Ajker Patrika

খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে এসে গাড়ি চাপায় ২ হরিণের মৃত্যু

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২২, ০১: ৪১
খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে এসে গাড়ি চাপায় ২ হরিণের মৃত্যু

শিল্প স্থাপনের জন্য অধিগ্রহণ উপকূলীয় এলাকার ২৬ হাজার একর সংরক্ষিত বন উজাড় হওয়ায় খাদ্য ও মিঠা পানির সংকটে উপকূলীয় বন থেকে লোকালয়ে ছুটে আসছে মায়া হরিণ। ফলে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের মঘাদিয়া ঘোনা এলাকায় উপকূলীয় বেড়িবাঁধের ওপর গাড়ি চাপায় মৃত দুটি হরিণ উদ্ধার করা হয়। মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে পণ্য সরবরাহের কাজে নিয়োজিত গাড়ির চাপায় হরিণ দুটির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

শুক্রবার হরিণ দুটি উদ্ধার করে মাটিচাপা দেন বন বিভাগের মিরসরাই উপকূলীয় রেঞ্জের কর্মকর্তারা। শুক্রবার সন্ধ্যায় জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের মিরসরাই অর্থনৈতিক

অঞ্চলের কাজের জন্য উপকূলীয় ২৬ হাজার একর ম্যানগ্রোভ বন অধিগ্রহণ করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। যার দুই তৃতীয়াংশ বন ইতিমধ্যে কেটে ফেলা হয়েছে। যেখানে প্রায় ১ হাজির ৫০০ মায়া হরিণ রয়েছে। বনভূমি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে হরিণগুলো। এ ছাড়া খাদ্য ও মিঠা পানির সংকট থাকায় হরিণগুলো বনাঞ্চল ছেলে প্রায় লোকালয়ে এসে দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। 

উপকূলীয় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল গফুর মোল্লা বলেন, ‘উপকূলীয় প্রায় ২৬ হাজার একর ম্যানগ্রোভ বন বেজা অধিগ্রহণ করে ফেলেছে। যার দুই তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যেই কেটে ফেলা হয়েছে। বেড়িবাঁধের সড়কটি দিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্মাণকাজে ব্যবহৃত গাড়ি যাতায়াত করে। ওই গাড়িগুলোর চাপায় হরিণ দুটি মারা গিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে স্ত্রী হরিণ দুটি উদ্ধার করা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে হরিণ দুটি উদ্ধারের পর মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।’

আবদুল গফুর মোল্লা আরও বলেন, ‘খাবার ও মিষ্টি পানির জন্য রাতে বন থেকে লোকালয়ে যাওয়া বা আসার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে। মারা যাওয়া (স্ত্রী) হরিণ দুটির বয়স ১০ বছর হবে।’

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরী জানান, দুটি হরিণ উপকূলীয় বন থেকে রাতের বেলা রাস্তা পার হওয়ার সময় গাড়ি চাপায় মারা হয়। পরে উপকূলীয় বন বিভাগের কর্মকর্তারা খবর পেয়ে উদ্ধার করে হরিণ দুটি নিয়ে যায়। বনের জীবজন্তু বিপন্ন হওয়ার ফলে পরিবেশ বিরূপ প্রভাব পড়বে। এসব বন্যপ্রাণী রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) চট্টগ্রাম সমন্বয়ক এ এসএম জিয়াউর রহমান জানান, এতবড় বন উজাড় না করে বন্যপ্রাণী রক্ষার জন্য নির্দিষ্ট অভয়ারণ্যে রাখা প্রয়োজন ছিল। অপরিকল্পিতভাবে জীবজন্তু বিলুপ্ত করে শিল্পায়ন হলে এর কুফল সবাইকে ভোগ করতে হবে। 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাতীয় নির্বাচন: ভোট কমিটির নেতৃত্বে ডিসি–ইউএনওকে না রাখার চিন্তা

মাগুরার শিশুটি এখনো অচেতন, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ঈদে পুলিশের সহযোগী ফোর্স হবে বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, পাবে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

তিন নারী আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান

গত দশ বছর ভিসা না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশে আসতে পারিনি: মাইলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত