Ajker Patrika

শান্ত সৈকতে পর্যটকদের উচ্ছ্বাস

কক্সবাজার প্রতিনিধি
শান্ত সৈকতে পর্যটকদের উচ্ছ্বাস

দুই দিন আগেও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল উত্তাল ছিল। টানা কয়েক দিন সমুদ্রবন্দরে ছিল ৩ নম্বর সংকেত। প্রায় এক সপ্তাহ বৈরী আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত ছিল জনজীবন। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে কখনো ভারী, কখনো মাঝারি বৃষ্টিপাত লেগেই ছিল। এ সময় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নানা বিধিনিষেধ মানতে হয়েছে। 

তবে গত বৃহস্পতিবার থেকে বৈরী আবহাওয়া কেটে গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ কেটে যাওয়ার বার্তা দেয়। আজ শুক্রবার সাগর একেবারে শান্ত হয়ে এসেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে সৈকতে পর্যটকদের আগমনও বেশ ভালো বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। 

শুক্রবার সকাল ১০টায় সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, শান্ত সাগরের নোনা জলে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন নানা বয়সী পর্যটক। কেউ ওয়াটার বাইকে সাগর দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, কেউ টায়ার টিউবে গা ভাসাচ্ছেন, কেউ আবার বালুচরে বিচ বাইক ও ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র দর্শন করছেন। 
 
এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিচ কর্মী ও লাইফ গার্ড সদস্যদের পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক সজাগ থাকতে দেখা গেছে। কয়েক দিন ধরে বৈরী আবহাওয়ায় পর্যটকের সমাগম কম হওয়ায় হতাশ ছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আবু শহীদ আহমদ। তাঁরা ছয় পরিবারের ২৫ থেকে ২৬ জন মিলে এসেছেন সমুদ্র দর্শনে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন সৈকতে ভিড় কম। থাকা-খাওয়ার সুবিধা ভালো। এ জন্য সবাই মিলে ঘুরতে বের হলাম। সৈকতের পাশাপাশি আশপাশের প্রকৃতি ঘুরে দেখার ইচ্ছা আছে।’ 

মাগুরার শালিখা থেকে নববিবাহিত মোস্তফা নূর ও শেফায়েতুন নেছা দম্পতি হানিমুনে কক্সবাজারে এসেছেন। এই প্রথম তাঁদের কক্সবাজার আসা। তাঁরা বলেন, ‘দুই দিন ধরে সমুদ্রের বিশালতায় খুবই ভালো লাগছে।’ 

জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মী বেলাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী বিচে কমপক্ষে ৩০ হাজার পর্যটক নেমেছেন। এ ছাড়া ইনানী, হিমছড়ি ও পাটুয়ারটেকসহ অন্যান্য সৈকতেও পর্যটক সমাগম রয়েছে। 

ইনানী, হিমছড়ি ও পাটুয়ারটেকসহ অন্যান্য সৈকতেও পর্যটক সমাগম রয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকাকক্সবাজার পর্যটন জোনের কলাতলী ও মেরিন ড্রাইভ সড়কে ৫০০-এর মতো হোটেল-মোটেল, কটেজ ও রিসোর্ট রয়েছে। সেখানে অন্তত ১ লাখ ৭০ হাজার পর্যটকের রাত্রিযাপনের সুবিধা রয়েছে। 

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটিতে এবার আশানুরূপ পর্যটক এসেছে। এখন অধিকাংশ হোটেলে পর্যটকদের জন্য ৫০ শতাংশ কক্ষ ভাড়ায় ছাড় রয়েছে। 

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, ভ্রমণে আসা পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সজাগ রয়েছে। কোথাও কোনো অনিয়ম বা পর্যটক হয়রানির অভিযোগ পেলে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সেবা ডিজিটাইজ করার নির্দেশ দিল সরকার

গত দশ বছর ভিসা না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশে আসতে পারিনি: মাইলাম

মাগুরার শিশুটি এখনো অচেতন, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ঈদে পুলিশের সহযোগী ফোর্স হবে বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, পাবে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

তিন নারী আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত