বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
দাদার করা মামলা চালান নাতি—দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে এটি প্রচলিত প্রবাদ। এ অবস্থার উত্তরণ ঘটিয়ে দেওয়ানি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। কমিশন মনে করে, এই সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে দেওয়ানি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। আইনজ্ঞরাও তা-ই মনে করছেন।
জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এগুলো প্রাথমিক প্রস্তাব। আইনগত সহায়তা কার্যক্রম কীভাবে সম্প্রসারণ করা যায় এবং আইন সংশোধন করে তাঁরা কীভাবে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে পারেন, সে বিষয়ে চিন্তা করছি। আশা করছি, সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হলে দেওয়ানি মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা কমবে।’
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন দেওয়ানি মামলাসংক্রান্ত সুপারিশ সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। কমিশনের সূত্র জানায়, সুপারিশে বলা হয়েছে, দেওয়ানি কার্যবিধি ও তৎসংশ্লিষ্ট আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার মাধ্যমে সমন জারির ব্যবস্থাকে ত্বরান্বিত করতে হবে। জারিকারকদের যথোপযুক্ত ভ্রমণভাতা ও আনুষঙ্গিক খরচের জন্য বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে। দেওয়ানি মামলায় জবাব দাখিলের ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়সীমা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। মামলার সকল পর্যায়ে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিকে উৎসাহিত করতে হবে। মামলার চূড়ান্ত শুনানি পর্যায় সংক্ষিপ্ত করতে হবে।
দেওয়ানি মামলা নিয়ে কাজ করা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেওয়ানি কার্যবিধির আদেশ ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ ঠিকমতো প্রয়োগ হয় না। এগুলো ঠিকভাবে পালন করলেও মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দিকনির্দেশনা রয়েছে। সেটি অনুসরণ করা উচিত। তিনি বলেন, আরজি ও জবাব দাখিলের পরই বিচারক নির্ধারণ করতে পারেন তিনি কোন দিকে এগোবেন বা এগোবেন কি না? তবে বিচারক দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় চলে যান, যাতে নিষ্পত্তি বিলম্বিত হয়।
সুপারিশে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রচলিত সংক্ষিপ্ত মেমো অব আপিল বা রিভিশনের দরখাস্তের পরিবর্তে বিস্তারিত কারণ উল্লেখপূর্বক মেমো/দরখাস্ত দাখিল এবং এসবের বিপরীতে বিস্তারিত লিখিত উত্তর দাখিল বাধ্যতামূলক করতে হবে। একই সঙ্গে শুনানি পর্যায়ে আইনজীবীর অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে ওই সব মেমো/দরখাস্ত বিশ্লেষণ করে গুণাগুণের ভিত্তিতে রায় দিতে হবে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, জনবল নিয়োগ ও বাজেট বরাদ্দ করতে হবে।
সুপারিশে আরও বলা হয়, দ্রুততম সময়ে আপিল/রিভিশন নিষ্পত্তি করতে হবে। প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে প্রতিটি জেলায় সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত এক বা একাধিক বিচারককে নির্দিষ্ট মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে অতি পুরোনো মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করতে হবে। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের নিয়মিতভাবে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ও অযথা সময়ক্ষেপণ নিরুৎসাহিত করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে বিচারকদের সব সিদ্ধান্তের স্বচ্ছতা এবং বিচারপ্রার্থী জনগণের কাছে সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
জানতে চাইলে ফরিদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মোসাদ্দেক আহমদ বশির আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য প্রতিটি মামলায় বাধ্যতামূলক একটি পদক্ষেপ আছে। কিন্তু এ পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি হয় না। বিচারক বিরোধীয় ভূমি স্বচক্ষে কখনো দেখেন না। না দেখে রায় দেওয়ার কারণে সঠিকভাবে দেওয়ানি মামলাগুলো নিষ্পত্তি হয় না। এ জন্য অধিকাংশ রায়ের বিরুদ্ধেই আপিল বা রিভিশন হয়। তিনি বলেন, অধিকাংশ বিচারক এজলাসে বসে আদেশ বা রায় ঘোষণা না করে খাসকামরায় গিয়ে দেন। এটি বন্ধ করে অবশ্যই এজলাসে বসে রায় বা আদেশ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
কমিশনের সুপারিশে আরও বলা হয়, বিদ্যমান সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং উপজেলা সদর পর্যায়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিচারব্যবস্থাসহ লিগ্যাল এইড কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে হবে। প্রতিটি জেলায় এবং হাইকোর্ট বিভাগে মনিটরিং প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করতে হবে।
দাদার করা মামলা চালান নাতি—দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে এটি প্রচলিত প্রবাদ। এ অবস্থার উত্তরণ ঘটিয়ে দেওয়ানি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। কমিশন মনে করে, এই সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে দেওয়ানি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। আইনজ্ঞরাও তা-ই মনে করছেন।
জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এগুলো প্রাথমিক প্রস্তাব। আইনগত সহায়তা কার্যক্রম কীভাবে সম্প্রসারণ করা যায় এবং আইন সংশোধন করে তাঁরা কীভাবে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে পারেন, সে বিষয়ে চিন্তা করছি। আশা করছি, সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হলে দেওয়ানি মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা কমবে।’
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন দেওয়ানি মামলাসংক্রান্ত সুপারিশ সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। কমিশনের সূত্র জানায়, সুপারিশে বলা হয়েছে, দেওয়ানি কার্যবিধি ও তৎসংশ্লিষ্ট আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার মাধ্যমে সমন জারির ব্যবস্থাকে ত্বরান্বিত করতে হবে। জারিকারকদের যথোপযুক্ত ভ্রমণভাতা ও আনুষঙ্গিক খরচের জন্য বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে। দেওয়ানি মামলায় জবাব দাখিলের ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়সীমা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। মামলার সকল পর্যায়ে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিকে উৎসাহিত করতে হবে। মামলার চূড়ান্ত শুনানি পর্যায় সংক্ষিপ্ত করতে হবে।
দেওয়ানি মামলা নিয়ে কাজ করা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেওয়ানি কার্যবিধির আদেশ ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ ঠিকমতো প্রয়োগ হয় না। এগুলো ঠিকভাবে পালন করলেও মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দিকনির্দেশনা রয়েছে। সেটি অনুসরণ করা উচিত। তিনি বলেন, আরজি ও জবাব দাখিলের পরই বিচারক নির্ধারণ করতে পারেন তিনি কোন দিকে এগোবেন বা এগোবেন কি না? তবে বিচারক দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় চলে যান, যাতে নিষ্পত্তি বিলম্বিত হয়।
সুপারিশে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রচলিত সংক্ষিপ্ত মেমো অব আপিল বা রিভিশনের দরখাস্তের পরিবর্তে বিস্তারিত কারণ উল্লেখপূর্বক মেমো/দরখাস্ত দাখিল এবং এসবের বিপরীতে বিস্তারিত লিখিত উত্তর দাখিল বাধ্যতামূলক করতে হবে। একই সঙ্গে শুনানি পর্যায়ে আইনজীবীর অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে ওই সব মেমো/দরখাস্ত বিশ্লেষণ করে গুণাগুণের ভিত্তিতে রায় দিতে হবে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, জনবল নিয়োগ ও বাজেট বরাদ্দ করতে হবে।
সুপারিশে আরও বলা হয়, দ্রুততম সময়ে আপিল/রিভিশন নিষ্পত্তি করতে হবে। প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে প্রতিটি জেলায় সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত এক বা একাধিক বিচারককে নির্দিষ্ট মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে অতি পুরোনো মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করতে হবে। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের নিয়মিতভাবে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ও অযথা সময়ক্ষেপণ নিরুৎসাহিত করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে বিচারকদের সব সিদ্ধান্তের স্বচ্ছতা এবং বিচারপ্রার্থী জনগণের কাছে সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
জানতে চাইলে ফরিদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মোসাদ্দেক আহমদ বশির আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য প্রতিটি মামলায় বাধ্যতামূলক একটি পদক্ষেপ আছে। কিন্তু এ পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি হয় না। বিচারক বিরোধীয় ভূমি স্বচক্ষে কখনো দেখেন না। না দেখে রায় দেওয়ার কারণে সঠিকভাবে দেওয়ানি মামলাগুলো নিষ্পত্তি হয় না। এ জন্য অধিকাংশ রায়ের বিরুদ্ধেই আপিল বা রিভিশন হয়। তিনি বলেন, অধিকাংশ বিচারক এজলাসে বসে আদেশ বা রায় ঘোষণা না করে খাসকামরায় গিয়ে দেন। এটি বন্ধ করে অবশ্যই এজলাসে বসে রায় বা আদেশ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
কমিশনের সুপারিশে আরও বলা হয়, বিদ্যমান সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং উপজেলা সদর পর্যায়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিচারব্যবস্থাসহ লিগ্যাল এইড কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে হবে। প্রতিটি জেলায় এবং হাইকোর্ট বিভাগে মনিটরিং প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করতে হবে।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেয়ালের গ্রাফিতিতে যে আকাঙ্ক্ষার কথা প্রকাশ করা হয়েছে, তার সঙ্গে যাঁরা সরকারে বসেছেন বা তাঁদের ঘনিষ্ঠদের চিন্তায় সেটা নেই। তাঁদের মধ্যে বৈষম্যবাদী রাজনীতি, সংস্কৃতি দেখতে পাচ্ছি। অন্যান্য জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করার প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি।’
৬ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের জমানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কী ভূমিকা পালন করেছে, এটা নিয়ে কোনো সমালোচনা না করে উপাচার্য, উপ-উপাচার্যকে দাওয়াত দিয়ে পাপমোচন হবে না। তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বীণা সিক্রি থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। সেনাপ্রধান এক বিরল প্রেস ব্রিফিংয়ে স্পষ্ট করেই বলেছেন, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে...
৭ ঘণ্টা আগেগত জুলাই ও আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বে তিন সপ্তাহের আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও নির্বিচার গুলিতে এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও হাজার হাজার।
৯ ঘণ্টা আগে