Ajker Patrika

সুবর্ণচরে কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ মে ২০২৪, ১৭: ১৫
সুবর্ণচরে কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে বেড়ি বাঁধ ভেঙে দুইটি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। তবে আজ সোমবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৫টা) কোথাও কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। 

জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পর্যবেক্ষক) রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নোয়াখালীতে আজ ভোর থেকে থেমে থেমে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে বাতাসের গতি নির্ধারণের ব্যবস্থা না থাকায় সুনির্দিষ্টভাবে তা নির্ধারণ করা হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। এ ছাড়া দুপুর পর্যন্ত জেলা শহর ও সুবর্ণচরে ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।’ 

চরজুবিলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ খসরু বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ১০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হলো মুজিব নগর। বেড়ি বাঁধ না থাকায় সেখানকার বেশির ভাগ কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে পুরো মতলব মাঝি সমাজ ও নতুন সমাজ ৪-৫ ফুট পানিতে ডুবে গেছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ঝড় হওয়া ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় কোনো এলাকা থেকে সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।’ 

চরজব্বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বলেন, ‘কাঁচা পাকা ঘর ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ঈমান আলী বাজারে পাশে জোয়ারের পানিতে একটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।’ 

ফায়ার সার্ভিসের লোকজনসুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল আমিন সরকার বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝড়ো বাতাসে সুবর্ণচরের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ে সড়ক যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে পাঠিয়ে গাছ কেটে চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। 

এ ছাড়া ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে কাঁচা ঘরবাড়ির ক্ষতি হতে পারে। তবে ঝড়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় এবং গতকাল রাত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় কোথায় যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সে কারণে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত কোনো তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে না।’ তবে তিনি সংশ্লিষ্ট এলাকার চেয়ারম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান। 

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পেতে কিছুটা সময় লাগবে। তিনি সংশ্লিষ্ট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য বলেছেন। তবে প্রাথমিকভাবে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে তিন হাজার ৩২৮টি বাড়িঘর আংশিক এবং ২৮টি বাড়িঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়া তথ্য পাওয়া গেছে।’ ক্ষতিক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির তথ্য পাইনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত