Ajker Patrika

চট্টগ্রাম বন্দরের হাঁটু পানি, সরেছে এক ঘন্টা পর

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ২৯ মে ২০২১, ১৬: ৪৯
চট্টগ্রাম বন্দরের হাঁটু পানি, সরেছে এক ঘন্টা পর

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে জমেছিল হাঁটু পানি। ইয়াসের প্রভাবে এ পানি উঠেছিল বলে জানিয়েছে বন্দর সংশ্লিষ্টরা।

আজ বুধবার দুপুরের দিকে বন্দরের সিসিটি রেফার ইউনিট, এনসিটি, আইসিডি ইউনিট, ওভার ফ্লো ইয়ার্ডসহ ৪ নম্বর গেটের সড়কে পানি উঠে যায়। তবে, এ পানি ঘন্টাখানেক পর আবার সরে যায়।

মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের আউটার থেকে মাদার ভ্যাসেলকে সরিয়ে গভীর সমুদ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কর্ণফুলী নদীতে বিক্ষিপ্তভাবে থাকা লাইটার জাহাজকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বন্দরের জেটিতে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং শিথিল করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়ার’ এর প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রস্তুত চট্টগ্রাম বন্দর। এরইমধ্যে কয়েক দফায় সভা করে ব্যাপক প্রস্তুতি মূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন শেডে দায়িত্বরত কর্মীদের দায়িত্বও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বন্দরের ডেপুটি কনজারবেটর ক্যাপ্টন ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় বন্দর কর্তৃপক্ষ ৫টি কমিটি গঠন করেছেন। এর মধ্যে দুটি কমিটি (সমুদ্রে) জাহাজ নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে, তিনটি কমিটি (স্থলে) বন্দরের ইয়াস মোকাবিলার কাজ করছে। এ ছাড়া খোলা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম (031-726916)।

প্রসঙ্গত; ১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেতের ভিত্তিতে চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-১’ জারি করে। ৪ নম্বর সংকেতের জন্য বন্দর অ্যালার্ট-২ জারি করে। এ ছাড়া বিপৎসংকেত ৫,৬ ও ৭ নম্বরের জন্য ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়। মহা বিপৎসংকেত ৮,৯ ও ১০ হলে বন্দরেও সর্বোচ্চ সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়। তখন বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। জেটি, যন্ত্রপাতি ও পণ্যের সুরক্ষার জন্য ১৯৯২ সাল থেকে এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত