ভুল নম্বর থেকে পরিচয়, দেখা করতে গেলে তুলে নিয়ে ধর্ষণ

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৩, ২০: ৫৫

এক মাদ্রাসাছাত্রী (১৯) সহপাঠীর মোবাইলে কল দেওয়ার সময় ভুলে কল চলে যায় নাজিমুল হক সুমন (২৬) নামের এক যুবকের কাছে। এরপর বারবার মেয়েটিকে কল দিতে থাকে সুমন। একপর্যায়ে বিভিন্ন প্রলোভনে দেখিয়ে দেখা করতে বলেন। মেয়েটি দেখা করতে গেলে তাঁকে অপহরণ করে খালাবাড়ি নিয়ে ধর্ষণ করে সুমন। 

এমন অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে। এ ঘটনায় আজ সোমবার ভুক্তভোগী ওই তরুণী নিজে বাদী হয়ে সুমনসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে চরজব্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। 

মামলায় নাম উল্লেখ করা অপর দুই আসামি হলেন রুমি আক্তার (২৩) ও মর্জিনা আক্তার (৪৩)। মর্জিনা উপজেলার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার মো. শাহিনের স্ত্রী। এ মামলায় আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। নাজিমুল হক সুমন জেলা সদরের নেওয়াজপুর ইউনিয়নর পূর্ব সাহাপুর গ্রামের হাজী মজিবুল হকের ছেলে।

মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী সূবর্ণচর উপজেলার স্থানীয় একটি মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গত চার মাস আগে মোবাইল ফোন থেকে এক সহপাঠীকে কল দেওয়ার সময় নম্বর ভুল হয়ে নাজিমুল হক সুমনের (২৬) কাছে কল চলে যায়। পরে সুমন তাকে প্রতিনিয়ত কল করতে থাকে। এরপর সুমন প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়। 

মেয়েটি এসব প্রস্তাবে রাজি না হলে শুধু একবার দেখা করার অনুরোধ করে। মেয়েটি গত ২৯ এপ্রিল জেলা শহর মাইজদীতে দেখা করতে যায়। এ সময় সুমন ও তার সহযোগীরা মেয়েটিকে অপহরণ করে সদরের লক্ষ্মীনারায়ণপুরে মর্জিনা আক্তারের ‘ইসমাইলামিয়া চৌকিদার বাড়ি’তে নিয়ে যায়।। 

সেখানে রুমি ও মর্জিনা আক্তারের সহযোগিতায় সুমন মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে বসতঘরে আটকে রাখে। এরপর গতকাল রোববার ভোরে একটি মোবাইল কাছে পেয়ে মেয়েটি কৌশলে তার ভাইয়ের মুঠোফোনে ম্যাসেজ দিয়ে অপহরণের ঘটনা ও অবস্থানের খবর দেন। পরে তরুণীর ভাই চরজব্বার থানায় অভিযোগ দেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়। 

সুমন পলাতক থাকায় তাঁর মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে তাঁর বাবা হাজী মজিবুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ছেলে দোষী হলে আদালত যে শাস্তি দেবে তা তিনি মেনে নেবেন। ভুক্তভোগীরা যেহেতু আদালতে মামলা দিয়েছে তাই আদালতের মাধ্যমে সবকিছু ফয়সালা হবে।’ 

এ বিষয়ে চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত