সবজি স্কোয়াশ চাষ করে সফল সবুজ হোসেন

বরুড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: 
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৬: ৪০
Thumbnail image

স্কোয়াশ এটি বিদেশি সবজি। বিগত কয়েক বছর বাংলাদেশে বিদেশি সবজি স্কোয়াশের চাষ হচ্ছে। এটি দেখতে অনেকটা শসার মতো। স্কোয়াশে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ আছে। এর পাতা ও কাণ্ড সবজি হিসেবে খাওয়া হয়।

এ সবজি সবুজ ও হলুদ দুই ধরনের রঙের হয়ে থাকে। অনেক আগে থেকে বাংলাদেশে স্কোয়াশের চাষ শুরু হলেও বরুড়া উপজেলায় এই সবজির চাষ শুরু হয়েছে এই প্রথম। 

সরেজমিনে দেখা যায়, স্কোয়াশের লতা কুমড়ার লতার মতো। লতার নিচে থাকে স্কোয়াশ। একেকটি স্কোয়াশের ওজন দুই থেকে দেড় কেজির মতো। একটি স্কোয়াশ গাছে গড়ে ১২-১৬ কেজি ফল হয়। প্রতি বিঘা জমিতে স্কোয়াশ উৎপাদনের জন্য খরচ হয় ৯-১০ হাজার টাকা। মুনাফা হয় ৬০-৭০ হাজার টাকা। স্থানীয় বাজারে সবজি হিসেবে স্কোয়াশ পরিচিত না হলেও বিভিন্ন সুপার শপে এর চাহিদা অনেক।

জানা যায়, বরুড়া উপজেলার মহেশপুর গ্রামে সবুজ হোসেন নামের এক তরুণ ইউটিউবে দেখে স্কোয়াশের চাষ শুরু করেন। এবং ধীরে ধীরে তিনি এ চাষে সফলতা পাচ্ছেন। 

Barura-2কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এটি শীতকালীন সবজি। স্কোয়াশ চাষের জন্য বেলে-দোআঁশ মাটি উপযুক্ত। ভালো ফলন পেতে হলে জমি গভীরভাবে চাষ করতে হয়। শীতকালীন সবজি হিসেবে চাষাবাদের জন্য সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে এর বীজ বপন করতে হয়। তবে আগাম শীতকালীন ফসলের জন্য আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরে জমিতে এ বীজ রোপণ করা হয়। বীজ রোপণের অল্প দিনের মধ্যেই গাছ বেড়ে ওঠে। ৩৫-৪০ দিনের মধ্যেই গাছে ফুল আসে। পরাগায়নের ১০-১৫ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করতে হয়। বীজ লাগানো থেকে ফল তুলতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই মাস। কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের মাঠে স্কোয়াশের বেশি চাষ হলেও বরুড়া উপজেলায় এই প্রথম স্কোয়াশের চাষ শুরু হয়েছে। 

এ বিষয়ে বরুড়ার মহেশপুর গ্রামের কৃষক সবুজ হোসেন জানান, তিনি এই প্রথম স্কোয়াশের চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছেন। নিজে খাচ্ছেন এবং বাজারে বিক্রি করছেন। এ ছাড়া ৩৪ শতাংশ কৃষিজমিতে স্কোয়াশের পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে ক্যাপসিকামের চাষও করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত