Ajker Patrika

চিন্ময়ের পক্ষে চট্টগ্রাম আদালতে ঢাকার আইনজীবী, নিয়ম মেনে আসতে বললেন বিচারক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭: ০৩
চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী। ছবি: সংগৃহীত
চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কারাগারে বন্দী বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর হয়ে চট্টগ্রাম আদালতে আইনি লড়াই চালাতে আসা ঢাকার এক আইনজীবীকে ফিরে যেতে হয়েছে। আসামিপক্ষে ওকালতনামা, আসামির আইনজীবীর অনুমতিপত্র না থাকাসহ আইনি লড়াই চালাতে যেসব প্রচলিত নিয়ম রয়েছে সেগুলোর কোনোটিই না তার ছিল না। পরে আদালত ওই আইনজীবীর দায়ের করা তিনটি আবেদনই নামঞ্জুর করে দিয়েছেন।

আজ বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক সাইফুল ইসলাম উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রবীন্দ্র ঘোষ নামে ওই আইনজীবীর দরখাস্ত নন মেইটেইনেবল বলে নামঞ্জুর করেছেন। বিষয়টি আজকের পত্রিকা’কে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী।

তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামিপক্ষে সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনটি দরখাস্ত দিয়েছেন। একটি চিন্ময়ের মামলার শুনানির আবেদন, আরেকটি মামলার নথি উপস্থাপন এবং অন্যটি জামিন শুনানির তারিখ এগিয়ে আনার জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আদালত যথারীতি দুই পক্ষের কথা শোনেন। যেহেতু ঢাকা থেকে আসা ওই আইনজীবীর সঙ্গে চট্টগ্রাম বারের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না, আসামির পক্ষে ওনার ওকালতনামা নেই এবং আসামিপক্ষে যে ফাইলিং আইনজীবী ছিলেন, ওনার লিখিত অনুমতিও ছিল না। তাই আদালত ওনার তিনটি দরখাস্ত নট মেইন্টেইনেবল বলে নামঞ্জুর করেছেন।’

রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, ‘শুনানি, নথি উপস্থাপন বা যে কোনো দরখাস্তের জন্য অবশ্যই চট্টগ্রাম বারের একজন আইনজীবীর ওকালতনামা দিতে হবে অথবা এনগেইজড কোনো আইনজীবীকে বলতে হবে যে-ঢাকা থেকে যিনি এসেছেন, তাঁকে তিনি ক্ষমতা দিয়েছেন। এটা ওনার কাছে না থাকায় আদালত আবেদনগুলো রিজেক্ট করে দিয়েছেন।’

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবীরা বলছেন, বেলা ১১টায় আদালতে চিন্ময়ের মামলার শুনানির শুরুতে রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘আমি জানি এই বারের একজন আইনজীবী (সাইফুল ইসলাম আলিফ) মারা গেছেন’।

এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই হত্যাকাণ্ডের শিকার আইনজীবী আলিফকে ‘শহীদ’ না বলায় এজলাসে উপস্থিত আইনজীবীরা একসঙ্গে প্রতিবাদ করেন। এ সময় এজলাসে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

পরবর্তীতে আদালত অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষের কাছে জানতে চান, তাঁর পক্ষে চট্টগ্রাম বারের কোনো আইনজীবীর ওকালতনামা আছে কি না, বা মামলা পরিচালনার জন্য আসামিপক্ষের আইনজীবীদের অনুমতি আছে কি না। পরে আদালত আসামিপক্ষে আসা আইনজীবীকে আইন অনুসরণ করে আসতে বলে তাঁর দরখাস্ত নামঞ্জুর করেন।

এ দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে ঢাকা থেকে আইনজীবী আসার খবরে আদালত চত্বরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হয়। সকাল থেকে আদালতের প্রবেশমুখ থেকে শুরু করে আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি।

উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এ সময় আসামিকে প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নেওয়ার সময় তাঁর অনুসারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

এর আগে হাকিম আদালতে জামিন নামঞ্জুরের পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন। এ সময় আদালত পরদিন ২৭ নভেম্বর মামলার জামিনের শুনানির তারিখ দেন।

সংঘর্ষ চলাকালে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি স্থাপনা। আলিফ হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লের আদালত এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। আলিফ হত্যার প্রতিবাদে আইনজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবীর সমিতি আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে দুই দিন আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করেন। এতে জামিন শুনানি স্থগিত থাকে।

গত ৩ ডিসেম্বর মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফের চিন্ময়ের জামিন শুনানি হলে চিন্ময় কৃষ্ণের পক্ষে কোনো আইনজীবী না দাঁড়ানোয় শুনানি পিছিয়ে আগামী ২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

পুলিশ জানায়, এই সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এই পর্যন্ত ৬টি মামলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

খুলনা প্রতিনিধি
তনিমা তন্বী। ছবি: আজকের পত্রিকা
তনিমা তন্বী। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।

এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।

এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডেইলি স্টারে লুটপাট-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৩৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩৫০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) তেজগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়। দ্য ডেইলি স্টারের হেড অব অপারেশনস মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও ২০২৫ সালের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের অধীনে এ মামলা দাখিল করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টা ২৫ মিনিট থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দ্য ডেইলি স্টার ভবনের সামনে বিপুলসংখ্যক লোক দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা ও দাহ্য পদার্থ নিয়ে সমবেত হয়। তারা পত্রিকাটির বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী স্লোগান দিতে থাকে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্টের মাধ্যমে হামলার আহ্বান জানায়।

রাত আনুমানিক ১২টা ৩৫ মিনিটে হামলাকারীরা সাংবাদিক ও কর্মচারীদের মারধর ও হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে ভবনের মূল গেট ও কাচের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। ভবনের বিভিন্ন তলা পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বহু আসবাব নিচে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এজাহারে বলা হয়, হামলায় ভবনের ভেতরে থাকা দুই শতাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, সার্ভার, প্রিন্টার, স্টুডিও সরঞ্জামসহ বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রনিক ডিভাইস নষ্ট হয়, যার আনুমানিক মূল্য পাঁচ কোটি টাকা। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের লকারে থাকা প্রায় ৩৫ লাখ টাকা লুট করা হয়। ভবনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, লিফট, সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম ও বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনেও ক্ষতি করা হয়।

আসামিদের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ফলে ‘দ্য ডেইলি স্টার ভবনে’ সর্বমোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের আনুমানিক মূল্য ৪০,০০,০০,০০০ (চল্লিশ কোটি টাকা)। যাচাই-বাছাই শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের হিসাব আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

সন্ত্রাসীদের হামলা ও অগ্নিসংযোগে দ্য ডেইলি স্টারের তৃতীয় তলায় স্টোরে সংরক্ষিত হিসাব বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নথি, জাতীয় রাজস্ব বিভাগের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর-সম্পর্কিত যাবতীয় নথি এবং নিউজ পেপার আর্কাইভস পুড়িয়ে ভস্মীভূত করা হয় বলেও এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

হামলার সময় প্রমাণ নষ্টের উদ্দেশ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয় এবং ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে বাধা দেওয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ অভিযানে ভবনের ভেতর থেকে অন্তত ৩০ জন কর্মীকে উদ্ধার করা হয়।

সন্ত্রাসীদের হামলার কারণে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায় এবং ১৯ ডিসেম্বর পত্রিকা প্রকাশিত হয়নি। অনলাইন কার্যক্রম ১৭ ঘণ্টা বন্ধ ছিল।

মামলার এজাহারে ডেইলি স্টার জানিয়েছে, এই হামলার সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিভিন্ন মিডিয়ার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈনু মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডফোন কানে রেললাইনে যুবক, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত

ফেনী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল্লাহ আল নাহিদ (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের সদর উপজেলার উত্তর শিবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নাহিদ সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ এলাকার দেবীপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।  

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামগামী সাগরিকা ট্রেনটি উত্তর শিবপুর এলাকা অতিক্রম করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দীপক দেওয়ান বলেন, নিহত যুবক হেডফোন কানে রেললাইনে হাঁটছিলেন। পরে চট্টগ্রামগামী ট্রেনটি তাঁকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে রেললাইনের এক পাশে ছিটকে পড়েন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গণঅধিকার পরিষদ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। ছবি: সংগৃহীত
হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পাড়ে একটি ড্রেজার থেকে হাফিজুল ইসলাম হাফিজ (৩০) নামের গণঅধিকার পরিষদের এক সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের পাড়ামোহনপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নিহত হাফিজুল ইসলাম ওই উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামের মৃত কমল মুন্সীর ছেলে। তিনি গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর আড়কান্দি ও পাড়ামোহনপুরসহ আশপাশের এলাকায় নদীতীর সংরক্ষণ বাঁধের পাশে বালুর ব্যবসা চলছিল। হাফিজুল ইসলামও ওই কাজে যুক্ত ছিলেন। রোববার রাতে একটি ড্রেজারের বাল্কহেডের ইঞ্জিন অংশে চার সহযোগীর সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হলে এনায়েতপুর থানা-পুলিশ ও চৌহালী নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দা জামাল প্রামাণিক জানান, নদীভাঙনে বসতভিটা হারানোর পর হাফিজুল ইসলাম ঢাকায় চাকরি করতেন। কয়েক মাস আগে এলাকায় ফিরে এসে তিনি বালুর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি নিজেকে গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতেন।

এ বিষয়ে চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফিরোজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত