিক্ষক পরিচয় দিয়েও তাঁদের কর্মস্থলে আসতে পারেননি। প্রক্টরকে জানানো হলেও আসতে দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা তাঁদের ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন না? তাঁরা কারা? তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা তাঁদের ক্যাম্পাসে কেন আসতে পারবেন না? আমরা কোন ব্যবস্থার মধ্যে বাস করছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা তাঁদের ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন না? আমি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, যে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার দায়িত্ব জড়িত, আমার কাজ জড়িত, আমার ইমোশন জড়িত, আমার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হচ্ছে। আমরা কেন আসতে পারব না?’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পলিটেকনিক মোড়, ক্যাডেট কলেজ মোড় ও আনসার ক্যাম্পের সামনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সব ধরনের যানবাহন চেক করছেন। যাঁরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিমুখে যেতে চাইছেন, তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাঁদের কারও কারও হাতে অস্ত্র দেখা গেছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগের বাধার মুখে পড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা হলেন, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম, অধ্যাপক খলিফা মোহাম্মদ হেলাল, আনোয়ার হোসেন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. জি এম মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
দেখা গেছে, আনসার ক্যাম্পের মোড়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল নেতা-কর্মীদের নিয়ে অবস্থান করছেন। ক্যাডেট কলেজ মোড়ে গিয়ে দেখা যায় সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নিয়াজ পাবেল নেতা-কর্মীদের নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তবে মোবাইল ফোনে আহমেদ নিয়াজ পাবেল দাবি করেন, কোনো শিক্ষককে তাঁরা ফিরিয়ে দেননি। জামায়াত-বিএনপি যেন ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পারে, সে জন্য তাঁরা মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, ‘আমরা কোটবাড়ীতে আসার পর কয়েকজন মানুষ আমাদের পথরোধ করে। আমরা শিক্ষক পরিচয় দিলেও নমনীয় হয়নি। আমাদের শহরের দিকে চলে যেতে বলে। আমাদের চলে যেতে বলার তারা কারা বা কোন পরিচয়ে তারা এই কথা বলছে জিজ্ঞেস করলে তারা কোনো পরিচয় দেয়নি। আমরা বিষয়টি প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারকে জানিয়েছি। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও পুলিশ বা কারও কোনো সাহায্য পাইনি। বাধ্য হয়ে আমাদের ফিরে যেতে হয়েছে।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘একজন শিক্ষক জানিয়েছিলেন যে উনি আসতে পারছিলেন না। সঙ্গে সঙ্গে আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছি। প্রক্টরিয়াল বডির দায়িত্ব ক্যাম্পাসের ভেতরে। বাইরে যদি কোনো ঘটনা ঘটে, সেটার জন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করতে হয়। সেটা আমরা করেছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারদলীয় লোকেরা শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বাধা দিচ্ছে। এ ব্যাপারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। আমি একটু আগে ঘুরে আসলাম, কিন্তু এমন কিছু লক্ষ্য করি নাই।’
ডিসেম্বরের ২০ তারিখ বিয়ে। অনুষ্ঠানের জন্য ঠিক করা হয়েছে ক্লাবও। পরিবারের পক্ষ থেকে চলছিল কেনাকাটাসহ বিয়ের নানা আয়োজন। এরমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ইশরাত জাহান তামান্না (২০)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
১৪ মিনিট আগেরাজশাহীতে দুই পক্ষের মীমাংসার সময় বিএনপির এক নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ভদ্রা এলাকায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টুর ওপর এ হামলা হয়। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগেচাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব এলাকার সাহেলা বেগম নিজের ও তাঁর সন্তানের চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ফেরত যেতে বাধ্য হন তিনি। অন্যদিকে চরমথুরার শ্বাসকষ্টের রোগী আবুল কালাম সকাল ১০টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে দুপুর ১২টার সময়ও চিকিৎসক দেখাতে
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৫৯ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই কারণে সিটি করপোরেশনের স্থায়ী দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে