Ajker Patrika

চালককে মারধরের পর মৃত্যুর ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চালককে মারধরের পর মৃত্যুর ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে আব্দুর রহিম (৪৬) নামে এক বাস চালককে মারধরের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে বায়েজিদ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় পুলিশ। এর আগে ভোররাতে বায়েজিদ থানাধীন আমিন কলোনি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-মো. আনোয়ার হোসেন (২৯), মো. মোর্শেদ (১৯) ও মো. রবিউল (২৩)। এরা একে অপরের আত্মীয়। 

পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন অভিযুক্তরা একটি মাইক্রোবাসের আরোহী ছিলেন। ওই দিন একটি বাস তাঁদের বহনকারী মাইক্রোবাসটিকে বিপজ্জনকভাবে অতিক্রম করে। এতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত সন্দেহে চালককে শায়েস্তা করতে বাসটির পিছু নেয় তাঁরা। কিন্তু ভুলবশত তাঁরা আরেকটি বাসের চালক আব্দুর রহিমকে মারধর করে। 

বায়েজিদ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আনোয়ার, মোর্শেদ ও রবিউল তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফটিকছড়ি থেকে নগরীর আমিন কলোনিতে নিজেদের বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে হাটহাজারী থেকে শহরের দিকে আসা দ্রুতযান পরিবহনের একটি বাস তাঁদের বহনকারী মাইক্রোবাসটির দিকে চাপিয়ে দেয়। পরে মাইক্রোবাসটিকে অতিক্রম করে চলে যায়। 

গ্রেপ্তারকৃতদের অভিযোগ ছিল, দুর্ঘটনা ঘটতে পারে জেনেও বাসটি মাইক্রোবাসের দিকে চাপিয়ে এনেছিলেন চালক। পরে মাইক্রোবাসের যাত্রীরা বালুছড়া এলাকায় পৌঁছালে সেখানে বাসটি দেখতে পেয়ে পিছু নেন। 

নগরীর আমিন জুট মিলের উত্তর গেটে পৌঁছে একটি বাস দেখে তাঁদের ধারণা হয়েছিল এটাই তাঁদের মাইক্রোবাসটিকে চাপিয়ে দেওয়া বাস। তাঁরা সেখানে বাসটির গতিরোধ করে চালক আব্দুর রহিমকে নিচে নামিয়ে মারধর করেন। এ সময় চালক অজ্ঞান হয়ে পড়লে মাইক্রোবাস আরোহীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জ্ঞান ফিরলে পরে তিনি বাসায় চলে যান। 

রাতে নগরীর রাহাত্তারপুলের বাসায় আব্দুর রহিম অসুস্থ অনুভব করলে পরিবারের সদস্যরা রাত ১২টায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রহিমকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় পরদিন পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে হাটহাজারি ও অক্সিজেন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। 

ওসি কামরুজ্জামান বলেন, এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ওই মাইক্রোবাসটির সন্ধানে করে। সড়কের বিভিন্ন জায়গার ৭০টি সিসিটিভির মাধ্যমে তাঁদের শনাক্ত করা হয়। এরপর সোমবার ভোররাতে আমিন কলোনির বাসা থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

ওসি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে পাওয়া একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মাইক্রোবাসকে অতিক্রম করেছিল অন্য একটি বাস। আর আবদুর রহিম চালাচ্ছিলেন আরেকটি বাস। মূলত অভিযুক্তরা ভুল করে অন্য একটি বাসের গতিরোধ করে চালককে নামিয়ে মারধর করেছিলেন। 

উল্লেখ্য, মৃত বাসচালক আবদুর রহিমের (৪৫) বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের আতুরনীর ঘাটা এলাকায়। তিনি নগরীর নিউমার্কেট-হাটহাজারী রুটের দ্রুতযান বাস সার্ভিসের চালক ছিলেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের বিপক্ষে সেমির আগেই ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

পরমাণু শক্তিধর হতে চেয়েছিল তাইওয়ান, সিআইএ এজেন্টের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বপ্নভঙ্গ

এলপি গ্যাস, তেল, আটাসহ বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট তুলে দিল এনবিআর

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: রিজার্ভ-ডেতেও সেমিফাইনাল না হলে হৃদয়বিদারক সমীকরণ

অমর্ত্য সেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন জামায়াতের আমির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত