নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে কানের দুল, হাতের আংটি ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের জন্য এক বৃদ্ধাকে খুনের ঘটনায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় আরেক আসামির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
আজ রোববার চট্টগ্রামের ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজাম মুনীরা এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ভোলা জেলার দৌলতখান থানার চর খলিফা গ্রামের মো. রুবেল (২৭) এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার মোহছেন আউলিয়া গ্রামের মো. আব্বাস (৩০)। এঁদের মধ্যে রুবেল চট্টগ্রাম অভয়মিত্র ঘাটের কর্ণফুলী কলোনিতে ও আব্বাস নগরীর সদরঘাট থানার আলকরণ এলাকায় থাকতেন। আদালতের অতিরিক্ত পিপি দীর্ঘতম বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি দুই আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০১ ধারায় লাশ গুমের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একই আসামিদের তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ছিনিয়ে নেওয়া স্বর্ণালংকারের ক্রেতা ফরহাদ হোসেনকে এই মামলা থেকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
দীর্ঘতম বড়ুয়া বলেন, আদালতের রায়ের সময় আসামি আব্বাস কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানামূলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামি রুবেল পলাতক রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৫ মে সকালে নগরীর সদরঘাট থানার নেভাল-২ এলাকায় হাঁটতে যান মঞ্জু সেন (৭৭)। তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার মির্জারহাট বাজার গ্রামের মৃত মানিক চন্দ্র সেনের স্ত্রী। তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নগরীর ফিরিঙ্গি বাজার শিববাড়ী লেইন এলাকায় কাদের দোভাষের ভবনে ভাড়া থাকতেন।
ওই দিন মঞ্জু সেনকে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায় দণ্ডপ্রাপ্তরা। সেখানে তাঁর স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তাঁকে মাথায় আঘাত করে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর কাঁথা মুড়ি দিয়ে তাঁরা মরদেহটি ঝোপের আড়ালে ফেলে দেয়। পরদিন ২৬ মে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের একমাত্র ছেলে রতন কান্তি সেন বাদী হয়ে সদরঘাট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িত দুই আসামি রুবেল ও আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে আসামিরা জানান, বৃদ্ধাকে খুনের পর তাঁর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া স্বর্ণালংকার ফরহাদ হোসেন জাকির ওরফে রাব্বি নামের একজনের কাছে বিক্রি করেছিলেন।
দীর্ঘতম বড়ুয়া বলেন, ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এই মামলায় মোট ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ১০ জন সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়। পরে দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ আদালত এই রায় ঘোষণা দেন।
চট্টগ্রামে কানের দুল, হাতের আংটি ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের জন্য এক বৃদ্ধাকে খুনের ঘটনায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় আরেক আসামির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
আজ রোববার চট্টগ্রামের ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজাম মুনীরা এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ভোলা জেলার দৌলতখান থানার চর খলিফা গ্রামের মো. রুবেল (২৭) এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার মোহছেন আউলিয়া গ্রামের মো. আব্বাস (৩০)। এঁদের মধ্যে রুবেল চট্টগ্রাম অভয়মিত্র ঘাটের কর্ণফুলী কলোনিতে ও আব্বাস নগরীর সদরঘাট থানার আলকরণ এলাকায় থাকতেন। আদালতের অতিরিক্ত পিপি দীর্ঘতম বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি দুই আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০১ ধারায় লাশ গুমের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একই আসামিদের তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ছিনিয়ে নেওয়া স্বর্ণালংকারের ক্রেতা ফরহাদ হোসেনকে এই মামলা থেকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
দীর্ঘতম বড়ুয়া বলেন, আদালতের রায়ের সময় আসামি আব্বাস কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানামূলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামি রুবেল পলাতক রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৫ মে সকালে নগরীর সদরঘাট থানার নেভাল-২ এলাকায় হাঁটতে যান মঞ্জু সেন (৭৭)। তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার মির্জারহাট বাজার গ্রামের মৃত মানিক চন্দ্র সেনের স্ত্রী। তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নগরীর ফিরিঙ্গি বাজার শিববাড়ী লেইন এলাকায় কাদের দোভাষের ভবনে ভাড়া থাকতেন।
ওই দিন মঞ্জু সেনকে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায় দণ্ডপ্রাপ্তরা। সেখানে তাঁর স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তাঁকে মাথায় আঘাত করে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর কাঁথা মুড়ি দিয়ে তাঁরা মরদেহটি ঝোপের আড়ালে ফেলে দেয়। পরদিন ২৬ মে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের একমাত্র ছেলে রতন কান্তি সেন বাদী হয়ে সদরঘাট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িত দুই আসামি রুবেল ও আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে আসামিরা জানান, বৃদ্ধাকে খুনের পর তাঁর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া স্বর্ণালংকার ফরহাদ হোসেন জাকির ওরফে রাব্বি নামের একজনের কাছে বিক্রি করেছিলেন।
দীর্ঘতম বড়ুয়া বলেন, ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এই মামলায় মোট ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ১০ জন সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়। পরে দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ আদালত এই রায় ঘোষণা দেন।
মোহন মিয়া (২৮) নামের এক যুবককে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে। আহত যুবককে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সোমবার বগুড়া শহরতলির সাবগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবি শাখার সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পান, তাহলে তাঁর বিষয়টি বিশেষভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। তাঁকে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কি না, সেটি দেখতে হবে। এত তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দিতে হবে কেন?’
২ ঘণ্টা আগেমো. মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত বেতন-ভাতাদি পেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যানবাহন, টেলিফোন, মোবাইল ফোন ও সংবাদপত্রসংক্রান্ত কোনো সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে