Ajker Patrika

গোলাগুলিতে বান্দরবানে আতঙ্ক, প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না

জমির উদ্দিন, বান্দরবান থেকে
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১: ৩০
গোলাগুলিতে বান্দরবানে আতঙ্ক, প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না

বান্দরবানের থানচি থানা লক্ষ্য করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গুলির পর আলীকদম উপজেলায় পুলিশ ও সেনাদের একটি যৌথ তল্লাশি চৌকিতে ট্রাক নিয়ে হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফের সন্ত্রাসীরা। গতকাল গভীর রাতে ওই হামলা চালায় তারা। এ দুই হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তবে দুটি ঘটনায় পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর কেউ হতাহত হয়নি।

এদিকে এ ঘটনায় পুরো বান্দরবানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলার মানুষ বেশি আতঙ্কে রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। দোকানপাটে জনসমাগম কমে গেছে।

এ বিষয়ে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. শাহ আলম বলেন, সব জায়গায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

স্থানীয় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সন্ত্রাসীরা থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় প্রায় ১০০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। রাতে সংঘর্ষের সময়কার কিছু ছবি এসেছে আজকের পত্রিকার হাতে। সেখানে থানার পাশে পুলিশকে অ্যাকশনের ভূমিকায় দেখা গেছে। পাহাড়ের দিকে গুলি ছুড়ছে তারা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি চলে।

তবে থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, সন্ত্রাসীরা থানার আশপাশে রয়েছে। এ জন্য আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।’

আজ সকালে বান্দরবান সরকারি কলেজ এলাকাআজ শুক্রবার সকালে বান্দরবান সদর থেকে থানচির দিকে গাড়ি কম চলাচল করতে দেখা গেছে। পারতপক্ষে কেউ থানচির দিকে যাচ্ছে না। সবার মধ্যে ভয় কাজ করছে। বান্দরবান সদর থেকে রুমা ও থানচি পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। 

আজকের পত্রিকার থানচি প্রতিনিধি জানান, গোলাগুলির পর পুরো থানচিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। থানার আশপাশের বাড়িঘরের মানুষ বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। তবে গোলাগুলি থামার পর তারা আবার বাড়িতে চলে আসে। সকাল ৮টা পর্যন্ত থানচি ঘুরে পরিস্থিতি শান্ত দেখেছেন আমাদের প্রতিনিধি।

রুমা উপজেলার সোনালি ব্যাংকের যে শাখায় কেএনএফ হামলা চালায়, সেটির পাশের দোকানি মো. আলমগীর। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, হামলার পর সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দোকানে মানুষও কম আসছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছে না।

রুমা উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারী মো. আবুল খায়ের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৪০ বছর চাকরিজীবনে এ রকম পরিস্থিতি দেখিনি। সশস্ত্র হামলার পর সবার মধ্যে ভয় কাজ করছে। আমরা পাহাড়ে শান্তি চাই।’

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত