চাঁদপুর প্রতিনিধি
শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু তাঁর অর্থনীতিকে খুব সহজভাবে বলেছিলেন-আমি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চাই। একজন দুঃখী মানুষ কখন হাসে, যখন তার পেটে ভাত, পরনে কাপড় এবং মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকে। যখন তার ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার ব্যবস্থা থাকে, যখন আয় রোজগার এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য দল গঠন করলেন। ক্যান্টনমেন্ট থেকে যে দল গঠন হয়, সে দলতো আর গণতান্ত্রিক দল হয় না।’
আজ বৃহস্পতিবার চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অসহায়দের মধ্যে সমাজসেবার সহায়তার চেক, কৃষকদের সার–বীজ ও ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগী জেলেদের মধ্যে বকনা বাছুর বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এরশাদ, খালেদা জিয়া, হাওয়া ভবন, লুটপাট দেখেছি। আমরা দেখেছি ৭৫ এর হত্যাকারীদের তারা পুরস্কৃত করেছিল, তারা বিচার না করে তা বন্ধ করে দিয়েছিল। ৭১ এর হত্যাকারীদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়ে ৩০ লাখ শহীদের সঙ্গে, স্বাধীনতার সঙ্গে, দেশের মানুষের সঙ্গে বেইমানি করেছিল। একই ধারাবাহিকতায় চলছিল দেশ।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সর্বশেষ দেখেছি, এতিমদের অর্থ আত্মসাৎ, দেখেছি হাওয়া ও খোয়া ভবন। দেখেছি কীভাবে অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে আমাদের মানুষদের হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে ২১ বার হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে, গ্রেনেড এবং বোমা হামলা করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ছিল, তারা কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য কোনো কাজ করেনি। যে কারণে দেশে দারিদ্র্য কখনো চলে যায়নি বরং আরও খারাপ অবস্থা হয়েছে। তখন মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং উন্নয়নের তেমন সুযোগ তৈরি হয়নি। এরপর বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে ফিরে দীর্ঘ ১৫ বছর সংগ্রাম করেছেন। ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী হলেন, তখন দেশ স্বাধীনতার চেতনায় ফিরে গেল। চেতনাটা হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক এবং শোষণ বৈষম্যহীন সমাজ তৈরি করার।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা ১৯৯৬ সালে মানুষের ভোট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন। তখন থেকে চালু হয় বিধবা ভাতা, বৃদ্ধ ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তাদের ভাতা ও মাতৃত্বকালীন ভাতা। অর্থাৎ দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আশ্রয়ণ প্রকল্প করে, গুচ্ছগ্রাম, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘরে করে দেওয়া। মাত্র কয়েক দিন আগে ৪০ হাজার মানুষকে ঘর করে দিলেন। পৃথিবী এমন ঘটনা বিরল। এই পর্যন্ত চার লাখ মানুষকে ঘর দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে। যাদের ঘর ছিল না, জায়গা ছিল না। আজকে তাদের ঘর আছে এবং কর্মসংস্থানের জন্য নানা উদ্যোগ নিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আজকে কৃষককে বীজ ও সার দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির আমলে সার চাওয়ার অপরাধে ১৮ জন কৃষককে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ–পানি চাইলে গুলি করে মানুষ হত্যা করতে হবে কেন? শেখ হাসিনা বলেছেন, সারের পেছনে কৃষক ছুটতে হবে না, সার কৃষকের কাছে পৌঁছে যাবে। শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ করবেন, তা করেছেন। এখন আপনাদের সবার হাতে হাতে মোবাইল। আজকে মানুষ না খেয়ে থাকে না, সবার পরনে কাপড় আছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে গেলে ৩০ প্রকারের ওষুধ পাওয়া যায়। এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিয়ে তৈরি করছেন।’
এ সময় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী, হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, হাইমচর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বেপারী, হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হুমায়ুন প্রধানিয়া, হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু তাঁর অর্থনীতিকে খুব সহজভাবে বলেছিলেন-আমি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চাই। একজন দুঃখী মানুষ কখন হাসে, যখন তার পেটে ভাত, পরনে কাপড় এবং মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকে। যখন তার ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার ব্যবস্থা থাকে, যখন আয় রোজগার এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য দল গঠন করলেন। ক্যান্টনমেন্ট থেকে যে দল গঠন হয়, সে দলতো আর গণতান্ত্রিক দল হয় না।’
আজ বৃহস্পতিবার চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অসহায়দের মধ্যে সমাজসেবার সহায়তার চেক, কৃষকদের সার–বীজ ও ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগী জেলেদের মধ্যে বকনা বাছুর বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এরশাদ, খালেদা জিয়া, হাওয়া ভবন, লুটপাট দেখেছি। আমরা দেখেছি ৭৫ এর হত্যাকারীদের তারা পুরস্কৃত করেছিল, তারা বিচার না করে তা বন্ধ করে দিয়েছিল। ৭১ এর হত্যাকারীদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়ে ৩০ লাখ শহীদের সঙ্গে, স্বাধীনতার সঙ্গে, দেশের মানুষের সঙ্গে বেইমানি করেছিল। একই ধারাবাহিকতায় চলছিল দেশ।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সর্বশেষ দেখেছি, এতিমদের অর্থ আত্মসাৎ, দেখেছি হাওয়া ও খোয়া ভবন। দেখেছি কীভাবে অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে আমাদের মানুষদের হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে ২১ বার হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে, গ্রেনেড এবং বোমা হামলা করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ছিল, তারা কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য কোনো কাজ করেনি। যে কারণে দেশে দারিদ্র্য কখনো চলে যায়নি বরং আরও খারাপ অবস্থা হয়েছে। তখন মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং উন্নয়নের তেমন সুযোগ তৈরি হয়নি। এরপর বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে ফিরে দীর্ঘ ১৫ বছর সংগ্রাম করেছেন। ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী হলেন, তখন দেশ স্বাধীনতার চেতনায় ফিরে গেল। চেতনাটা হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক এবং শোষণ বৈষম্যহীন সমাজ তৈরি করার।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা ১৯৯৬ সালে মানুষের ভোট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন। তখন থেকে চালু হয় বিধবা ভাতা, বৃদ্ধ ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তাদের ভাতা ও মাতৃত্বকালীন ভাতা। অর্থাৎ দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আশ্রয়ণ প্রকল্প করে, গুচ্ছগ্রাম, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘরে করে দেওয়া। মাত্র কয়েক দিন আগে ৪০ হাজার মানুষকে ঘর করে দিলেন। পৃথিবী এমন ঘটনা বিরল। এই পর্যন্ত চার লাখ মানুষকে ঘর দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে। যাদের ঘর ছিল না, জায়গা ছিল না। আজকে তাদের ঘর আছে এবং কর্মসংস্থানের জন্য নানা উদ্যোগ নিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আজকে কৃষককে বীজ ও সার দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির আমলে সার চাওয়ার অপরাধে ১৮ জন কৃষককে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ–পানি চাইলে গুলি করে মানুষ হত্যা করতে হবে কেন? শেখ হাসিনা বলেছেন, সারের পেছনে কৃষক ছুটতে হবে না, সার কৃষকের কাছে পৌঁছে যাবে। শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ করবেন, তা করেছেন। এখন আপনাদের সবার হাতে হাতে মোবাইল। আজকে মানুষ না খেয়ে থাকে না, সবার পরনে কাপড় আছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে গেলে ৩০ প্রকারের ওষুধ পাওয়া যায়। এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিয়ে তৈরি করছেন।’
এ সময় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী, হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, হাইমচর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বেপারী, হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হুমায়ুন প্রধানিয়া, হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
২ মার্চকে ‘জাতীয় পতাকা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ২ মার্চ পতাকা দিবস ঘোষণার দাবিতে ‘হৃদয়ে পতাকা ২ মার্চ’ আয়োজিত প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি এই আহ্বা
১৯ মিনিট আগেদেশের বিশিষ্ট সম্পাদক এবং প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর সম্প্রতি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রেস উইং।
৪৪ মিনিট আগেবগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে দর্শন বিভাগের পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজিত কনসার্টে ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার রাত ৯টার দিকে সরকারি আজিজুল হক কলেজ (নতুন ভবন) ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেসেমিনারে বক্তারা বলেন, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা নানা কারণে ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও কার্যকর ও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। গণ-আন্দোলনের সাফল্য নিশ্চিত করতে হলে সামগ্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জন-আকাঙ্ক্ষাকে একটি কার্যকর রাজনৈতিক...
১ ঘণ্টা আগে