এস আলমের গাড়িকাণ্ড: ওমরায় যেতে পারলেন না বিএনপির সেই নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০: ৪৫
Thumbnail image

চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুরুল রহমান চৌধুরীকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁকে বিদেশে যেতে দেয়নি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় শাহ আমানত বিমানবন্দর হয়ে সৌদি আরবে ওমরাহ করতে যাওয়ার পথে তাঁকে আটক করা হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

দেশের একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। ওই কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, এস আলমের গাড়িকাণ্ডের ঘটনায় ওই বিএনপি নেতাকে আটক করা হয়েছিল। তিনি বিদেশে যেতে পারেননি। তাঁর বিরুদ্ধে দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

গতকাল বুধবার রাতে নগরীর জামালখানের একটি উঁচু আবাসিক ভবনের পার্কিং থেকে এস আলম গ্রুপের একটি গাড়ি জব্দ করে পুলিশ। পার্কিং লটে আরও দুটি গাড়ি ছিল। পুলিশ সেখানে পৌঁছার আগেই সেই গাড়ি দুটি সরিয়ে ফেলা হয়। ওই ভবনের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন বিএনপির এই নেতা।

রাত ১০টার দিকে ‘সানমার বিল্ডিং’ নামের ভবনটি থেকে গাড়িটি জব্দ করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ‘চট্ট-মেট্রো-ঘ-১১-৫৩৪৪’। 

পুলিশ ও বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) সূত্রে জানা গেছে, গাড়িটি এস আলম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সোনালী লজিস্টিকসের নামে নিবন্ধিত। রেজিস্ট্রেশনে নগরীর আসাদগঞ্জ এলাকায় এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন একটি ভবনের ঠিকানা রয়েছে।

বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা এস আলমের গাড়ি কেলেঙ্কারি কাণ্ডের বিষয়ে মঞ্জুরুল রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। সেটির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে বিমানবন্দরে আটক করে রাখা হয়। তিনি সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে যাচ্ছিলেন। আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাঁর ফ্লাইট ছিল। তবে তিনি ওই ফ্লাইটে যেতে পারেননি।

নিজের ফ্ল্যাটের নিচে পার্কিং থেকে এস আলমের গাড়ি আটক করার বিষয়ে জানতে চাইলে মঞ্জুরুল রহমান বলেছিলেন, ‘আমাদের পার্কিংয়ে এস আলমের গাড়ি কে রেখেছিল আমি জানি না। আমিও অন্য সবার মতো এই ভবনে থাকি।’

২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যাতে দেখা যায়, এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি কালুরঘাট এলাকার একটি কারখানা থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ওই ভিডিওতে গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার সঙ্গে বিএনপির কয়েকজন নেতার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতে বিএনপির চট্টগ্রাম দক্ষিণ শাখার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনামসহ আরও একজনকে তাঁদের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া বিএনপির চট্টগ্রাম দক্ষিণ শাখার আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক পরিবহন প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন একটি গাড়িতে করে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর জনসাধারণের তোপের মুখে পড়েন। এ জন্য তিনি পরে ক্ষমা চান। তিনি বলেন, গাড়িটি কার তিনি জানতেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত