Ajker Patrika

মূল ক্যাম্পাসে ফিরতে চান চারুকলার শিক্ষার্থীরা, ক্লাসবর্জন করে ফটকে তালা

চবি প্রতিনিধি
মূল ক্যাম্পাসে ফিরতে চান চারুকলার শিক্ষার্থীরা, ক্লাসবর্জন করে ফটকে তালা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনিস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে ক্লাসবর্জন করে পঞ্চদশ দিনের মতো আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে ইনস্টিটিউটের ফটকে তালা দিয়ে পঞ্চদশ দিনের আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত তালা ঝুলানো থাকবে বলে ঘোষণা দেন তাঁরা।

পরে দুপুর ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও চারুকলা সংকট নিরসনে গঠিত কমিটির প্রধান এসে বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের সময় নির্ধারণ করেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের আন্দোলন ১৫ দিন ধরে চললেও চারুকলা ইনিস্টিটিউট প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি। তাই নিরুপায় হয়ে তাঁরা তালা দিয়েছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শহীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ফটকে তালা দিয়ে ক্যাম্পাস অবরোধ করেছি। আমরা কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেইনি। আমাদের আন্দোলনের ১৫ দিন হয়ে গেছে। এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হয়নি। একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আমাদের সঙ্গে বসেনি।’

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘সকালে আমরা তালা ঝুলানোর পর আমাদের জানানো হয়েছে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আমাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এখন শুধু সিদ্ধান্ত না, দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ফটকে তালা ঝুলিয়ে রাখব।’

ক্লাস বর্জন করে ইনস্টিটিউটের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকাএ বিষয়ে জানতে চাইলে সংকট নিরসন সংক্রান্ত কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি। এ বিষয়ে পরে কথা বলব।’

গত ২ নভেম্বর থেকে ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি ও ক্লাসবর্জন শুরু করেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পরে ২২ দফা দাবিকে এক দফা দাবিতে এনে চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবি শিক্ষার্থীরা। এই নিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বৈঠক করেও কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

সর্বশেষ গত শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম শহরের চারুকলা ইনিস্টিটিউটে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বৈঠকে উপাচার্য ছাড়াও রেজিস্ট্রার, ডিন, ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর ও কয়েকজন সিন্ডিকেট সদস্য উপস্থিত ছিলেন। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠকে চারুকলা মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও এই সংকট নিরসনে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ মামুনকে প্রধান করে ১৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীদের কমিটির বিষয় জানানো হলে তারা কমিটির নাম ও বিষয় নিয়ে আপত্তি জানিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন। পরে কমিটির নাম পরিবর্তন করা হবে-বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন আশ্বাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কমিটিতে সায় দেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ৪ জনের পরিবর্তে ১২ জন প্রতিনিধিকে কমিটিতে রাখা হবে বলে তাদের আশ্বাস দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত