নোয়াখালী ও হাতিয়া প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে শুক্রবার রাত থেকে দেশের উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে সমুদ্রে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদে সরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নোয়াখালীর হাতিয়ায় বেশির ভাগ ঘাটে এখনো ফেরেনি তিন শতাধিক মাছ ধরার ট্রলার। গভীর সমুদ্রে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের অভাবে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন ট্রলার মালিকসহ জেলেদের স্বজনেরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ দেশের উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে আঘাত হানতে পারে। গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
হাতিয়ার উপকূলবর্তী বেশ কয়েকটি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু ট্রলার ঘাটে নোঙর করা রয়েছে। কাটাখালী ঘাট, আমতলী ঘাট, জঙ্গোলিয়া ঘাট, মুক্তারিয়া ঘাট ও চেয়ারম্যান ঘাটসহ বিভিন্ন ঘাট ঘুরে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের কথা জানার পরও গত ৮, ৯ ও ১০ মে বিভিন্ন ঘাট থেকে মাছ ধরতে প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ ট্রলার গভীর সমুদ্রে গেছে। সেগুলোর মধ্যে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ঘাটে ফিরেছে প্রায় অর্ধেক ট্রলার। অনেকের সঙ্গে তারা মোবাইলে কথা বলতে পেরেছেন এবং যাঁরা সতর্কবার্তা সম্পর্কে জানেন, রাতের মধ্যে ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া অনেকগুলো ট্রলার নেটওয়ার্কের বাইরে থাকায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। ট্রলারে রেডিও বার্তা শুনে, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই তাঁরা ফিরে আসবেন বলে প্রত্যাশা ফিরে আসা জেলেদের।
হাতিয়া বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নবির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ছোট-বড় মাছ ধরার ঘাট রয়েছে প্রায় ৪০টি। এসব ঘাট থেকে মাছ শিকারে নদী ও গভীর সমুদ্রে যায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ট্রলারম যার মধ্যে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করে অন্তত ১ হাজার ট্রলার।
জাহাজমারা আমতলী গ্রামের বাসিন্দা জেলে আবুল কাশেম। এক সপ্তাহ আগে ফিশিং ট্রলারে সাগরে যান। শনিবার দুপুর পর্যন্ত তীরে ফিরে আসেননি তিনি। আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হয় কাশেমের স্ত্রী জয়নব বানুর। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীরে মোবাইলে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই ট্রলারে আরও ১৭ জন আছে। তাদের মোবাইলেও কল যাচ্ছে না। খুবই চিন্তা হচ্ছে।’
আমতলী গ্রামের মোটরসাইকেলচালক মো. রাসেল আজকের পত্রিকা জানান, গত বছর সিত্রাংয়ে তাঁর ভাই সোহেলসহ একটি ট্রলার সাগরে ডুবে যায়। পাঁচ দিন পর মহিপুরে একটি ট্রলার তাঁকে জীবিত উদ্ধার করে। এবার ভয়ে সাগরে যাননি তাঁর ভাই। তবে তাঁদের বাড়ির পাশে অনেক ট্রলার সাগরে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেকে ফিরে এলেও আমতলী ঘাটের হাসেম মাঝির ট্রলারসহ ৮-১০টি ট্রলার এখনো সাগরে অবস্থান করছে। সাগরে থাকা ট্রলারের জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না ফেরে পরিবারের সদস্যরা উৎকণ্ঠার মধ্যে আছে।
জাহাজমারা ট্রলারের মালিক মাইন উদ্দিন আজকের পত্রিকা জানান, জাহাজমারা কাটাখালী ঘাটে দুই শতাধিক ফিশিং ট্রলার রয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক ট্রলার ঘাটে ফিরে এলেও এখনো সাগরে রয়েছে অনেকে। মাছ ধরার ট্রলারগুলোতে জিপিএস ট্র্যাকার ও ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক থাকলে সেগুলোর অবস্থান নির্ণয় ও মাঝি-মাল্লাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হতো। গত বছর সিত্রাংয়ের সময় হাতিয়ায় দুটি মাছ ধরার ট্রলার বঙ্গোপসাগরের বইডুবি এলাকায় ডুবে যায়। পরবর্তী সময়ে ওই ঘটনায় ৩ জেলের লাশ, ২১ জনকে জীবিত উদ্ধারসহ ৮ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাই ঘাটে না ফেরা ট্রলারগুলো নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কায়সার খসরু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বোট মালিক, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ওই ট্রলারগুলোর ঘাটে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া শনিবার সকালে সাগরে থাকা ট্রলারের বিষয়ে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডকে অবগত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পুরোপুরি আঘাত হানার আগে তাঁদের নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে শুক্রবার রাত থেকে দেশের উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে সমুদ্রে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদে সরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নোয়াখালীর হাতিয়ায় বেশির ভাগ ঘাটে এখনো ফেরেনি তিন শতাধিক মাছ ধরার ট্রলার। গভীর সমুদ্রে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের অভাবে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন ট্রলার মালিকসহ জেলেদের স্বজনেরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ দেশের উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে আঘাত হানতে পারে। গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
হাতিয়ার উপকূলবর্তী বেশ কয়েকটি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু ট্রলার ঘাটে নোঙর করা রয়েছে। কাটাখালী ঘাট, আমতলী ঘাট, জঙ্গোলিয়া ঘাট, মুক্তারিয়া ঘাট ও চেয়ারম্যান ঘাটসহ বিভিন্ন ঘাট ঘুরে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের কথা জানার পরও গত ৮, ৯ ও ১০ মে বিভিন্ন ঘাট থেকে মাছ ধরতে প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ ট্রলার গভীর সমুদ্রে গেছে। সেগুলোর মধ্যে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ঘাটে ফিরেছে প্রায় অর্ধেক ট্রলার। অনেকের সঙ্গে তারা মোবাইলে কথা বলতে পেরেছেন এবং যাঁরা সতর্কবার্তা সম্পর্কে জানেন, রাতের মধ্যে ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া অনেকগুলো ট্রলার নেটওয়ার্কের বাইরে থাকায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। ট্রলারে রেডিও বার্তা শুনে, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই তাঁরা ফিরে আসবেন বলে প্রত্যাশা ফিরে আসা জেলেদের।
হাতিয়া বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নবির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ছোট-বড় মাছ ধরার ঘাট রয়েছে প্রায় ৪০টি। এসব ঘাট থেকে মাছ শিকারে নদী ও গভীর সমুদ্রে যায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ট্রলারম যার মধ্যে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করে অন্তত ১ হাজার ট্রলার।
জাহাজমারা আমতলী গ্রামের বাসিন্দা জেলে আবুল কাশেম। এক সপ্তাহ আগে ফিশিং ট্রলারে সাগরে যান। শনিবার দুপুর পর্যন্ত তীরে ফিরে আসেননি তিনি। আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হয় কাশেমের স্ত্রী জয়নব বানুর। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীরে মোবাইলে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই ট্রলারে আরও ১৭ জন আছে। তাদের মোবাইলেও কল যাচ্ছে না। খুবই চিন্তা হচ্ছে।’
আমতলী গ্রামের মোটরসাইকেলচালক মো. রাসেল আজকের পত্রিকা জানান, গত বছর সিত্রাংয়ে তাঁর ভাই সোহেলসহ একটি ট্রলার সাগরে ডুবে যায়। পাঁচ দিন পর মহিপুরে একটি ট্রলার তাঁকে জীবিত উদ্ধার করে। এবার ভয়ে সাগরে যাননি তাঁর ভাই। তবে তাঁদের বাড়ির পাশে অনেক ট্রলার সাগরে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেকে ফিরে এলেও আমতলী ঘাটের হাসেম মাঝির ট্রলারসহ ৮-১০টি ট্রলার এখনো সাগরে অবস্থান করছে। সাগরে থাকা ট্রলারের জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না ফেরে পরিবারের সদস্যরা উৎকণ্ঠার মধ্যে আছে।
জাহাজমারা ট্রলারের মালিক মাইন উদ্দিন আজকের পত্রিকা জানান, জাহাজমারা কাটাখালী ঘাটে দুই শতাধিক ফিশিং ট্রলার রয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক ট্রলার ঘাটে ফিরে এলেও এখনো সাগরে রয়েছে অনেকে। মাছ ধরার ট্রলারগুলোতে জিপিএস ট্র্যাকার ও ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক থাকলে সেগুলোর অবস্থান নির্ণয় ও মাঝি-মাল্লাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হতো। গত বছর সিত্রাংয়ের সময় হাতিয়ায় দুটি মাছ ধরার ট্রলার বঙ্গোপসাগরের বইডুবি এলাকায় ডুবে যায়। পরবর্তী সময়ে ওই ঘটনায় ৩ জেলের লাশ, ২১ জনকে জীবিত উদ্ধারসহ ৮ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাই ঘাটে না ফেরা ট্রলারগুলো নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কায়সার খসরু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বোট মালিক, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ওই ট্রলারগুলোর ঘাটে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া শনিবার সকালে সাগরে থাকা ট্রলারের বিষয়ে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডকে অবগত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পুরোপুরি আঘাত হানার আগে তাঁদের নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে...
৬ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) পিকনিকের দোতলা বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
৩৬ মিনিট আগেবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং তাঁর জীবন নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’। নিয়োগ দেওয়া হয় ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুনকে (মুনতাসীর মামুন)।
১ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন ছেলে হোসাইন মোহাম্মদ আবিদ (২৮)। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বড়ুয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নেশার টাকা না পেয়ে মাকে আবিদ হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত আনোয়ারা বেগম মেরী (৫৫) ওই এলাকার নিয়াজ আহমেদের স্ত্রী
১ ঘণ্টা আগে