মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা একটি স্বর্ণের চালান জব্দ করেছে র‍্যাব। গতকাল বুধবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ১৯১ ভরি স্বর্ণালংকারের চালানসহ এক পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। র‍্যাব জানিয়েছে, জব্দকৃত স্বর্ণের মূল্য এক কোটি ২৬ লাখ টাকা। 

আটক করম আলী ওরফে করিম (৩৭) টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিয়াঘোনা এলাকার ঠান্ডা মিয়ার ছেলে। 

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাইরুল ইসলাম সরকার। 

খাইরুল ইসলাম সরকার বলেন, গতকাল বুধবার রাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে স্বর্ণের বড় একটি চালান পাচারের খবর পায় র‍্যাব। এ খবরে পালংখালী এলাকায় একটি অস্থায়ী তল্লাশিচৌকি বসিয়ে অভিযান শুরু করা হয়। একপর্যায়ে রাত পৌনে ১২টার দিকে তল্লাশিচৌকির সামনে আসা এক ব্যক্তির গতিবিধি ও আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে র‍্যাব সদস্যরা তাঁকে থামতে নির্দেশ দেন। এ সময় লোকটি পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া দিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।

এরপর আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করে শরীরে বিশেষভাবে বহন করা অবস্থায় ৬টি স্বর্ণের বার, ৪টি নেকলেস, ৩৩টি গলার চেইন, ১৭টি চুড়ি, ৩৫ জোড়া কানের দুল, ১৫টি লকেট, ১২টি নাকফুল ও ১৬টি আংটিসহ ১৯১ ভরি ৬ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। এসব স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ২৬ লাখ ৯ হাজার ৪৫৯ টাকা।

র‍্যাব কর্মকর্তা জানান, আটক ব্যক্তির কাছ থেকে মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটর কোম্পানির ২টি এবং বাংলাদেশি ২টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে। এসব সিমকার্ডগুলো পাচারকাজে ব্যবহার করা হতো।

খাইরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘সীমান্তে সংঘবদ্ধ একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। আটক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করা স্বর্ণের চালানটি উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিল। স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় একটি চক্রও জড়িত।’

খাইরুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, ‘আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।’