জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন আবুল বশর নামে এক ব্যক্তি। তিনি বর্তমানে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। প্রথম দিকে শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ বহন করার কথা দিলেও, তিন দিন পর খরচ দেবেন না বলে অভিযোগ করেছে আহতের পরিবার। অন্যদিকে শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষ বলছে অভিযোগটি মিথ্যা।
দুর্ঘটনায় আহত আবুল বশরের ছোট ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, গত শনিবার সকাল ৯টায় কক্সবাজার বাংলাবাজার এলাকায় বাসা থেকে বের হয়ে দোকানের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁর বাবা। তিনি তখন মূল সড়ক থেকে দূরে হাঁটছিলেন। শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস আরেকটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে তার বাবাকে ধক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি।
ওই বাসের এক ব্যক্তি প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে, পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে আসা। দায়িত্বরত চিকিৎসক রোগীকে দেখে, জরুরি ভিত্তিতে আইসিইউ সাপোর্টের প্রয়োজন বলে জানান। তখন ওই চিকিৎসক চমেকের আইসিইউর জন্য রেফার করলে আইসিইউ বিভাগ থেকে জানানো হয়, বেড খালি নেই। আবুল বশরের পরিবার শ্যামলী পরিবহনের কর্তৃপক্ষকে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার অনুরোধ জানায়।
কিন্তু চিকিৎসার জন্য যা দরকার তা চমেকে করতে বলে পরিবহন কর্তৃপক্ষ। বেসরকারি হাসপাতালের নেওয়ার খরচ তারা দিতে পারবে না। তর্কাতর্কির মধ্যেই প্রায় চার ঘণ্টা চমেকেই পড়েছিলেন আবুল বশর। চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এ রকম একজন জরুরি রোগীকে আইসিইউতে নিতে পারেনি, এমনকি অক্সিজেন সাপোর্টও দেয়নি।
এ সময় বিষয়টি নজরে আসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ছাত্র ও কয়েকজন আইনজীবীর। তাঁরা গিয়ে শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষকে চাপ দিলে, শ্যামলী পরিবহনের কক্সবাজারের জিএম নিরঞ্জন সরকার ওই রোগী সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সব খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে বেসরকারি ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় ওই রোগীকে। দ্রুত আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়া হয়। শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ টাকার বিল এসেছে।
আবুল বশরের ছোট ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষ এই পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকা দিয়েছে। আজ বুধবার এসে জানিয়েছে, তারা আর খরচ দিতে পারবে না। এখন আমরা নিরুপায়। এদিকে বাবার অবস্থায়ও ভালো না। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ‘‘সুস্থ হওয়ার পর তার অপারেশন করা যাবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘আইসিইউতে আরও কয়দিন রাখতে হবে, তা জানি না। এত বিশাল খরচ বহন করার মতোও পরিস্থিতি নেই। কী করব বুঝতে পারছি না। বাবাকে কী এভাবে হারাব? মূল সড়ক থেকে অনেক দূরে থেকেও তারা মেরে দেবে, আর কোনো ব্যবস্থাও নেবে না! প্রয়োজনে আমরা আইনের আশ্রয় নেব।’
চবির আইন অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আইন কর্মকর্তা এবিএম ওমর বলেন, ‘আমাদের এক শিক্ষার্থীকে চমেকে দেখতে গিয়ে ওই দুর্ঘটনার বিষয়ে জানি। শ্যামলী পরিবহনের কর্মকর্তারা প্রথমে বেসরকারি হাসপাতালেও নিতেও চায়নি। আমাদের চাপে বেসরকারি হাসপাতালে নিতে বাধ্য হয়। শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষ, রোগীর সম্পূর্ণ খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখন শুনছি, তারা চিকিৎসা ব্যয় আর দেবেন না। এটি অন্যায়।’
জানতে চাইলে শ্যামলী পরিবহন কক্সবাজারের জিএম নিরঞ্জন সরকার আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি অস্বীকার বলেন, ‘চিকিৎসা খরচ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগটি সত্য নয়। আমরা রোগীর চিকিৎসা খরচ বহন করছি, সামনেও করব।’
তবে রোগীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘তিনি মিথ্যা বলছেন। আজকে তিনি নিজে এসে আমাদেরকে জানিয়েছেন, তারা আর খরচ দেবেন না।’
শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন আবুল বশর নামে এক ব্যক্তি। তিনি বর্তমানে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। প্রথম দিকে শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ বহন করার কথা দিলেও, তিন দিন পর খরচ দেবেন না বলে অভিযোগ করেছে আহতের পরিবার। অন্যদিকে শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষ বলছে অভিযোগটি মিথ্যা।
দুর্ঘটনায় আহত আবুল বশরের ছোট ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, গত শনিবার সকাল ৯টায় কক্সবাজার বাংলাবাজার এলাকায় বাসা থেকে বের হয়ে দোকানের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁর বাবা। তিনি তখন মূল সড়ক থেকে দূরে হাঁটছিলেন। শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস আরেকটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে তার বাবাকে ধক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি।
ওই বাসের এক ব্যক্তি প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে, পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে আসা। দায়িত্বরত চিকিৎসক রোগীকে দেখে, জরুরি ভিত্তিতে আইসিইউ সাপোর্টের প্রয়োজন বলে জানান। তখন ওই চিকিৎসক চমেকের আইসিইউর জন্য রেফার করলে আইসিইউ বিভাগ থেকে জানানো হয়, বেড খালি নেই। আবুল বশরের পরিবার শ্যামলী পরিবহনের কর্তৃপক্ষকে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার অনুরোধ জানায়।
কিন্তু চিকিৎসার জন্য যা দরকার তা চমেকে করতে বলে পরিবহন কর্তৃপক্ষ। বেসরকারি হাসপাতালের নেওয়ার খরচ তারা দিতে পারবে না। তর্কাতর্কির মধ্যেই প্রায় চার ঘণ্টা চমেকেই পড়েছিলেন আবুল বশর। চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এ রকম একজন জরুরি রোগীকে আইসিইউতে নিতে পারেনি, এমনকি অক্সিজেন সাপোর্টও দেয়নি।
এ সময় বিষয়টি নজরে আসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ছাত্র ও কয়েকজন আইনজীবীর। তাঁরা গিয়ে শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষকে চাপ দিলে, শ্যামলী পরিবহনের কক্সবাজারের জিএম নিরঞ্জন সরকার ওই রোগী সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সব খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে বেসরকারি ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় ওই রোগীকে। দ্রুত আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়া হয়। শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ টাকার বিল এসেছে।
আবুল বশরের ছোট ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষ এই পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকা দিয়েছে। আজ বুধবার এসে জানিয়েছে, তারা আর খরচ দিতে পারবে না। এখন আমরা নিরুপায়। এদিকে বাবার অবস্থায়ও ভালো না। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ‘‘সুস্থ হওয়ার পর তার অপারেশন করা যাবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘আইসিইউতে আরও কয়দিন রাখতে হবে, তা জানি না। এত বিশাল খরচ বহন করার মতোও পরিস্থিতি নেই। কী করব বুঝতে পারছি না। বাবাকে কী এভাবে হারাব? মূল সড়ক থেকে অনেক দূরে থেকেও তারা মেরে দেবে, আর কোনো ব্যবস্থাও নেবে না! প্রয়োজনে আমরা আইনের আশ্রয় নেব।’
চবির আইন অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আইন কর্মকর্তা এবিএম ওমর বলেন, ‘আমাদের এক শিক্ষার্থীকে চমেকে দেখতে গিয়ে ওই দুর্ঘটনার বিষয়ে জানি। শ্যামলী পরিবহনের কর্মকর্তারা প্রথমে বেসরকারি হাসপাতালেও নিতেও চায়নি। আমাদের চাপে বেসরকারি হাসপাতালে নিতে বাধ্য হয়। শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষ, রোগীর সম্পূর্ণ খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখন শুনছি, তারা চিকিৎসা ব্যয় আর দেবেন না। এটি অন্যায়।’
জানতে চাইলে শ্যামলী পরিবহন কক্সবাজারের জিএম নিরঞ্জন সরকার আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি অস্বীকার বলেন, ‘চিকিৎসা খরচ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগটি সত্য নয়। আমরা রোগীর চিকিৎসা খরচ বহন করছি, সামনেও করব।’
তবে রোগীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘তিনি মিথ্যা বলছেন। আজকে তিনি নিজে এসে আমাদেরকে জানিয়েছেন, তারা আর খরচ দেবেন না।’
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৪ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৪ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৫ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে