নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কারাগারে বন্দী বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর হয়ে চট্টগ্রাম আদালতে আইনি লড়াই চালাতে আসা ঢাকার এক আইনজীবীকে ফিরে যেতে হয়েছে। আসামিপক্ষে ওকালতনামা, আসামির আইনজীবীর অনুমতিপত্র না থাকাসহ আইনি লড়াই চালাতে যেসব প্রচলিত নিয়ম রয়েছে সেগুলোর কোনোটিই না তার ছিল না। পরে আদালত ওই আইনজীবীর দায়ের করা তিনটি আবেদনই নামঞ্জুর করে দিয়েছেন।
আজ বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক সাইফুল ইসলাম উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রবীন্দ্র ঘোষ নামে ওই আইনজীবীর দরখাস্ত নন মেইটেইনেবল বলে নামঞ্জুর করেছেন। বিষয়টি আজকের পত্রিকা’কে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামিপক্ষে সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনটি দরখাস্ত দিয়েছেন। একটি চিন্ময়ের মামলার শুনানির আবেদন, আরেকটি মামলার নথি উপস্থাপন এবং অন্যটি জামিন শুনানির তারিখ এগিয়ে আনার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আদালত যথারীতি দুই পক্ষের কথা শোনেন। যেহেতু ঢাকা থেকে আসা ওই আইনজীবীর সঙ্গে চট্টগ্রাম বারের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না, আসামির পক্ষে ওনার ওকালতনামা নেই এবং আসামিপক্ষে যে ফাইলিং আইনজীবী ছিলেন, ওনার লিখিত অনুমতিও ছিল না। তাই আদালত ওনার তিনটি দরখাস্ত নট মেইন্টেইনেবল বলে নামঞ্জুর করেছেন।’
রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, ‘শুনানি, নথি উপস্থাপন বা যে কোনো দরখাস্তের জন্য অবশ্যই চট্টগ্রাম বারের একজন আইনজীবীর ওকালতনামা দিতে হবে অথবা এনগেইজড কোনো আইনজীবীকে বলতে হবে যে-ঢাকা থেকে যিনি এসেছেন, তাঁকে তিনি ক্ষমতা দিয়েছেন। এটা ওনার কাছে না থাকায় আদালত আবেদনগুলো রিজেক্ট করে দিয়েছেন।’
চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবীরা বলছেন, বেলা ১১টায় আদালতে চিন্ময়ের মামলার শুনানির শুরুতে রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘আমি জানি এই বারের একজন আইনজীবী (সাইফুল ইসলাম আলিফ) মারা গেছেন’।
এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই হত্যাকাণ্ডের শিকার আইনজীবী আলিফকে ‘শহীদ’ না বলায় এজলাসে উপস্থিত আইনজীবীরা একসঙ্গে প্রতিবাদ করেন। এ সময় এজলাসে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে আদালত অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষের কাছে জানতে চান, তাঁর পক্ষে চট্টগ্রাম বারের কোনো আইনজীবীর ওকালতনামা আছে কি না, বা মামলা পরিচালনার জন্য আসামিপক্ষের আইনজীবীদের অনুমতি আছে কি না। পরে আদালত আসামিপক্ষে আসা আইনজীবীকে আইন অনুসরণ করে আসতে বলে তাঁর দরখাস্ত নামঞ্জুর করেন।
এ দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে ঢাকা থেকে আইনজীবী আসার খবরে আদালত চত্বরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হয়। সকাল থেকে আদালতের প্রবেশমুখ থেকে শুরু করে আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি।
উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এ সময় আসামিকে প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নেওয়ার সময় তাঁর অনুসারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এর আগে হাকিম আদালতে জামিন নামঞ্জুরের পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন। এ সময় আদালত পরদিন ২৭ নভেম্বর মামলার জামিনের শুনানির তারিখ দেন।
সংঘর্ষ চলাকালে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি স্থাপনা। আলিফ হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লের আদালত এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। আলিফ হত্যার প্রতিবাদে আইনজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবীর সমিতি আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে দুই দিন আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করেন। এতে জামিন শুনানি স্থগিত থাকে।
গত ৩ ডিসেম্বর মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফের চিন্ময়ের জামিন শুনানি হলে চিন্ময় কৃষ্ণের পক্ষে কোনো আইনজীবী না দাঁড়ানোয় শুনানি পিছিয়ে আগামী ২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
পুলিশ জানায়, এই সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এই পর্যন্ত ৬টি মামলা হয়েছে।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কারাগারে বন্দী বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর হয়ে চট্টগ্রাম আদালতে আইনি লড়াই চালাতে আসা ঢাকার এক আইনজীবীকে ফিরে যেতে হয়েছে। আসামিপক্ষে ওকালতনামা, আসামির আইনজীবীর অনুমতিপত্র না থাকাসহ আইনি লড়াই চালাতে যেসব প্রচলিত নিয়ম রয়েছে সেগুলোর কোনোটিই না তার ছিল না। পরে আদালত ওই আইনজীবীর দায়ের করা তিনটি আবেদনই নামঞ্জুর করে দিয়েছেন।
আজ বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক সাইফুল ইসলাম উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রবীন্দ্র ঘোষ নামে ওই আইনজীবীর দরখাস্ত নন মেইটেইনেবল বলে নামঞ্জুর করেছেন। বিষয়টি আজকের পত্রিকা’কে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামিপক্ষে সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনটি দরখাস্ত দিয়েছেন। একটি চিন্ময়ের মামলার শুনানির আবেদন, আরেকটি মামলার নথি উপস্থাপন এবং অন্যটি জামিন শুনানির তারিখ এগিয়ে আনার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আদালত যথারীতি দুই পক্ষের কথা শোনেন। যেহেতু ঢাকা থেকে আসা ওই আইনজীবীর সঙ্গে চট্টগ্রাম বারের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না, আসামির পক্ষে ওনার ওকালতনামা নেই এবং আসামিপক্ষে যে ফাইলিং আইনজীবী ছিলেন, ওনার লিখিত অনুমতিও ছিল না। তাই আদালত ওনার তিনটি দরখাস্ত নট মেইন্টেইনেবল বলে নামঞ্জুর করেছেন।’
রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, ‘শুনানি, নথি উপস্থাপন বা যে কোনো দরখাস্তের জন্য অবশ্যই চট্টগ্রাম বারের একজন আইনজীবীর ওকালতনামা দিতে হবে অথবা এনগেইজড কোনো আইনজীবীকে বলতে হবে যে-ঢাকা থেকে যিনি এসেছেন, তাঁকে তিনি ক্ষমতা দিয়েছেন। এটা ওনার কাছে না থাকায় আদালত আবেদনগুলো রিজেক্ট করে দিয়েছেন।’
চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবীরা বলছেন, বেলা ১১টায় আদালতে চিন্ময়ের মামলার শুনানির শুরুতে রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘আমি জানি এই বারের একজন আইনজীবী (সাইফুল ইসলাম আলিফ) মারা গেছেন’।
এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই হত্যাকাণ্ডের শিকার আইনজীবী আলিফকে ‘শহীদ’ না বলায় এজলাসে উপস্থিত আইনজীবীরা একসঙ্গে প্রতিবাদ করেন। এ সময় এজলাসে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে আদালত অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষের কাছে জানতে চান, তাঁর পক্ষে চট্টগ্রাম বারের কোনো আইনজীবীর ওকালতনামা আছে কি না, বা মামলা পরিচালনার জন্য আসামিপক্ষের আইনজীবীদের অনুমতি আছে কি না। পরে আদালত আসামিপক্ষে আসা আইনজীবীকে আইন অনুসরণ করে আসতে বলে তাঁর দরখাস্ত নামঞ্জুর করেন।
এ দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে ঢাকা থেকে আইনজীবী আসার খবরে আদালত চত্বরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হয়। সকাল থেকে আদালতের প্রবেশমুখ থেকে শুরু করে আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি।
উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এ সময় আসামিকে প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নেওয়ার সময় তাঁর অনুসারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এর আগে হাকিম আদালতে জামিন নামঞ্জুরের পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন। এ সময় আদালত পরদিন ২৭ নভেম্বর মামলার জামিনের শুনানির তারিখ দেন।
সংঘর্ষ চলাকালে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি স্থাপনা। আলিফ হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লের আদালত এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। আলিফ হত্যার প্রতিবাদে আইনজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবীর সমিতি আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে দুই দিন আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করেন। এতে জামিন শুনানি স্থগিত থাকে।
গত ৩ ডিসেম্বর মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফের চিন্ময়ের জামিন শুনানি হলে চিন্ময় কৃষ্ণের পক্ষে কোনো আইনজীবী না দাঁড়ানোয় শুনানি পিছিয়ে আগামী ২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
পুলিশ জানায়, এই সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এই পর্যন্ত ৬টি মামলা হয়েছে।
ময়মনসিংহের ভালুকায় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই ফ্যানে তাঁদের মরদেহ ওড়না দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলছিল। পুলিশের ধারণা, তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন
৬ ঘণ্টা আগেফরিদপুরের নগরকান্দায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় দলের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া দফায় দফায় হামলা চালিয়ে প্রায় ২০টি বসতবাড়ি ও ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় এ পদ্ধতি বহাল রাখার প্রতিবাদে আজ বুধবার এ কর্মসূচিতে অংশ নেন তাঁরা। ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’-এর ব্যানারে ক্যাম্পাসের প্যারিস রোডে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়...
৭ ঘণ্টা আগেফরিদপুরে তাহিয়া নামে ৭ বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে তাহিয়া খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে তাহিয়ার বাবা কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। আজ বুধবার বিকেলে পুলিশ ওই এলাকায় তল্লাশি চালায় এবং সন্দেহভাজন হিসেবে...
৭ ঘণ্টা আগে