বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫ জেলায় রোববার থেকে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮: ৩১
Thumbnail image

সম্প্রতি দুর্ঘটনায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা, চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার শ্রমিক নেতাদের মুক্তিসহ কয়েক দফা আগামীকাল রোববার ভোর থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছেন মালিক-শ্রমিকেরা। 

আজ শনিবার সকালে নগরের বিআরটিসি এলাকায় বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের বৈঠক শেষে এই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল ভোর ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা কোনো গণপরিবহন চলবে না। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে এই ধর্মঘট চলবে। 

বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ঐক্য পরিষদের সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো. মুছা। তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট চার দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। ধর্মঘটের আওতার বাইরে থাকবে ব্যক্তিগত যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য যানবাহন।’ 

আজ বৈঠকে ঐক্যপরিষদের আহ্বায়ক মনজুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু উপস্থিত ছিলেন। মালিক-শ্রমিক ঐক্যবদ্ধভাবে এই ধর্মঘট পালন করবে বলে জানানো হয়েছে।

ঐক্য পরিষদের সদস্যসচিব মুছা বলেন, ‘শনিবার বৈঠকে চারটি বিষয়ে দাবি তুলে এই ধর্মঘট বাস্তবায়নের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। প্রথম দাবি হলো—মালিক-শ্রমিকদের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়াই যাতে কোনোভাবে গ্রেপ্তার, জেল কিংবা মামলা না দেওয়া হয়; চাঁদাবাজির অভিযোগে ইতিপূর্বে গ্রেপ্তার শ্রমিকদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া ও মামলা প্রত্যাহার করা। 

‘দ্বিতীয় দাবি হলো—সম্প্রতি চুয়েটে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় পরে বাসচালক গ্রেপ্তার হয়েছে, মামলা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর আমাদের তিনটি বাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কাপ্তাই রাস্তা সড়ক দিয়ে কোনো গাড়ি চলাচল করতে দিচ্ছে না। সেখানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার দাবি জানানো হয়েছে। 

‘তিন নম্বর দাবির মধ্যে রয়েছে—হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও মহাসড়কে নিবন্ধনহীন অটোরিকশা, ইজিবাইক, টমটমসহ নিবন্ধনহীন শত শত গাড়ি চলছে। এ ছাড়া মোটরসাইকেলে তিনজন করে যাত্রী উঠছে। এসব গাড়ির কারণে মূলত দুর্ঘটনা ঘটছে। এই ধরনের গাড়ির চলাচল বন্ধ করতে হবে। 

‘চার নম্বর দাবি হচ্ছে, একটি প্রভাবশালী মহল কোনো রকম আইনি তোয়াক্কা না করেই, মালিক-শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ 

গত সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হন। এর জের ধরে ওই দিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। এরই মধ্যে গত বুধবার ওই বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হয়। 

পরবর্তীকালে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চুয়েটের মূল ফটকের সামনের সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। এরপর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। ওই বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনও করেন। 

পরিবহন শ্রমিক নেতারা আজ দাবি করেছেন, কাপ্তাই সড়কে এখনো যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত