মনিরুল ইসলাম মণির, মতলব উত্তর (চাঁদপুর)
কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর সঠিক সময়েই শুরু হয়েছে বর্ষাকাল। আর বর্ষা এলেই পুরোনো ছাতা মেরামতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন এর কারিগরেরা। কিন্তু এবার করোনা আর লকডাউনের প্রভাবে বেকার দিন কাটাচ্ছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছাতার কারিগরেরা।
উপজেলার ছেংগারচর বাজারের ছাতাহাটি ঘুরে দেখা গেছে, পুরো বাজার সুনসান। নেই ক্রেতার সমাগম। বিশেষ প্রয়োজনে যাঁরাই আসেন, নিত্যপণ্য কিনে ছুটে যান নিজ বাড়িতে। ছাতার কারিগরেরা হাত-পা গুটিয়ে বসে আছেন। আবার কেউ কেউ দু–একটি ভাঙাচোরা ছাতা পেয়ে তা মেরামত করছেন। করোনার কারণে মানুষ ঠিকমতো বাইরে আসছে না।
ছেংগারচর বাজার উপজেলা সদরে হওয়ায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি একটু বেশি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই হাটে কারিগরেরা ছাতা মেরামত করে থাকেন। আবার তাঁরাই বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে মানুষের ছাতা মেরামত করে দিতেন। তবে এ বছর লকডাউনের কারণে সেই সুযোগও নেই। করোনার আগের এই সময়টাতে প্রতি হাটে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় করতেন। এ বছর হাটের দিনেও তাঁদের ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার বেশি আয় হচ্ছে না। করোনা ছাড়াও এই আধুনিক যুগে ছাতার ব্যবহার কিছুটা কমে এসেছে। মানুষ এখন ছাতার পরিবর্তে রেইনকোট ব্যবহার করছে। এতে দুশ্চিন্তা বাড়ছে ছাতার কারিগরদের।
ছেংগারচর বাজারে ছাতা মেরামত করতে আসা সফিকুল ইসলাম বলেন, `বাড়িতে দুটি ছাতা ছিল। গত বর্ষায় নিয়েছিলাম। ছাতাটির কিছু জিনিস নষ্ট হয়েছে, তা ঠিক করতে আসছি।' বৃদ্ধ কাইয়ুম সরকার বলেন, `ছয় বছরের পুরোনো ছাতা। প্রতি বর্ষার শুরুতে মেরামত করে বর্ষা পার করি। কিন্তু এ বছর আর এই ছাতা ঠিক হবে না। কারণ ছাতার সব যন্ত্রপাতি একেবারেই অকেজো হয়ে গেছে। ঠিক করতে অনেক টাকা লাগবে। তাই চিন্তা করছি এবার নতুন ছাতা কিনব।'
৬৫ বছর বয়সী ছাতার কারিগর মোস্তফা সওদাগর বলেন, `প্রায় ৫০ বছর যাবৎ এই কর্ম করে খাই। এ পেশায় আর লাভ নেই। মানুষ এখন আর ছাতার কাজ করে না। হাটের দিন এখানে কাজ করি। এ ছাড়া গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাজ করি। বয়স হয়ে গেছে, শরীরে আগের মতো আর জোর নাই। অন্য কোনো কামও জানি না। তাই এই কর্ম করছি।'
ছাতার কারিগর হালিম সওদাগর বলেন, `২০ বছর ধরে ছাতা মেরামতের কাজ করে আসছি। বছরে ছাতা মেরামতের কাজ হয় চার মাস। আগের মতো আর কামাইধান্দা নাই। আধুনিক যুগে মানুষ এখন আধুনিক জিনিস ব্যবহার করছে। তার ওপর করোনা আর লকডাউনে সব শেষ করে দিয়েছে।'
কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর সঠিক সময়েই শুরু হয়েছে বর্ষাকাল। আর বর্ষা এলেই পুরোনো ছাতা মেরামতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন এর কারিগরেরা। কিন্তু এবার করোনা আর লকডাউনের প্রভাবে বেকার দিন কাটাচ্ছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছাতার কারিগরেরা।
উপজেলার ছেংগারচর বাজারের ছাতাহাটি ঘুরে দেখা গেছে, পুরো বাজার সুনসান। নেই ক্রেতার সমাগম। বিশেষ প্রয়োজনে যাঁরাই আসেন, নিত্যপণ্য কিনে ছুটে যান নিজ বাড়িতে। ছাতার কারিগরেরা হাত-পা গুটিয়ে বসে আছেন। আবার কেউ কেউ দু–একটি ভাঙাচোরা ছাতা পেয়ে তা মেরামত করছেন। করোনার কারণে মানুষ ঠিকমতো বাইরে আসছে না।
ছেংগারচর বাজার উপজেলা সদরে হওয়ায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি একটু বেশি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই হাটে কারিগরেরা ছাতা মেরামত করে থাকেন। আবার তাঁরাই বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে মানুষের ছাতা মেরামত করে দিতেন। তবে এ বছর লকডাউনের কারণে সেই সুযোগও নেই। করোনার আগের এই সময়টাতে প্রতি হাটে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় করতেন। এ বছর হাটের দিনেও তাঁদের ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার বেশি আয় হচ্ছে না। করোনা ছাড়াও এই আধুনিক যুগে ছাতার ব্যবহার কিছুটা কমে এসেছে। মানুষ এখন ছাতার পরিবর্তে রেইনকোট ব্যবহার করছে। এতে দুশ্চিন্তা বাড়ছে ছাতার কারিগরদের।
ছেংগারচর বাজারে ছাতা মেরামত করতে আসা সফিকুল ইসলাম বলেন, `বাড়িতে দুটি ছাতা ছিল। গত বর্ষায় নিয়েছিলাম। ছাতাটির কিছু জিনিস নষ্ট হয়েছে, তা ঠিক করতে আসছি।' বৃদ্ধ কাইয়ুম সরকার বলেন, `ছয় বছরের পুরোনো ছাতা। প্রতি বর্ষার শুরুতে মেরামত করে বর্ষা পার করি। কিন্তু এ বছর আর এই ছাতা ঠিক হবে না। কারণ ছাতার সব যন্ত্রপাতি একেবারেই অকেজো হয়ে গেছে। ঠিক করতে অনেক টাকা লাগবে। তাই চিন্তা করছি এবার নতুন ছাতা কিনব।'
৬৫ বছর বয়সী ছাতার কারিগর মোস্তফা সওদাগর বলেন, `প্রায় ৫০ বছর যাবৎ এই কর্ম করে খাই। এ পেশায় আর লাভ নেই। মানুষ এখন আর ছাতার কাজ করে না। হাটের দিন এখানে কাজ করি। এ ছাড়া গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাজ করি। বয়স হয়ে গেছে, শরীরে আগের মতো আর জোর নাই। অন্য কোনো কামও জানি না। তাই এই কর্ম করছি।'
ছাতার কারিগর হালিম সওদাগর বলেন, `২০ বছর ধরে ছাতা মেরামতের কাজ করে আসছি। বছরে ছাতা মেরামতের কাজ হয় চার মাস। আগের মতো আর কামাইধান্দা নাই। আধুনিক যুগে মানুষ এখন আধুনিক জিনিস ব্যবহার করছে। তার ওপর করোনা আর লকডাউনে সব শেষ করে দিয়েছে।'
পদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
২১ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
২৯ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
৩১ মিনিট আগেব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। সংগঠনটিতে ২২ জন পরিচালকের মধ্যে চারজন ট্রেড গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যে মনোনীত হয়েছেন। ভোটাভুটি হবে ১৮ পরিচালক পদে। এর মধ্যে ১৩ জন সাধারণ ও ৫ জন সহযোগী পরিচালক।
১ ঘণ্টা আগে