Ajker Patrika

ওপারে যাঁরা ইলিশ চাইছেন, তাঁরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন: রিজওয়ানা হাসান

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮: ৫৫
ওপারে যাঁরা ইলিশ চাইছেন, তাঁরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন: রিজওয়ানা হাসান

ভারতে উপহার হিসেবে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে না উল্লেখ করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘ইলিশ রপ্তানি করা হবে। রপ্তানির টাকা বাংলাদেশ সরকার পাবে। সেটা খুব ছোট করে দেখার মতো না। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ এখনো যায়নি, একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ওপার থেকে যাঁরা ইলিশ চাইছেন, তাঁরাও কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেক সমর্থন দিয়েছেন, সেটি আমরা সবাই দেখেছি।’ 

আজ সোমবার সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছোট ফেনী নদীর ভেঙে যাওয়া মুছাপুর রেগুলেটর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। 

নদী থেকে বালু উত্তোলন জাতীয় দস্যুতায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘বালু উত্তোলনের মাধ্যমে নদীর ড্রেজিং কি বালু ব্যবসায়ীদের কাছে তুলে দেব, নাকি সরকারিভাবে ড্রেজিং করা হবে তা ভাবার সময় এসেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘নদীতে যেখানে বালু আছে, সেখানেই জেলা প্রশাসকেরা মানুষের শত আপত্তি সত্ত্বেও রাজস্ব আয়ের কথা চিন্তা করে বালুমহাল ঘোষণা দেন। বালুমহাল ঘোষণার যেমন সুযোগ আছে, তেমনি বিলুপ্তির সুযোগ আছে।’ 

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘মুছাপুরে নদীর পাড়ে আসার কারণ হচ্ছে, সমস্যাটা সরকারের চশমা দিয়ে না দেখে মানুষের চোখ দিয়ে দেখার জন্য। মানুষ আর সরকার ভিন্ন সত্তা হলে পরিবর্তন হবে না। মানুষকে আর সরকারকে এক জায়গায় এসে সমস্যার সমাধানে যেতে হবে। আমরা নদীতীরবর্তী এলাকায় এসে স্থানীয় মানুষের কথা শুনলাম।’ 

উপদেষ্টা জানান, সরকারি হিসাবমতে, প্রতিবছর নদীভাঙনে ৩০ হাজার মানুষ নিঃস্ব হয়, যা বেসরকারি হিসাবে ১ লাখের বেশি। 

লোনাপানির আগ্রাসন ঠেকাতে মুছাপুর রেগুলেটর মেরামত করা লাগবে উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘রেগুলেটর দিনে দিনে তৈরি করা সম্ভব নয়। এটার একটা প্রক্রিয়া আছে। আমরা যদি দ্রুতগতিতেও রেগুলেটর নির্মাণ করতে চাই, তা-ও দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে। এখানে যে চর হয়েছে, সেখানের বালু সরিয়ে দেওয়ার জন্য এলাকাবাসী প্রস্তাব দিয়েছে। নদীতে ড্রেজিংয়ের পাশাপাশি মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং করতে হবে।’ 
 
তিনি আরও বলেন, ‘নদী থেকে বালু উত্তোলন জাতীয় দস্যুতায় পরিণত হয়েছে। যেখানেই নদীতে বালু আছে, সেখানেই জেলা প্রশাসকেরা মানুষের শত আপত্তি সত্ত্বেও রাজস্ব আয়ের কথা চিন্তা করে বালুমহাল ঘোষণা করে দেয়। বালুমহাল ঘোষণার যেমন সুযোগ আছে, তেমনি বিলুপ্তিরও সুযোগ আছে।’ 

উপদেষ্টার পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঁইয়া, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সি আমীর ফয়সাল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত