গুলিবিদ্ধ আকবরের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬: ৪১
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭: ৪১

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ সিলেট মদন মোহন সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আকবর হোসেন অবশেষে উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন। আজ শনিবার তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকার রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ‘আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আকবরের চিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় প্রতিবন্ধী বাবা’ শিরোনামে আজকের পত্রিকার অনলাইনে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাঁর চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসে বাংলাদেশ পুলিশ।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ আকবর হোসেনের চিকিৎসাহীনতার খবর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আব্দুর রকিবের নজরে আসে। তাঁর নির্দেশে পুলিশ আকবরের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেয়। আজ শনিবার সকালে চাঁদপুর পুলিশ লাইনসের একটি অ্যাম্বুলেন্সযোগে উন্নত চিকিৎসার জন্য আকবর হোসেনকে ঢাকার রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

আহত আকবর হোসেনের বাবা রওশন আলী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমার ছেলে বুক ও হাতে গুলিবিদ্ধ হয়। পুরো শরীরে রয়েছে ছররা গুলির ক্ষতচিহ্ন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় চিকিৎসা করালেও ছেলে পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যয় বহন করলেও আমার ছেলের বেলায় তা জোটেনি। আজকের পত্রিকায় নিউজ প্রকাশের পর পুলিশ আমার ছেলের চিকিৎসার উদ্যোগ নিয়েছে।’ 

আকবর হোসেনের মা ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘পুলিশ আমাদের বাড়িতে এসে আকবরের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। আজ সকালে আমাদের ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলেন। এসপি ও ওসি স্যারের সহায়তায় আমার ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাচ্ছি।’

জানতে চাইলে আহত আকবর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্দোলনে পুলিশ গুলি করলেও আজ পুলিশই আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠাচ্ছে। আজকের পত্রিকা ও পুলিশ বাহিনীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট সিলেটে কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে আহত হন সিলেটের মদন মোহন সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আকবর হোসেন। তিনি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দায়চারা গ্রামের দিনমজুর ও শারীরিক প্রতিবন্ধী রওশন আলী ও ফেরদৌসী বেগম দম্পতির ছেলে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত