আগুনে দগ্ধ হয়ে গৃহবধূর মৃত্যু, স্বামী গ্রেপ্তার

চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি  
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭: ০০
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮: ২৭
Thumbnail image
গ্রেপ্তার আবদুল জব্বার। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে নাজমা আকতার (২০) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহতের স্বামী আবদুল জব্বারকে আজ শনিবার ভোররাতে উপজেলার হাশিমপুর পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নাজমা আকতারের ভাই তারেক বাদী হয়ে গতকাল রাতেই চন্দনাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এসব তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমরান আল হোসাইন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে হাশিমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হাশিমপুর বাউলিয়াপাড়া গ্রামে পারিবারিক বিষয়ে আবদুল জব্বারের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী নাজমা আকতারের ঝগড়া লাগে। এ সময় নাজমা রান্নাঘরে রান্না করছিলেন। ঝগড়ার একপর্যায়ে আবদুল জব্বার বাড়িতে প্লাস্টিক বোতলে রাখা অকটেন এনে রান্নাঘরে স্ত্রীর দিকে ছোড়েন। এ সময় চুলার আগুন অকটেনে লেগে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নাজমা আকতারের শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়। বাড়ির সদস্যরা নাজমা আকতারকে দ্রুত দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে চমেক হাসপাতালে পাঠান।

দোহাজারী হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক উর্মি চক্রবর্তী জানান, নাজমার শরীরের ৬০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। চেহারা পুড়ে কালো হয়ে গেছে। হাত, পা ও শ্বাসযন্ত্রসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাত ৩টার দিকে নাজমা মারা যান।

নিহত নাজমা বাউলিয়া পাড়া গ্রামের সেলিম উদ্দীনের মেয়ে। তাঁর স্বামী আবদুল জব্বারের বাড়ি জেলার দোহাজারী পৌরসভার জামিজুরী এলাকায়। ৬-৭ বছর আগে সামাজিকভাবে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের ঘরে দুই সন্তান রয়েছে। একমাস আগে পারিবারিক কলহের জেরে নাজমা অভিমান করে দক্ষিণ হাশিমপুর বাউলিয়াপাড়া গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। আবদুল জব্বার তাঁর শ্বশুর বাড়ি গিয়েই গতকাল রাতে এই ঘটনা ঘটান।

ওসি ইমরান আল হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। অকটেনের আগুনে দগ্ধ নাজমা গতকাল রাত ৩টার দিকে চমেক হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় রাত থেকে অভিযান চালিয়ে ভোররাতে স্বামী আবদুল জব্বারকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত