৮ কারণে জলাবদ্ধতা

হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২২, ০২: ০১
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২২, ১১: ৫৫

ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম নগর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পেছনে আটটি কারণ খুঁজে পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে রয়েছে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের সুবিধার্থে খালে আড়াআড়ি বাঁধ দেওয়া, খালের ভেতরে এক্সাভেটর যাওয়ার জন্য সড়ক নির্মাণ, সার্ভিস ড্রেনগুলোতে আবর্জনা, প্রকল্পের অধীনের খালগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করা।

চট্টগ্রাম নগরীর তিনটি জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকার ১৮টি বড় খাল পরিদর্শন করে এসব কারণ খুঁজে পেয়েছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্য মোবারক হোসেন।

মোবারক আলী বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদনের কাজ প্রায় শেষদিকে। আজ আমরা বসে এটি চূড়ান্ত করব। আগামীকাল (৫ জুলাই) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারব।’

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশনের তিনটি এলাকাকে সবচেয়ে বেশি জলমগ্ন হিসেবে চিহ্নিত করে ওই সব এলাকার ভেতর দিয়ে যেসব খাল প্রবাহিত হয়েছে সেগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁরা জলাবদ্ধতার পেছনে নাগরিক অসচেতনতাসহ আটটি কারণ খুঁজে পান।

কারণগুলো হলো নাগরিক অসচেতনতা, অতিবৃষ্টি, কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা সংকট, অতিরিক্ত জোয়ার, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের সুবিধার্থে খালের মাঝখানে আড়াআড়ি বাঁধ দেওয়া, খালের ভেতরে এক্সাভেটর যাওয়ার জন্য সড়ক নির্মাণ, সার্ভিস ড্রেনগুলো আবর্জনায় ভরে থাকা, প্রকল্পের অধীনে থাকা খালগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করা।

এর আগে গত ২২ জুন জলাবদ্ধতার কারণ খুঁজতে চার সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামসকে আহ্বায়ক করে গঠিত এই কমিটির অপর সদস্যরা হলেন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলী ও সিটি করপোরেশনের পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী।

বীর্জা খাল পরিদর্শনে গিয়ে তদন্ত কমিটির সদস্যরা দেখতে পান ওই খালের ওপরের দিকের অংশ বাকলিয়া এলাকার রোড সাইড ঘেঁষে যাওয়া কৃষিখাল-১ এবং কৃষিখাল-২ ভরাট হওয়ায় পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষি খালের চারটি স্থানে অবৈধ স্থাপনা। বীর্জা খালের নিচের অংশে রাজাখালী খাল ও বীর্জাখালের মোহনায় রাজাখালী খালের অংশে বাঁধ আছে। এ ঘটনায় আমরা সুপারিশ করেছি জরুরি ভিত্তিতে পরিষ্কার করতে হবে। আর সেকেন্ডারি খালগুলো সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অধীনে যুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি বাঁধের খোলা অংশ প্রশস্ততা করে রাজাখালী খালের নাব্যতা বাড়াতে হবে। এই ক্ষেত্রে সেকেন্ডারি খাল পরিষ্কার করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। রাজাখালী খালের বাঁধ ও খাল খনন করবে সিডিএ।

একই ভাবে তারা জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অধীনে হালিশহরের মহেশখালের অংশ, বামন ছাড়া খাল, পশ্চিম ষোলশহর ও পাঁচলাইশ অংশের বামনশাহী খাল, ত্রিপুরা খাল, খন্দকিয়া খাল, উত্তর খাল, নোয়াখাল, চাক্তাই ডাইভারশন খাল, পাঠানিয়া গোদা খাল ঘুরে দেখেন তারা।

এ সম্পর্কে মোবারক আলী বলেন, ‘জলমগ্ন হওয়া তিনটি এলাকার সবগুলো খাল ঘুরে দেখেছি। কী কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি এ সমস্যা থেকে উত্তরণে আমরা বেশ কিছু পরামর্শ ঠিক করেছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত