নোয়াখালীতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৬

নোয়াখালী প্রতিনিধি
Thumbnail image

নোয়াখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় নোয়াখালী সরকারী কলেজের পুরাতন ক্যাম্পাসে নোয়াখালী কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও একলাশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নোয়াখালী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নাঈম তানিম, একলাশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক সানিসহ প্রায় ৬ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর জেরে কলেজের শহীদ অধ্যাপক আবুল হাসেম ছাত্রাবাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

সংঘর্ষের বিষয়ে নোয়াখালী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নাঈম তানিম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় কলেজের শহীদ অধ্যাপক আবুল হাসেম ছাত্রাবাসের হলরুমে আমাদের কলেজ শাখা ছাত্রলীগের পূর্বনির্ধারিত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ভার্চুয়ালি অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। আমরা অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রস্তুতি ও ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষের অনুমতিও নিয়েছিলাম। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম রাতুল ও একলাশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক সানির নেতৃত্বে শতাধিক বহিরাগত যুবক এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে আমার হাত ভেঙে যায়। আমরা বিষয়টি তাৎক্ষণিক কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবগত করি। পরে কলেজের শিক্ষক ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আমাদের মতবিনিময় সভা স্থগিত করা হয়।’ 

বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম রাতুল বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আমাদের মাইজদীতে একটি কর্মসূচি ছিল। অন্যদিকে রাত ৮টায় কলেজ ছাত্রলীগের মতবিনিময় সভা হওয়ার কথা ছিল। বিকেলে কলেজের ছাত্রাবাস থেকে আমাদের নেতা–কর্মীরা যাতে বের হতে না পারে সে জন্য ছাত্রাবাসের প্রধান ফটকে তালা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে আমাদের জুনিয়র ব্যাচ সেখানে গেলে তাঁদের ওপর হামলা করে। হামলায় একলাশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক সানিসহ পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হন। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি।’ 

নোয়াখালী সরকারী কলেজের শহীদ অধ্যাপক আবুল হাসেম ছাত্রাবাসের হোস্টেল সুপার ও কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় শুক্রবার রাত ৯টায় মধ্যে সকল আবাসিক শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস ত্যাগ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

নোয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোর্তাহিন বিল্লাহ বলেন, ‘পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে যায়। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত