লক্ষ্মীপুরে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা, গাড়ি ভাঙচুর, আহত ৫ 

লক্ষ্মীপুর, রায়পুর ও রামগঞ্জ ( লক্ষ্মীপুর ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ মে ২০২৪, ১৭: ০১
Thumbnail image

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টাকালে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন পাঁচজন। ভাঙচুর করা হয়েছে একটি মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও তিনটি অটোরিকশা।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কাজিরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন রাহিম হোসেন, মেহেদী হাসান, মনির হোসেন, ফয়সাল ইসলাম, রাজু হোসেন, শাওন ইসলাম ও তানভীর। তাঁরা সবাই আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাতের কর্মী-সমর্থক।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাতের আনারস প্রতীকের সমর্থকেরা কাজিরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের প্রতিরোধ করেন।

খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ ও জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের নেতৃত্বে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাতজনকে আটক করে।

এ ছাড়া কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে বাদুর ইউপি চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেনকে আটক করা হয়েছে। দুপুরে উপজেলার বাদুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তাঁকে আটক করা হয়। তবে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাত কেন্দ্র দখলের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

অপরদিকে রায়পুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুনুর রশিদের সামনে তাঁর সমর্থকেরা প্রতিপক্ষের কবির পাটওয়ারী ও নুর নবী নামে দুই কর্মীকে মারধর করেন। সকাল ১০টার দিকে রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ছবিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ভোট গ্রহণের শুরুতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন হাওলাদারের এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেয় চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুনুর রশিদ। তিনি লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের ভগ্নিপতি।

চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন হাওলাদারের প্রধান এজেন্ট ইছমাইল হোসেন খোকন বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘সামান্য ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে ওই দুজন আমার কর্মী।’

পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ভোটাররা যেন সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুই উপজেলার ১৮১টি ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত