লক্ষ্মীপুরে আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীর লাশ এক মাস পর কবর থেকে উত্তোলন 

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
Thumbnail image

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত এক শিক্ষার্থীর লাশ দাফনের এক মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। তাঁর নাম সাব্বির আহমেদ।

ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে জেলা শহরের দক্ষিণে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পাশে মনির উদ্দিন পাটোয়ারী জামে মসজিদের কবরস্থান থেকে আজ বুধবার সকালে লাশটি তোলা হয়। জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের নির্দেশে তাঁর কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মজিবুর রহমানের উপস্থিতিতে মো. সাব্বির হোসেন লাশ কবর থেকে তুলে মর্গে পাঠানো হয়।

গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় লক্ষ্মীপুরে সাব্বিরসহ ৪ শিক্ষার্থী আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় সাব্বিরের বাবা আমির হোসেন জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপুকে প্রধান করে ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে হত্যা মামলা করেন। মামলায় ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলাটি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর কোর্ট) বিচারক আবু নোমান কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোবারক জানান, আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে লাশটি উত্তোলন করা হয়।

ময়নাতদন্তের পর পুনরায় লাশ দাফন করা হবে।

সাব্বির সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। তিনি দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। ৫ আগস্ট তাঁকে দাফন হয় মনির উদ্দিন পাটোয়ারী জামে মসজিদের কবরস্থানে।

এর আগে, গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ছাত্র আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরে গুলিতে নিহত ওসমান গনি পাটওয়ারীর (২৩) মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়। রায়পুর উপজেলার পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে সেদিন বিকেলে পুনরায় মরদেহটি দাফন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত