নোয়াখালীতে শিশু হত্যার ঘটনায় মামলা, লাশ নিয়ে বিক্ষোভ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২২, ১৮: ১৯
Thumbnail image

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত তাসফিয়া আক্তার জান্নাতের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ ও হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাসফিয়া হত্যার ঘটনায় বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে তাসফিয়া হত্যার ঘটনায় তার মামা (খালার স্বামী) হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বাদশা, রিমনসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি। 

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের সরুরপোল এলাকায় নিহত তাসফিয়ার লাশ নিয়ে অবস্থান নেয় স্থানীয় এলাকাবাসী। এ সময় তারা তাসফিয়ার হত্যাকারীদের ছবিযুক্ত ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। পরে বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করলে ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনস্থলে পৌঁছায়। তাঁরা আসামিদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। 

প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেল ৩টার দিকে তাসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী মালেকার বাপের দোকান এলাকার বন্ধু স্টোরে যান আবু জাহের। ওই দোকানে গিয়ে তাসফিয়ার জন্য চকলেট, জুস ও চিপস নিয়ে দোকান থেকে বের হওয়ার সময় মহিন, রিমন, আকবর, নাঈমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী মামুনের দোকানে এসে ‘তুই (আবু জাহের) ওই দিন বৈঠকে ছিলি’ বলে গালাগালি করে। একপর্যায়ে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পাশে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারে লেগে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে তাঁরা দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা পেছন থেকে তাদের লক্ষ্য করে প্রথমে ইট নিক্ষেপ করলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাসফিয়া। পরে তারা বাড়ি যাওয়ার সময় পেছন থেকে আরও দুটি শটগানের গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। 

এতে তাসফিয়া ও জাহের গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে গুলিবিদ্ধ তাসফিয়া ও আবু জাহেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয় লোকজন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা নেওয়ার পথে কুমিল্লায় পৌঁছালে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা নানির কোলে মারা যায় তাসফিয়া। মাটি কাটার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড হলেও সে বিরোধের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ততা ছিল না মাওলানা আবু জাহের বা তাঁর মেয়ে তাসফিয়ার। তবে মাটি কাটা নিয়ে বৈঠকে ছিলেন—এমন অভিযোগে সন্ত্রাসীদের টার্গেট হন মাওলানা আবু জাহের। সেই টার্গেটের স্বীকার হয়ে প্রাণ হারায় তাসফিয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত