কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের উখিয়া লাল পাহাড়ের রোহিঙ্গা আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট সেল উদ্ধার করেছে র্যাব। এ সময় আরসার কমান্ডারসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে এ অভিযান চালানো হয়।
র্যাব জানায়, মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতার করতে এসব অস্ত্র মিয়ানমার থেকে এনে পাহাড়ে মজুত করেছিল।
গ্রেপ্তাররা হলেন–উখিয়ার ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সৈয়দুল আবেরার ছেলে মো. শাহনুর প্রকাশ মাস্টার সলিম (৩৮) ও বালুখালী ৮ /ডব্লিউ রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ব্লক-এ/ ২৩ এর মৃত মোহাম্মদ নুরের ছেলে মো. রিয়াজ (২৭)।
র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মোহাম্মদ আরাফাত ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশে সৃষ্ট সংঘর্ষকে কাজে লাগিয়ে আরসাসহ সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এদেশে প্রবেশ করে। এ ছাড়া কিছু নেতৃত্ব পর্যায়ের আরসা সদস্যকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিচরণ করার তথ্য পায় র্যাব।
মোহাম্মদ আরাফাত ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির সংলগ্ন লাল পাহাড়ে আরসার আস্তানায় অভিযান চালিয়ে আরসার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক কমান্ডার মো. শাহনুর ওরফে মাস্টার সলিমসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি গ্রেনেড, ৩টি রাইফেল গ্রেনেড, ১০টি দেশীয় তৈরি হ্যান্ড গ্রেনেড, ১৩টি ককটেল, ১টি বিদেশি রিভলবার, ৯ রাউন্ড ৯ এমএম পিস্তলের এ্যামুনিশন, ১টি এলজি এবং ৩টি ১২ বোর কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, মাস্টার সলিম ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং ক্যাম্প-১৫ এলাকায় বসবাস শুরু করে। সে মিয়ানমার থাকাকালীন আরসার জোন কমান্ডারের দায়িত্বে ছিল। এ ছাড়া আরসা প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির দেহরক্ষী হিসেবে দুই মাস দায়িত্ব পালন করে।
আরসার হয়ে তারা আধিপত্য বিস্তার, খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অস্ত্র চালানোসহ বিভিন্ন বিস্ফোরকের ওপর সে পারদর্শী। প্রাথমিকভাবে ক্যাম্প-১৫ এর কমান্ডার হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশে আরসা নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়ায় সে প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব নেয় বলে জানান তিনি।
মোহাম্মদ আরাফাত ইসলাম বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সৃষ্ট সংঘর্ষে লুটকৃত অস্ত্র-গোলাবারুদ বিভিন্ন মাধ্যমে সংগ্রহ করে আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আসছে। মাস্টার সলিমের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।
অপরদিকে গ্রেপ্তার মো. রিয়াজ ২০১৮ সালে আরসায় যোগ দেয়। সে ২০১৯ সালে মিয়ানমারে ফিরে যায় এবং সেখানে মাইন, বোমা, হাত বোমা ও বিস্ফোরক তৈরিতে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ নেয়। পরে বাংলাদেশে প্রবেশ করে মাস্টার সলিমের অন্যতম সহযোগী হয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ জড়িয়ে পড়ে। তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে।
র্যাব–১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ দিকে উদ্ধার করা গ্রেনেড, বিস্ফোরকদ্রব্য অনিরাপদ, ঝুঁকিপূর্ণ ও সংবেদনশীল হওয়ায় আদালতের অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল এসব বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
কক্সবাজারের উখিয়া লাল পাহাড়ের রোহিঙ্গা আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট সেল উদ্ধার করেছে র্যাব। এ সময় আরসার কমান্ডারসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে এ অভিযান চালানো হয়।
র্যাব জানায়, মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতার করতে এসব অস্ত্র মিয়ানমার থেকে এনে পাহাড়ে মজুত করেছিল।
গ্রেপ্তাররা হলেন–উখিয়ার ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সৈয়দুল আবেরার ছেলে মো. শাহনুর প্রকাশ মাস্টার সলিম (৩৮) ও বালুখালী ৮ /ডব্লিউ রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ব্লক-এ/ ২৩ এর মৃত মোহাম্মদ নুরের ছেলে মো. রিয়াজ (২৭)।
র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মোহাম্মদ আরাফাত ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশে সৃষ্ট সংঘর্ষকে কাজে লাগিয়ে আরসাসহ সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এদেশে প্রবেশ করে। এ ছাড়া কিছু নেতৃত্ব পর্যায়ের আরসা সদস্যকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিচরণ করার তথ্য পায় র্যাব।
মোহাম্মদ আরাফাত ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির সংলগ্ন লাল পাহাড়ে আরসার আস্তানায় অভিযান চালিয়ে আরসার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক কমান্ডার মো. শাহনুর ওরফে মাস্টার সলিমসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি গ্রেনেড, ৩টি রাইফেল গ্রেনেড, ১০টি দেশীয় তৈরি হ্যান্ড গ্রেনেড, ১৩টি ককটেল, ১টি বিদেশি রিভলবার, ৯ রাউন্ড ৯ এমএম পিস্তলের এ্যামুনিশন, ১টি এলজি এবং ৩টি ১২ বোর কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, মাস্টার সলিম ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং ক্যাম্প-১৫ এলাকায় বসবাস শুরু করে। সে মিয়ানমার থাকাকালীন আরসার জোন কমান্ডারের দায়িত্বে ছিল। এ ছাড়া আরসা প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির দেহরক্ষী হিসেবে দুই মাস দায়িত্ব পালন করে।
আরসার হয়ে তারা আধিপত্য বিস্তার, খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অস্ত্র চালানোসহ বিভিন্ন বিস্ফোরকের ওপর সে পারদর্শী। প্রাথমিকভাবে ক্যাম্প-১৫ এর কমান্ডার হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশে আরসা নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়ায় সে প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব নেয় বলে জানান তিনি।
মোহাম্মদ আরাফাত ইসলাম বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সৃষ্ট সংঘর্ষে লুটকৃত অস্ত্র-গোলাবারুদ বিভিন্ন মাধ্যমে সংগ্রহ করে আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আসছে। মাস্টার সলিমের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।
অপরদিকে গ্রেপ্তার মো. রিয়াজ ২০১৮ সালে আরসায় যোগ দেয়। সে ২০১৯ সালে মিয়ানমারে ফিরে যায় এবং সেখানে মাইন, বোমা, হাত বোমা ও বিস্ফোরক তৈরিতে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ নেয়। পরে বাংলাদেশে প্রবেশ করে মাস্টার সলিমের অন্যতম সহযোগী হয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ জড়িয়ে পড়ে। তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে।
র্যাব–১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ দিকে উদ্ধার করা গ্রেনেড, বিস্ফোরকদ্রব্য অনিরাপদ, ঝুঁকিপূর্ণ ও সংবেদনশীল হওয়ায় আদালতের অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল এসব বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের শমরিতা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজ
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রাত ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘট
৫ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। আজ রোববার বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট থেকে তাঁকে আটক করে বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের টহলরত জওয়ানরা।
৬ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার রাজধানীর ৩৫ এর অধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ৫টার দিকে এ হামলা চালায়।
৬ ঘণ্টা আগে