Ajker Patrika

গাঁজা খাওয়ার সময় সিগারেট নিয়ে হাতাহাতি, বন্ধুর ইটের আঘাতে বন্ধু খুন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
গাঁজা খাওয়ার সময় সিগারেট নিয়ে হাতাহাতি, বন্ধুর ইটের আঘাতে বন্ধু খুন

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের বাকিপুর গ্রামের অটোরিকশা চালক মামুনুর রশিদকে (২০) হত্যার ঘটনায় তাঁর বন্ধু সোহাগকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত মামুন ও গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ছিলেন। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিয়েছেন আসামি সোহাগ। 

আজ রোববার বিকেলে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে মামুন হত্যার ঘটনায় আসামি সোহাগকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, অটোরিকশা চালানোর সুবাদে গত ১ বছর পূর্বে মামুনুর রশিদের সঙ্গে পরিচয় হয় আরেক অটোরিকশা চালক সোহাগের। এরপর থেকে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে তাঁরা দুজন বিভিন্ন সময় একসঙ্গে গাঁজা সেবন করতেন। গত ২২ জানুয়ারি সোহাগ মোবাইলে মামুনকে জানায় রাতে তাঁরা একসঙ্গে গাঁজা সেবন করবেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাধবসিংহ গ্রামের গাজী আলাউদ্দিনের বাড়ির পশ্চিম পাশের সুপারি বাগানে সিগারেট নিয়ে আসে সোহাগ। পরে দুজন মিলে গাঁজা সেবন করেন। 

মামুনুর রশিদের হত্যার বিচার দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধনগাঁজা সেবন করার একপর্যায়ে সিগারেট নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ সময় সোহাগকে স্যান্ডেল খুলে ছুঁড়ে মারেন মামুন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একটি ইটের ভাঙা অংশ দিয়ে মামুনের মাথায় আঘাত করে এবং অন্ডকোষে লাথি মারে সোহাগ। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ইটের টুকরাটি পাশের পুকুরে ফেলে পালিয়ে যান সোহাগ। গত ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই বাগান থেকে মামুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত মামুনের বাবা কবির হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় পুলিশ গত ২৭ জানুয়ারি রাতে প্রথমে সুবর্ণচরে অভিযান চালিয়ে নিহত মামুনের বন্ধু সোহাগকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে মামুনের ব্যবহৃত জুতা, একটি মানিব্যাগ, ইটের টুকরা ও এক পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করে।

এদিকে আজ রোববার দুপুরে মামুন হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজগঞ্জ-ছয়ানী সড়কে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এ সময় একটি বিক্ষোভ মিছিলও করে স্থানীয়রা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রাজগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর চৌধুরী সেলিম, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফরিদসহ নিহতের পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী। তাঁরা দ্রুত হত্যাকারী সোহাগসহ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত