সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপিতে গত ছয় মাসে বিভিন্ন পদমর্যাদার অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য বদলি হয়েছেন। অল্প সময়ে এতগুলো বদলির ব্যাপারে পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, এটা স্বাভাবিক বদলির একটা অংশ।
এ বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, পুলিশ সার্ভিসে একটি বিধান আছে, যার বাড়ি যে জেলায়, তিনি সেখানে চাকরি করতে পারেন না। আরেকটি নীতিমালা হচ্ছে, যে জেলার বাসিন্দা, সে জেলার মেট্রোপলিটন ইউনিটেও চাকরি করা যাবে না। যুক্তি হচ্ছে, নিজ জেলায় বা মেট্রোপলিটনে চাকরি করলে তাঁদের ওপর তদবিরের চাপ থাকে।
সিএমপি কমিশনার বলেন, সে বিবেচনায় প্রথম ধাপে যাঁরা চট্টগ্রামের বাসিন্দা, তাঁদের বদলি করা হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সিএমপি ইউনিটে চাকরি করছেন, তাঁদেরও বদলি করা হবে। এটি একেবারেই স্বাভাবিক বদলির অংশ। অবশ্য সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরকে গতকাল বিকেলে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর নতুন মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বদলি আদেশের পর্যালোচনায় জানা গেছে, সিএমপির বদলিকৃত সদস্যদের অধিকাংশই চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার বাসিন্দা। আবার অনেকেই দীর্ঘ সময় ধরে ঘুরে–ফিরে সিএমপিতে কর্মরত ছিলেন। আবার কারও বিরুদ্ধে বিতর্কে জড়ানোরও অভিযোগ রয়েছে।
সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপকমিশনার আরাফাতুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, যতগুলো বদলির আদেশ হয়েছে, সেখানে জনস্বার্থে বদলির বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এটা নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে পড়ে। যদি শাস্তিমূলক বা অন্য কোনো কারণ থাকলে তা আদেশেই উল্লেখ থাকত।
পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশের কাজে স্বচ্ছতা আনা, সিএমপিতে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকা এবং চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এসব বদলি হচ্ছে। এতে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে থাকার কারণে স্বজনপ্রীতিও দূর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এটা নিয়ে সিএমপি চট্টগ্রামের সদস্যদের একটা অংশের ক্ষোভ রয়েছে।
গণবদলির শিকার চট্টগ্রামের বাসিন্দা বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের অন্যান্য ইউনিটে এ নীতিমালা সেভাবে কার্যকর নয়। কেবল চট্টগ্রামেই এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাঁরা বলছেন, মূলত সিএমপিতে কর্মরত চট্টগ্রামবিদ্বেষী একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী রয়েছে। যারা চায় না চট্টগ্রামের বাসিন্দা পুলিশ সদস্যরা চট্টগ্রামে চাকরি করুক। সিএমপি সূত্র জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিএমপির ৩৬ জন পুলিশ কনস্টেবলকে একযোগে বদলি করে আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়নে পাঠানো হয়। তাঁদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামে। এরপর ২৭ মে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সিএমপিতে কর্মরত আটজন অতিরিক্ত উপকমিশনার ও তিনজন সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার ১১ জন কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের বাইরে বদলির আদেশ আসে। এর মধ্যে ৯ জনের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলায়। বাকি দুজনের পার্বত্য জেলাতে। ৭ জুলাই বাকলিয়া ও চকবাজার থানার দুই ওসিকে রংপুর ও রাজশাহী রেঞ্জে বদলির আদেশ দেওয়া হয়।
গত ৩ আগস্ট পৃথক চারটি প্রজ্ঞাপনে আরও ১০ জন পুলিশ পরিদর্শকের বদলির আদেশ হয়। ৮ আগস্ট হালিশহর থানার ওসি ও পতেঙ্গা থানার ওসিকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়।
৯ আগস্ট চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপির বিশেষ শাখায় কর্মরত থাকা অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ মো. আব্দুর রউফকে চট্টগ্রাম পিবিআইতে বদলি করা হয়। সর্বশেষ ১৮ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরে পৃথক আদেশে সিএমপিতে ঘুরেফিরে দীর্ঘদিন কর্মরত ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীনকে খুলনা রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষ দিকে সিএমপিতে কর্মরত চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের তালিকা প্রণয়ন শুরু হয়। পরে ১৩ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলির একটি আদেশ আসে, তাঁদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামে। এ নিয়ে বদলি–আতঙ্ক তৈরি হয় সিএমপি সদস্যদের মাঝে।
২০২০ সালেও শতাধিক পুলিশ সদস্যকে সিএমপি থেকে বদলি হয়। জানা যায়, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর সিএমপির ৩০তম পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। যোগদানের পর সিএমপিকে ঢেলে সাজানোর বিভিন্ন উদ্যোগ নেন তিনি।
সিএমপির অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে ২০১৯ সাল থেকে সিএমপিতে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের নিয়ে তালিকা করা শুরু হয়। সিএমপিতে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার পাশাপাশি বিতর্কিতদের নিয়েও এ তালিকার তৈরির কাজ চলে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপিতে গত ছয় মাসে বিভিন্ন পদমর্যাদার অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য বদলি হয়েছেন। অল্প সময়ে এতগুলো বদলির ব্যাপারে পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, এটা স্বাভাবিক বদলির একটা অংশ।
এ বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, পুলিশ সার্ভিসে একটি বিধান আছে, যার বাড়ি যে জেলায়, তিনি সেখানে চাকরি করতে পারেন না। আরেকটি নীতিমালা হচ্ছে, যে জেলার বাসিন্দা, সে জেলার মেট্রোপলিটন ইউনিটেও চাকরি করা যাবে না। যুক্তি হচ্ছে, নিজ জেলায় বা মেট্রোপলিটনে চাকরি করলে তাঁদের ওপর তদবিরের চাপ থাকে।
সিএমপি কমিশনার বলেন, সে বিবেচনায় প্রথম ধাপে যাঁরা চট্টগ্রামের বাসিন্দা, তাঁদের বদলি করা হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সিএমপি ইউনিটে চাকরি করছেন, তাঁদেরও বদলি করা হবে। এটি একেবারেই স্বাভাবিক বদলির অংশ। অবশ্য সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরকে গতকাল বিকেলে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর নতুন মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বদলি আদেশের পর্যালোচনায় জানা গেছে, সিএমপির বদলিকৃত সদস্যদের অধিকাংশই চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার বাসিন্দা। আবার অনেকেই দীর্ঘ সময় ধরে ঘুরে–ফিরে সিএমপিতে কর্মরত ছিলেন। আবার কারও বিরুদ্ধে বিতর্কে জড়ানোরও অভিযোগ রয়েছে।
সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপকমিশনার আরাফাতুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, যতগুলো বদলির আদেশ হয়েছে, সেখানে জনস্বার্থে বদলির বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এটা নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে পড়ে। যদি শাস্তিমূলক বা অন্য কোনো কারণ থাকলে তা আদেশেই উল্লেখ থাকত।
পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশের কাজে স্বচ্ছতা আনা, সিএমপিতে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকা এবং চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এসব বদলি হচ্ছে। এতে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে থাকার কারণে স্বজনপ্রীতিও দূর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এটা নিয়ে সিএমপি চট্টগ্রামের সদস্যদের একটা অংশের ক্ষোভ রয়েছে।
গণবদলির শিকার চট্টগ্রামের বাসিন্দা বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের অন্যান্য ইউনিটে এ নীতিমালা সেভাবে কার্যকর নয়। কেবল চট্টগ্রামেই এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাঁরা বলছেন, মূলত সিএমপিতে কর্মরত চট্টগ্রামবিদ্বেষী একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী রয়েছে। যারা চায় না চট্টগ্রামের বাসিন্দা পুলিশ সদস্যরা চট্টগ্রামে চাকরি করুক। সিএমপি সূত্র জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিএমপির ৩৬ জন পুলিশ কনস্টেবলকে একযোগে বদলি করে আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়নে পাঠানো হয়। তাঁদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামে। এরপর ২৭ মে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সিএমপিতে কর্মরত আটজন অতিরিক্ত উপকমিশনার ও তিনজন সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার ১১ জন কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের বাইরে বদলির আদেশ আসে। এর মধ্যে ৯ জনের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলায়। বাকি দুজনের পার্বত্য জেলাতে। ৭ জুলাই বাকলিয়া ও চকবাজার থানার দুই ওসিকে রংপুর ও রাজশাহী রেঞ্জে বদলির আদেশ দেওয়া হয়।
গত ৩ আগস্ট পৃথক চারটি প্রজ্ঞাপনে আরও ১০ জন পুলিশ পরিদর্শকের বদলির আদেশ হয়। ৮ আগস্ট হালিশহর থানার ওসি ও পতেঙ্গা থানার ওসিকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়।
৯ আগস্ট চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপির বিশেষ শাখায় কর্মরত থাকা অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ মো. আব্দুর রউফকে চট্টগ্রাম পিবিআইতে বদলি করা হয়। সর্বশেষ ১৮ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরে পৃথক আদেশে সিএমপিতে ঘুরেফিরে দীর্ঘদিন কর্মরত ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীনকে খুলনা রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষ দিকে সিএমপিতে কর্মরত চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের তালিকা প্রণয়ন শুরু হয়। পরে ১৩ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলির একটি আদেশ আসে, তাঁদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামে। এ নিয়ে বদলি–আতঙ্ক তৈরি হয় সিএমপি সদস্যদের মাঝে।
২০২০ সালেও শতাধিক পুলিশ সদস্যকে সিএমপি থেকে বদলি হয়। জানা যায়, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর সিএমপির ৩০তম পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। যোগদানের পর সিএমপিকে ঢেলে সাজানোর বিভিন্ন উদ্যোগ নেন তিনি।
সিএমপির অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে ২০১৯ সাল থেকে সিএমপিতে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের নিয়ে তালিকা করা শুরু হয়। সিএমপিতে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার পাশাপাশি বিতর্কিতদের নিয়েও এ তালিকার তৈরির কাজ চলে।
ঝিনাইদহ সদরের নতুন বাড়ি এলাকায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে আল আমিন (২৫) নামের এক ট্রাকচালকের নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও ৩ জন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩২ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাজেদুল লস্কর (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে তার চাচাতো ভাই আপেল লস্করের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি লস্কর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সাজেদুল লস্করকে আটক করেছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আউয়াল কবির বিষয়টি নিশ
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল দিত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার একটি রেস্তোরাঁর কর্মী তোফাজ্জল হোসেন। অর্থের অভাবে লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন রেস্তোরাঁয়।
১ ঘণ্টা আগে