নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
হরতালের আগের রাতে জামালপুরে আন্তনগর ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে রেলওয়ে প্রশাসন। ট্রেনে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। যাত্রীবেশে সাদা পোশাকে থাকবে আইন–শৃঙ্খলা বাহিনী। স্টেশনগুলোতে পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে তারাকান্দি যাওয়ার সময় আন্তনগর যমুনা এক্সপ্রেসে আগুন ধরিয়ে দেয় একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে আজ রোববার একটি মামলা দায়ের করেছেন সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী মাস্টার আব্দুস সালাম।
সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনের নিরাপত্তার জন্য ইতিমধ্যে রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছে। ঢাকা–চট্টগ্রামের মধ্যে ৮০ টির মতো স্টেশন রয়েছে। বড় স্টেশন রয়েছে দশটি। প্রতিটি স্টেশনে পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাশকতা প্রতিরোধে বড় স্টেশনগুলোতে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা, আবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতিরিক্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। পুলিশের পাশাপাশি তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবে আনসার সদস্যরাও।
রেলওয়ের পরিবহন বিভাগ জানায়, বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ও সিলেটে নয় জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ছয় জোড়া লোকাল ও মেইল ট্রেনও চলাচল করে। লোকবল স্বল্পতার কারণে আন্তনগর ট্রেনে তিনজন করে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও লোকাল ট্রেনগুলোতে কোনো সদস্য মোতায়েন নেই।
তথ্য মতে, চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে গণপরিবহনের পাশাপাশি আন্দোলনকারীরা ট্রেনকেও টার্গেটে পরিণত করেছে। ট্রেনে আগুন দেওয়া, রেললাইন উপড়ে ফেলা, স্টেশনে ককটেল হামলা করে আতঙ্ক সৃষ্টি করাই তাদের লক্ষ্য। এমন অবস্থায় ট্রেনকে নিরাপদ রাখতে প্রতিটি ট্রেনে বাড়তি পুলিশ মোতায়েনের বিকল্প নেই।
রেলওয়ে পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রতিটি ট্রেনে পাঁচজন করে পুলিশ মোতায়েন করতে পারলে, নাশকতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। এর কম হলে, নাশকতাকারীদের প্রতিরোধ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। কারণ, পুলিশ সদস্য কম হলে নাশকতাকারীরা পুলিশ সদস্যদের ওপর চড়াও হতে সহজ হবে।’
এ বিষয়ে রেলওয়ে সহকারী পুলিশ সুপার ঊর্মি দেব আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘প্রতিটি ট্রেনে তিনজন করে পুলিশ মোতায়েনের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু লোকবল স্বল্পতার কারণে তাও সম্ভব হচ্ছে না। এখন ট্রেনে নাশকতা রোধে আমরা অতিরিক্ত পুলিশের চাহিদা চেয়েছি। শিগগিরই প্রতিটি ট্রেনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করতে পারব।’
এদিকে চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর আন্তনগর ট্রেন থেকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী–আরএনবি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে এখন শুধু পুলিশ।
২০০৬ সাল থেকে আন্তনগর ট্রেনের যাত্রী, গার্ড ও লোকোটিভ মাস্টারের নিরাপত্তায় আরএনবি মোতায়েন শুরু হয়। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে অর্থাৎ চট্টগ্রাম থেকে চলাচল করা প্রতিটি ট্রেনে এত দিন একজন হাবিলদারের নেতৃত্বে চারজন আরএনবি সদস্য থাকত। যাদের দায়িত্ব ছিল ট্রেন যাত্রীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি নিষিদ্ধ পণ্য ও চোরাচালান ঠেকানো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরএনবির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে ২০২৫টি পদের বিপরীতে বর্তমানে আরএনবি সদস্য আছেন ১ হাজার ৩০০ জন। এই ১ হাজার ৩০০ জন ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। তার মতে, চলমান ট্রেনে নাশকতা ঠেকাতে আরএনবিকে আগের অবস্থায় ফেরানো ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।’
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আরএনবির বিষয়ে এখনো কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে, নাশকতা প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের রেলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিরাপদ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
হরতালের আগের রাতে জামালপুরে আন্তনগর ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে রেলওয়ে প্রশাসন। ট্রেনে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। যাত্রীবেশে সাদা পোশাকে থাকবে আইন–শৃঙ্খলা বাহিনী। স্টেশনগুলোতে পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে তারাকান্দি যাওয়ার সময় আন্তনগর যমুনা এক্সপ্রেসে আগুন ধরিয়ে দেয় একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে আজ রোববার একটি মামলা দায়ের করেছেন সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী মাস্টার আব্দুস সালাম।
সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনের নিরাপত্তার জন্য ইতিমধ্যে রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছে। ঢাকা–চট্টগ্রামের মধ্যে ৮০ টির মতো স্টেশন রয়েছে। বড় স্টেশন রয়েছে দশটি। প্রতিটি স্টেশনে পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাশকতা প্রতিরোধে বড় স্টেশনগুলোতে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা, আবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতিরিক্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। পুলিশের পাশাপাশি তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবে আনসার সদস্যরাও।
রেলওয়ের পরিবহন বিভাগ জানায়, বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ও সিলেটে নয় জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ছয় জোড়া লোকাল ও মেইল ট্রেনও চলাচল করে। লোকবল স্বল্পতার কারণে আন্তনগর ট্রেনে তিনজন করে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও লোকাল ট্রেনগুলোতে কোনো সদস্য মোতায়েন নেই।
তথ্য মতে, চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে গণপরিবহনের পাশাপাশি আন্দোলনকারীরা ট্রেনকেও টার্গেটে পরিণত করেছে। ট্রেনে আগুন দেওয়া, রেললাইন উপড়ে ফেলা, স্টেশনে ককটেল হামলা করে আতঙ্ক সৃষ্টি করাই তাদের লক্ষ্য। এমন অবস্থায় ট্রেনকে নিরাপদ রাখতে প্রতিটি ট্রেনে বাড়তি পুলিশ মোতায়েনের বিকল্প নেই।
রেলওয়ে পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রতিটি ট্রেনে পাঁচজন করে পুলিশ মোতায়েন করতে পারলে, নাশকতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। এর কম হলে, নাশকতাকারীদের প্রতিরোধ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। কারণ, পুলিশ সদস্য কম হলে নাশকতাকারীরা পুলিশ সদস্যদের ওপর চড়াও হতে সহজ হবে।’
এ বিষয়ে রেলওয়ে সহকারী পুলিশ সুপার ঊর্মি দেব আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘প্রতিটি ট্রেনে তিনজন করে পুলিশ মোতায়েনের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু লোকবল স্বল্পতার কারণে তাও সম্ভব হচ্ছে না। এখন ট্রেনে নাশকতা রোধে আমরা অতিরিক্ত পুলিশের চাহিদা চেয়েছি। শিগগিরই প্রতিটি ট্রেনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করতে পারব।’
এদিকে চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর আন্তনগর ট্রেন থেকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী–আরএনবি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে এখন শুধু পুলিশ।
২০০৬ সাল থেকে আন্তনগর ট্রেনের যাত্রী, গার্ড ও লোকোটিভ মাস্টারের নিরাপত্তায় আরএনবি মোতায়েন শুরু হয়। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে অর্থাৎ চট্টগ্রাম থেকে চলাচল করা প্রতিটি ট্রেনে এত দিন একজন হাবিলদারের নেতৃত্বে চারজন আরএনবি সদস্য থাকত। যাদের দায়িত্ব ছিল ট্রেন যাত্রীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি নিষিদ্ধ পণ্য ও চোরাচালান ঠেকানো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরএনবির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে ২০২৫টি পদের বিপরীতে বর্তমানে আরএনবি সদস্য আছেন ১ হাজার ৩০০ জন। এই ১ হাজার ৩০০ জন ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। তার মতে, চলমান ট্রেনে নাশকতা ঠেকাতে আরএনবিকে আগের অবস্থায় ফেরানো ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।’
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আরএনবির বিষয়ে এখনো কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে, নাশকতা প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের রেলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিরাপদ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সরকার হবে। যেখানে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কিন্তু দুঃখজনক...
১ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত একটি সংলাপে খুলনার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ শনিবার...
২ ঘণ্টা আগেভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি, সরবরাহ সংকটের প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আজ শনিবার সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানা ও বোতলজাতকরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁরা সিটি গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করে প্রায় এক একর পাহাড়ি জায়গা উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শনিবার নগরীর আকবরশাহ উত্তর লেকসিটি, সুপারিবাগান ও ইসলামাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকা থেকে এসব বসতি উচ্ছেদ করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে