Ajker Patrika

কুবি ব্যায়ামাগার ব্যবহারে আগ্রহ হারাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

কুবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২: ৫১
কুবি ব্যায়ামাগার ব্যবহারে আগ্রহ হারাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কেন্দ্রীয় ব্যায়ামাগারে নেই প্রশিক্ষক ও পর্যাপ্ত সরঞ্জাম। এতে ব্যায়ামাগার ব্যবহার করতে আগ্রহ হারাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকসংলগ্ন একটি কক্ষে ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ব্যায়ামাগার চালু করেন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক এমরান কবির চৌধুরী। উদ্বোধনের পরপরই বেদখল হয়ে যায় ব্যায়ামাগার। নামে ব্যায়ামাগার থাকলেও কক্ষটির চাবি থাকত তৎকালীন শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কাছে। ফলে এটি একসময় পরিণত হয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে। 

২০২১ সালের শেষের দিকে তড়িঘড়ি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার দোতলার কমন স্পেসে স্থানান্তর করা হয় ব্যায়ামাগারটি। ব্যায়ামাগার কমন স্পেসে হওয়ায় মানুষের অবাধ যাতায়াতের কারণে ছাত্রীরা কখনো এটি ব্যবহার করতে পারেননি। আবার ছাত্ররা ব্যায়াম করা অবস্থায় ক্যাফেটেরিয়ার দোতলায় সাংগঠনিক কাজে গেলে বিব্রতকর অবস্থায় মধ্যে পড়তে হয় ছাত্রীদের। 

এ ছাড়া ব্যায়ামাগারে বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ, সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকা, প্রশিক্ষক না থাকা, পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি না থাকায় ব্যায়ামাগারটি শুধু নাম নিয়েই পড়ে আছে। যেসব যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছিল, সেসব ঠিকভাবে ব্যবহার না করায় সেগুলোও নষ্ট হয়ে আছে। 
 
এ বিষয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রাসেল হোসেন বলেন, ‘আমি নিয়মিত ব্যায়ামাগারে যেতাম। কিন্তু এখন আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। অনেক উপকরণই নষ্ট, আবার কোনো প্রশিক্ষক নাই। অনেক সময় জিম বন্ধ থাকে। আলাদা কোনো কক্ষ না থাকায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। আমি চাই দ্রুত জিমের দিকে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।’ 

এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহীদ হোসেন সানি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যায়ামাগারের জিনিসপত্রগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নয়। কোনো যত্ন নেই। আমরা কয়েকজন মিলে কয়েক দিন গিয়েছিলাম কিন্তু যখনই যাই তখনই দেখি জিনিসপত্রগুলো একটা রুমে বন্ধ করে রাখছে। দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে ফোন দিলে উনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝামেলা চলে, তাই বন্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝামেলার সঙ্গে ব্যায়ামাগার বন্ধের কী সম্পর্ক? এভাবে চলতে থাকলে ব্যায়ামাগারের ওপর শুধু আগ্রহই কমবে।’ 

শারীরিক শিক্ষা কার্যালয়ের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রশাসন থেকে যে কক্ষ দিয়েছে তা আমরা হারিয়েছি, তবে ক্যাফেটেরিয়ায় জিমের কার্যক্রম চলছে। অনেক উপকরণ নষ্ট কিন্তু থাকলেও আমার কিছু করার নেই, কক্ষটি ফেরত পাওয়ার বিষয়ে প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয়নি। জিমের প্রশিক্ষক নিয়োগে প্রশাসন উদ্যোগ না নিলে কিছু করা সম্ভব না।’ 

রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল বা শিবিরের ব্যানারে কোনো কিছু দখলে থাকবে না। জিমনেশিয়ামের কক্ষ যে ছাত্রলীগের দখলে ছিল, এটা আমি আজকে জানতে পারলাম, দ্রুত এটি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব। জিমনেশিয়ামের যন্ত্রপাতি বাড়ানো বা নষ্ট যন্ত্রপাতি পুনরায় চালু করার নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলব। কোনো যন্ত্রপাতি যাতে অব্যবহৃত হয়ে পড়ে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে জিমনেশিয়ামের জন্য প্রশিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

রাজধানীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে ইরানের দুই নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা, নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে পন্টিংয়ের আরেকটি রেকর্ড ভাঙলেন কোহলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত