নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ।
সরকার পতনের পর স্থানীয় লোকজন ও দলের নেতা-কর্মীরাই বলছেন, সরকারি উন্নয়নমূলক কাজের কমিশন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করত এই দুই বাহিনী। গত ৫ আগস্টের পর মায়া চৌধুরীসহ তাঁর বাহিনীর লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন এখনো চলছে।
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলে জানা গেছে, মতলব উত্তরের মায়ার বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন মামুন ওরফে কুত্তা মামুন, রিয়াদ, রিয়াজুল ইসলাম, শরীফ ও ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার। দক্ষিণের নেতৃত্বে ছিলেন মতলব পৌরসভার সাবেক মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আলী বাদল এবং জেলা পরিষদ সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন ফরাজি।
সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারেরা এই দুই বাহিনীর নাম বললেও কেউ নিজে টাকা দেওয়ার কথা সরাসরি স্বীকার না করে অন্যকে দেখিয়ে দেন।
উন্নয়নমূলক কাজের কমিশন
মতলব উত্তর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন বেড়িবাঁধ রক্ষায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্লক বসানোর কাজ থেকে মায়া চৌধুরী ১০ শতাংশ কমিশন নিয়েছেন বলে প্রকল্পের একটি সূত্র জানিয়েছে। স্থানীয় আলাউদ্দিন সরকার, বাতেন চেয়ারম্যান, লধুয়া গ্রামের রিপন পাটওয়ারী যৌথভাবে এই কাজের ঠিকাদার ছিলেন।
ঠিকাদার আলাউদ্দিন সরকার জানান, তিনি ব্লকের কাজ করেছেন সংস্কারমূলক। তাঁর কাজ ছিল ছোট। তাঁকে এমপির লোকজন তেমন বিরক্ত করেননি। তবে মতলব দক্ষিণের আওয়ামী লীগ সভাপতি এইচ এম কবিরের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন নিয়েছেন।
পরে এইচ এম কবিরকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমি সরাসরি কাজ করি নাই। আমার ছোট ভাইসহ কয়েকজন ব্লকের কাজের ঠিকাদার।’ এমপির লোকজন কমিশন নিয়েছেন সরাসরি স্বীকার না করলেও তিনি বলেন, কাজ করলে লাভ-লোকসান হবেই।
এদিকে স্থানীয় সরকারের অধীন দুই উপজেলার গ্রামীণ উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ৭০০ কোটি টাকার কাজ এবং মতলব উত্তরে নির্মাণাধীন হাই-টেক পার্কের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কমিশন নিয়েছেন মায়া চৌধুরী। তবে এই বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীসহ কেউ নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
টাকার বিনিময়ে দলীয় মনোনয়ন
২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন এবং সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রত্যেক চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন ও সমর্থন দিতে টাকা নেওয়া হয়েছে। মায়া চৌধুরীর পক্ষে এ কাজে যুক্ত ছিলেন তাঁর প্রয়াত ছেলে দীপু চৌধুরী।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন হাফিজ মাস্টার। তিনি নৌকার প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করার কথা স্বীকার করেন। তবে টাকা দেওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আপনি আমার সামনে আসেন, তখন বলব।’
মতলব দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এইচ এম কবির বলেন, ‘সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মায়া চৌধুরী আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে সমর্থন করেননি। বরং উল্টো তাঁর লোকজন দিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। এ বিষয়ে ওই সময় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমি যাকে তাঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি, সেই সিরাজুল মোস্তফা তালুকদারকে তিনি মনোনয়ন নিয়ে দিয়েছেন।’
একই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী রিপন মীর বলেন, ‘আমি কখনো টাকা দিয়ে নৌকার মনোনয়ন পাইনি। দল থেকেই আমাকে দিয়েছে। তবে আমাদের ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন টাকা দিয়ে নৌকার প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছেন।’
অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ন্ত্রণ
২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মায়া চৌধুরী ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী। ওই সময় মেঘনা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে তাঁর ছেলে দীপু চৌধুরী, স্ত্রীসহ পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে প্রতিদিন ২০ লাখ টাকা ওঠানো হতো। এলাকাভিত্তিক এই কাজ করতেন তাঁর আত্মীয় আহার খালাসি, বোরহান খালাসি ও ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার। আর ওই টাকা ঢাকায় পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করতেন মোহনপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান বালু মিজান, ছ্যাঙ্গারচর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম জজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাস্টার।
এই বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল মৃধা বলেন, মায়া চৌধুরী যতবারই এমপি এবং মন্ত্রী হয়েছেন, তিনি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছেন।
দলের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন
মায়ার প্রতিহিংসার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল মৃধা বলেন, ‘তাঁর অত্যাচারের কারণে ৫ মাস বিভিন্ন জায়গায় থেকে ৫ আগস্টের পরে বাড়িতে এসেছি।’
মায়া চৌধুরীর নিজ ইউনিয়ন মোহনপুর। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁর চাচাতো ভাই বাবুল চৌধুরী। তিনি মারা যাওয়ার পর ২০২৩ সালে উপনির্বাচন হয়। সেখানে নৌকা প্রতীক পান কাজী মিজানুর রহমান। তিনি মায়া চৌধুরীর মতের বিরুদ্ধের লোক হওয়ায় তাঁর পরিবর্তে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইকে নৌকা এনে দেন। এরপর শুরু হয় কাজী মিজানের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও হামলা-মামলা।
কাজী মিজান বলেন, ‘আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্র ভেঙে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে তার লোকজন। আমার ২০ কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। এসব ঘটনায় আমি তার লোকজনের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা দিয়েছি।’
বিরোধী দমন
চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদা বলেন, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলায় নেতা-কর্মীরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বহু গায়েবি মামলার আসামি হয়েছেন আমাদের নেতা-কর্মীরা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিক ফোন দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। আর দুই উপজেলায় তাঁর বাহিনীর লোকজনও সরকার পতনের পর আত্মগোপনে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ।
সরকার পতনের পর স্থানীয় লোকজন ও দলের নেতা-কর্মীরাই বলছেন, সরকারি উন্নয়নমূলক কাজের কমিশন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করত এই দুই বাহিনী। গত ৫ আগস্টের পর মায়া চৌধুরীসহ তাঁর বাহিনীর লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন এখনো চলছে।
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলে জানা গেছে, মতলব উত্তরের মায়ার বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন মামুন ওরফে কুত্তা মামুন, রিয়াদ, রিয়াজুল ইসলাম, শরীফ ও ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার। দক্ষিণের নেতৃত্বে ছিলেন মতলব পৌরসভার সাবেক মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আলী বাদল এবং জেলা পরিষদ সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন ফরাজি।
সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারেরা এই দুই বাহিনীর নাম বললেও কেউ নিজে টাকা দেওয়ার কথা সরাসরি স্বীকার না করে অন্যকে দেখিয়ে দেন।
উন্নয়নমূলক কাজের কমিশন
মতলব উত্তর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন বেড়িবাঁধ রক্ষায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্লক বসানোর কাজ থেকে মায়া চৌধুরী ১০ শতাংশ কমিশন নিয়েছেন বলে প্রকল্পের একটি সূত্র জানিয়েছে। স্থানীয় আলাউদ্দিন সরকার, বাতেন চেয়ারম্যান, লধুয়া গ্রামের রিপন পাটওয়ারী যৌথভাবে এই কাজের ঠিকাদার ছিলেন।
ঠিকাদার আলাউদ্দিন সরকার জানান, তিনি ব্লকের কাজ করেছেন সংস্কারমূলক। তাঁর কাজ ছিল ছোট। তাঁকে এমপির লোকজন তেমন বিরক্ত করেননি। তবে মতলব দক্ষিণের আওয়ামী লীগ সভাপতি এইচ এম কবিরের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন নিয়েছেন।
পরে এইচ এম কবিরকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমি সরাসরি কাজ করি নাই। আমার ছোট ভাইসহ কয়েকজন ব্লকের কাজের ঠিকাদার।’ এমপির লোকজন কমিশন নিয়েছেন সরাসরি স্বীকার না করলেও তিনি বলেন, কাজ করলে লাভ-লোকসান হবেই।
এদিকে স্থানীয় সরকারের অধীন দুই উপজেলার গ্রামীণ উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ৭০০ কোটি টাকার কাজ এবং মতলব উত্তরে নির্মাণাধীন হাই-টেক পার্কের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কমিশন নিয়েছেন মায়া চৌধুরী। তবে এই বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীসহ কেউ নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
টাকার বিনিময়ে দলীয় মনোনয়ন
২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন এবং সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রত্যেক চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন ও সমর্থন দিতে টাকা নেওয়া হয়েছে। মায়া চৌধুরীর পক্ষে এ কাজে যুক্ত ছিলেন তাঁর প্রয়াত ছেলে দীপু চৌধুরী।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন হাফিজ মাস্টার। তিনি নৌকার প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করার কথা স্বীকার করেন। তবে টাকা দেওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আপনি আমার সামনে আসেন, তখন বলব।’
মতলব দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এইচ এম কবির বলেন, ‘সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মায়া চৌধুরী আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে সমর্থন করেননি। বরং উল্টো তাঁর লোকজন দিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। এ বিষয়ে ওই সময় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমি যাকে তাঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি, সেই সিরাজুল মোস্তফা তালুকদারকে তিনি মনোনয়ন নিয়ে দিয়েছেন।’
একই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী রিপন মীর বলেন, ‘আমি কখনো টাকা দিয়ে নৌকার মনোনয়ন পাইনি। দল থেকেই আমাকে দিয়েছে। তবে আমাদের ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন টাকা দিয়ে নৌকার প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছেন।’
অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ন্ত্রণ
২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মায়া চৌধুরী ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী। ওই সময় মেঘনা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে তাঁর ছেলে দীপু চৌধুরী, স্ত্রীসহ পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে প্রতিদিন ২০ লাখ টাকা ওঠানো হতো। এলাকাভিত্তিক এই কাজ করতেন তাঁর আত্মীয় আহার খালাসি, বোরহান খালাসি ও ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার। আর ওই টাকা ঢাকায় পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করতেন মোহনপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান বালু মিজান, ছ্যাঙ্গারচর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম জজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাস্টার।
এই বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল মৃধা বলেন, মায়া চৌধুরী যতবারই এমপি এবং মন্ত্রী হয়েছেন, তিনি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছেন।
দলের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন
মায়ার প্রতিহিংসার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল মৃধা বলেন, ‘তাঁর অত্যাচারের কারণে ৫ মাস বিভিন্ন জায়গায় থেকে ৫ আগস্টের পরে বাড়িতে এসেছি।’
মায়া চৌধুরীর নিজ ইউনিয়ন মোহনপুর। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁর চাচাতো ভাই বাবুল চৌধুরী। তিনি মারা যাওয়ার পর ২০২৩ সালে উপনির্বাচন হয়। সেখানে নৌকা প্রতীক পান কাজী মিজানুর রহমান। তিনি মায়া চৌধুরীর মতের বিরুদ্ধের লোক হওয়ায় তাঁর পরিবর্তে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইকে নৌকা এনে দেন। এরপর শুরু হয় কাজী মিজানের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও হামলা-মামলা।
কাজী মিজান বলেন, ‘আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্র ভেঙে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে তার লোকজন। আমার ২০ কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। এসব ঘটনায় আমি তার লোকজনের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা দিয়েছি।’
বিরোধী দমন
চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদা বলেন, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলায় নেতা-কর্মীরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বহু গায়েবি মামলার আসামি হয়েছেন আমাদের নেতা-কর্মীরা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিক ফোন দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। আর দুই উপজেলায় তাঁর বাহিনীর লোকজনও সরকার পতনের পর আত্মগোপনে।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
১ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
১ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৩ ঘণ্টা আগেফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি সেতুর নিচে ভৈরব নদের মাঝ বরাবর বড় পানির পাইপ রয়েছে। পাইপটি রক্ষায় নদীর ভেতর আড়াআড়িভাবে লোহার খাম্বা বসিয়ে বেড়া দেওয়ায় নদীটিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে নদীগর্ভে দ্রুত পলি জমছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌচলাচল।
স্থানীয়রা বলেন, ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নৌপথ সচল রাখতে ২০২০ সালে ভৈরব নদের সাড়ে ১৭ কিমি পুনঃখনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে খননের সুফল কাজে আসেনি। মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে খুলনা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় ফকিরহাট এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।
ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুকুন্দ পাল বলেন, নৌচলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। নৌপথ চালু থাকলে খুলনা, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট ও বরিশালের সঙ্গে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, ওয়াসার পাইপটি ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান সিদ্দিক বলেন, ওই স্থানে পাইপলাইনের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যন্ত্রপাতি এলে পাইপলাইনটি নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি সেতুর নিচে ভৈরব নদের মাঝ বরাবর বড় পানির পাইপ রয়েছে। পাইপটি রক্ষায় নদীর ভেতর আড়াআড়িভাবে লোহার খাম্বা বসিয়ে বেড়া দেওয়ায় নদীটিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে নদীগর্ভে দ্রুত পলি জমছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌচলাচল।
স্থানীয়রা বলেন, ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নৌপথ সচল রাখতে ২০২০ সালে ভৈরব নদের সাড়ে ১৭ কিমি পুনঃখনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে খননের সুফল কাজে আসেনি। মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে খুলনা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় ফকিরহাট এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।
ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুকুন্দ পাল বলেন, নৌচলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। নৌপথ চালু থাকলে খুলনা, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট ও বরিশালের সঙ্গে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, ওয়াসার পাইপটি ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান সিদ্দিক বলেন, ওই স্থানে পাইপলাইনের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যন্ত্রপাতি এলে পাইপলাইনটি নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ।
১৮ অক্টোবর ২০২৪
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
১ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৩ ঘণ্টা আগেমো. হোসাইন আলী কাজী

আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা ওই পথ ব্যবহার করছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য দুটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পরিত্যক্ত ওই ভবন দুটির মাঝখান দিয়েই আদালতের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মিত। প্রতিদিন বিচারকাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়ে আদালতে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দুটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবন দুটির বিভিন্ন অংশ থেকে ইট, পাথর ও বিম খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে জন্মেছে পরগাছা। ভেতরের অবস্থা এমন যে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকতে ভয় পান মানুষ। ভবন দুটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আদালতের সামনে এভাবে দুটি পরিত্যক্ত ভবন থাকা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আমাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবুবকর বলেন, আদালতের প্রবেশপথের দুই পাশে পরিত্যক্ত দুটি ভবন পড়ে আছে। ভবন ধসে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জেলা বার সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা জরুরি।
জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটি বহু আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এখনো সেগুলো অপসারণ করা হয়নি, তা আমারও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।

আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা ওই পথ ব্যবহার করছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য দুটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পরিত্যক্ত ওই ভবন দুটির মাঝখান দিয়েই আদালতের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মিত। প্রতিদিন বিচারকাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়ে আদালতে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দুটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবন দুটির বিভিন্ন অংশ থেকে ইট, পাথর ও বিম খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে জন্মেছে পরগাছা। ভেতরের অবস্থা এমন যে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকতে ভয় পান মানুষ। ভবন দুটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আদালতের সামনে এভাবে দুটি পরিত্যক্ত ভবন থাকা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আমাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবুবকর বলেন, আদালতের প্রবেশপথের দুই পাশে পরিত্যক্ত দুটি ভবন পড়ে আছে। ভবন ধসে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জেলা বার সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা জরুরি।
জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটি বহু আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এখনো সেগুলো অপসারণ করা হয়নি, তা আমারও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ।
১৮ অক্টোবর ২০২৪
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
১ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুকের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরের চাঁনপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মসলেম সরদার। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিএনজি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। স্থানীয়রা জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতন করা হলেও পরে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। এক পুরিয়া গাঁজার জন্য ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। পরে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখে যায় বাগমারা থানা-পুলিশ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরদিন সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বুধবার উপজেলা সদরে গেলে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকে রাখেন সিএনজি সমিতির সদস্যরা। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য মব সৃষ্টি করে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। চুরির কথা স্বীকার করাতে চার হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নগ্ন করে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। পানি খেতে চাইলে পাশের নদীতে চুবানো হয়। পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়া। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে এক পুরিয়া গাঁজা এনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশ সদস্যরা আর তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মুমূর্ষু ভ্যানচালক ফারুককে সাত দিন কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ওই রাতেই পুলিশ ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় কারাগারে দিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরদিন সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ফারুক মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারুকের বাবা মসলেম সরদারও ভ্যানচালক। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। চুরি না করলেও স্বীকার করাতে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফারুকের মা পারুল বেগম বলেন, ‘গরিব বলে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে প্রশাসন তাকে কারাগারে পাঠায়। সিএনজির লোকজন দেখায়, তার কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে। কিন্তু সে মাদক সেবন করত না। প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মৃতপ্রায় ছেলেকে জেলে দিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে। তখনো সঠিক চিকিৎসা হলে বেঁচে যেত। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবানীগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সামনাসামনি না গেলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি না। আদেশ হলে আমাদের কাজ কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করেছি।’ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুমূর্ষু ব্যক্তির চিকিৎসা না করিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা বলেন, তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন। সভা শেষে ফোন করবেন। পরে আর ফোন করেননি। আবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিভাগীয় কমিশনার ড. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুকের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরের চাঁনপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মসলেম সরদার। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিএনজি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। স্থানীয়রা জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতন করা হলেও পরে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। এক পুরিয়া গাঁজার জন্য ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। পরে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখে যায় বাগমারা থানা-পুলিশ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরদিন সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বুধবার উপজেলা সদরে গেলে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকে রাখেন সিএনজি সমিতির সদস্যরা। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য মব সৃষ্টি করে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। চুরির কথা স্বীকার করাতে চার হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নগ্ন করে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। পানি খেতে চাইলে পাশের নদীতে চুবানো হয়। পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়া। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে এক পুরিয়া গাঁজা এনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশ সদস্যরা আর তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মুমূর্ষু ভ্যানচালক ফারুককে সাত দিন কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ওই রাতেই পুলিশ ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় কারাগারে দিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরদিন সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ফারুক মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারুকের বাবা মসলেম সরদারও ভ্যানচালক। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। চুরি না করলেও স্বীকার করাতে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফারুকের মা পারুল বেগম বলেন, ‘গরিব বলে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে প্রশাসন তাকে কারাগারে পাঠায়। সিএনজির লোকজন দেখায়, তার কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে। কিন্তু সে মাদক সেবন করত না। প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মৃতপ্রায় ছেলেকে জেলে দিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে। তখনো সঠিক চিকিৎসা হলে বেঁচে যেত। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবানীগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সামনাসামনি না গেলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি না। আদেশ হলে আমাদের কাজ কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করেছি।’ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুমূর্ষু ব্যক্তির চিকিৎসা না করিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা বলেন, তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন। সভা শেষে ফোন করবেন। পরে আর ফোন করেননি। আবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিভাগীয় কমিশনার ড. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ।
১৮ অক্টোবর ২০২৪
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
১ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৩ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ।
১৮ অক্টোবর ২০২৪
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
১ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
১ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে