ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার নেতাকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে বহিষ্কার 

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮: ২৬

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় এক তরুণীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার রাসেল খানকে (৩৫) উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক অমিত সরকার স্বাক্ষরিত পত্রে এ তথ্য জানানো হয়। আজ বুধবার বিকেলে কলমাকান্দা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ নিয়ে হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজে জড়িত থাকায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল খানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য জেলা কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।’

মামলার এজাহার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কলমাকান্দা শহরের এক তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল রাসেলের। একপর্যায়ে গত ২২ নভেম্বর পাহাড় দেখানোর কথা বলে সীমান্তবর্তী পাতলাবন এলাকায় ওই তরুণীকে নিয়ে ঘুরতে নিয়ে যান রাসেল। ঘোরাঘুরি শেষে সন্ধ্যা হলে বাড়ি ফেরার কথা বললে নানা বাহানায় সময় ক্ষেপণ করেন রাসেল। পরে রাসেল তাঁর তিন বন্ধু সেলিম মিয়া, সাইকুল মিয়া ও সুমন সাহাকে ডেকে আনেন।

বাড়ি ফেরার বাহানায় নদীর পাড় দিয়ে হাঁটার সময় ওই তরুণীকে ঝোপের আড়ালে টেনে নিয়ে তিন বন্ধুর সহায়তায় ধর্ষণ করেন রাসেল। পরে একে একে তার বন্ধুরাও তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তরুণী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মেয়েটিকে সেখানে রেখে চলে যান তাঁরা। জ্ঞান ফেরার পর ব্যাগ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে বোনকে কল করে জানালে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে দুই দিন পর ওই তরুণী থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে নেত্রকোনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন ওই তরুণী। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে কলমাকান্দা থানাকে মামলা রেকর্ডের নির্দেশ দেন। এরপর রাসেল খানসহ ওই চারজনের নামে থানায় মামলা রেকর্ডভুক্ত হয়। এ মামলায় গত ১৯ ডিসেম্বর রাসেল খান ও তাঁর বন্ধু সেলিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠান পুলিশ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত