কক্সবাজারে যৌতুকের দাবিতে স্বামীর মারধরে নববধূর মৃত্যু 

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২৩: ৩২

কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালীতে স্বামীর মারধরে নববধূর মৃত্যুর হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ১১টায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে সুমী আক্তার (২০) নামের এই গৃহবধূ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সুমীর মৃত্যুর পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছেন। 

জানা গেছে, তিনমাস আগে সুমী আক্তারের সঙ্গে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার মো. বোরহান উদ্দিনের বিয়ে হয়। সুমী ও বোরহান একই গ্রামের বাসিন্দা। সুমীর বাবা শফিউল্লাহ এবং বোরহান উদ্দিনের বাবাএখলাছ মিয়া। 

নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে আসছিল বোরহান। সর্বশেষ বিয়ের সময় উপহার পাওয়া স্বর্ণালংকার তুলে না দেওয়ায় সুমীকে প্রচণ্ড মারধর করেছে। এতে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। 

কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় সুমীর মা সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে বোরহান উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। 

নিহতের ভাই মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, তিন মাস আগে সামাজিকভাবে দুজনের বিয়ে হয়। বিয়েতে বর বোরহানকে মোটরসাইকেল ও এক ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন উপহার দেওয়া হয়। কিন্তু বোরহান যে একজন পেশাদার মাদকাসক্ত তা বিয়ের পর বুঝতে পারি। এর মধ্যে বোরহান মোটরসাইকেল ও স্বর্ণের চেইন বিক্রি করে দিয়েছে। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই বোরহান বাড়ি থেকে সুমীকে টাকা এনে দিতে চাপ দিয়ে আসছিল। এতে রাজী না হওয়ায় বিয়েতে উপহার পাওয়া স্বর্ণ দিয়ে দেওয়ার জন্য নির্যাতন শুরু করে। এ নিয়ে বুধবার রাত ১০টায় উভয়পক্ষের অভিভাবকদের মধ্যে পূর্ব নির্ধারিত এক সামাজিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই রাত সোয়া ৮টার দিকে বাড়িতে সুমীকে প্রচণ্ড মারধর করে স্বামী বোরহান। এক পর্যায়ে গলা চেপে ধরে সুমীকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। পরে বোরহান নিজেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ নেই।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত