নাফ নদীতে দেড় লাখ ইয়াবা ফেলে পালাল চোরাকারবারিরা 

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৩, ১৩: ১২

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অভিযান চালালে  দেড় লাখ  ইয়াবা ফেলে পালিয়েছে চোরাকারবারিরা। এ সময় তাদের রেখে যাওয়া একটি কাঠের নৌকা জব্দ করা হয়েছে। আজ সোমবার ভোরে এ অভিযান চালানো হয়। টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনের সাবরাং বিওপি’র বিআরএম-৪ থেকে আনুমানিক দেড় কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে আশিকানি এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে বলে জানতে পারে বিজিবি। এর প্রেক্ষিতে সাবরাং বিওপি থেকে একটি টহলদল সোমবার ভোরে এলাকাটিতে পৌঁছে। তারপর কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কেওড়া বাগানে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর টহলদল ৪ জন ব্যক্তিকে একটি কাঠের নৌকায় চেপে সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে  বাংলাদেশের আনুমানিক ২০০ গজ ভেতরে নাফ নদীর কিনারায় আসতে দেখে। 

বিজিবি সূত্রে আরও জানা যায়, নৌকার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় টহলদল দূর থেকে চ্যালেঞ্জ করে। কিন্তু তীরে পৌঁছা নৌকাটি থেকে ওই চারজন লাফিয়ে পড়ে এ পাশের কেওড়া বাগানের ভেতরে পালিয়ে যায়। এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে টহলদল তল্লাশি চালিয়ে কাঠের নৌকাটির ভেতর থেকে কালো পলিথিন দিয়ে মোড়া ৩টি থলে উদ্ধার করে। এগুলো থেকে দেড় লাখ ইয়াবা জব্দ করা হয়। অবৈধ মাদকদ্রব্য বহন করায় কাঠের নৌকাটিও জব্দ করা হয়। টহলদল এলাকায় সকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে কোনো চোরাকারবারি কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করতে পারেনি। তবে চোরাকারবারিদের শনাক্ত করার জন্য ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, উদ্ধার করা নৌকা টেকনাফ শুল্ক গুদামে জমা করার পর ইয়াবাগুলো ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম গ্রহণ করে এগুলো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত