চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার চরাঞ্চলে প্রমত্তা মেঘনা নদীর ভাঙনে ছোট হয়ে আসছে উপজেলার মানচিত্র। নদীর তীরবর্তী এলাকা নীলকমল ও হাইমচর ইউনিয়নের ২৬ হাজার মানুষ ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। বিশেষ করে হাইমচর ইউনিয়ন এখন অস্তিত্ব সংকটের মুখে রয়েছে। যে ইউনিয়নের নামে উপজেলার নামকরণ হয়েছে, সেটি এখন উপজেলার সবচেয়ে ছোট ইউনিয়নে পরিণত হয়েছে।
মেঘনার ভাঙনে প্রতিবছর হাইমচরের চরাঞ্চলের শত শত বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মাঝেমধ্যে ভাঙনকবলিত স্থানে বালুভর্তি জিইও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলা হলেও তা তেমন কাজে আসছে না ভাঙন প্রতিরোধে। ফলে দিন দিন ভাঙনে ছোট হয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চলের ইউনিয়নগুলো।
ভুক্তভোগী কয়েকজন জানায়, হাইমচরের মেঘনা নদীর পশ্চিমে নীলকমল ও হাইমচর ইউনিয়ন প্রতিবছর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কয়েক হাজার পরিবার। এখানে প্রায় ২৬ হাজার মানুষের বসবাস। এখানে উচ্চবিদ্যালয়, তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঁচটি মসজিদ, একটি বড় বাজার ও ছয়টি মৎস্য আড়ত রয়েছে। স্থায়ী বাঁধ না হলে যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
শিক্ষার্থী শাহ আলম ও মোরশেদা খাতুন বলেন, নদীভাঙনকবলিত এলাকা হওয়ায় অনেক মেধাবী শিক্ষক চরে থাকতে চান না। ফলে ভালো শিক্ষক পাওয়া এখানে ভাগ্যের বিষয়। তা ছাড়া বিদ্যালয়ের পাশেই নদী ভাঙছে। দিন দিন চরের মাটি নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যালয়টি নদীতে চলে গেলে কীভাবে পড়াশোনা করবে এখানকার শিক্ষার্থীরা।
নীলকমল ইউনিয়নের বাসিন্দা লতিফ মিয়া, হাসান মাহমুদ, জরিনা খাতুন বলেন, ‘নদীর ওই পাড়ে কত সুন্দর বাঁধ হইছে। কিন্তু এই চরে কোনো বাঁধের ব্যবস্থা নেই। বারবার নদী ঘরবাড়ি ভাঙছে। নতুন করে বাড়ি বানানোর কয়দিন পর আবার ভেঙে যাচ্ছে। ভবিষ্যৎ নিয়ে এখানে সবাই চিন্তিত।’
হাইমচর ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা মিজান পাটওয়ারী বলেন, আগে ইউনিয়নটি আরও বড় ছিল। কিন্তু নদীভাঙনে এখন ছোট হয়ে গেছে। নির্ঘুম রাত কাটে প্রতিনিয়ত। জানি না কোনো দিন স্থায়ী বাঁধ হবে কি না।
হাইমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলি জুলহাস সরকার বলেন, ইউনিয়নটির চারপাশে নদী। ভাঙনে একমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি পাঁচবার ভাঙনের শিকার হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, ‘নদীভাঙন থেকে রক্ষা পেতে চরাঞ্চলে ইতিমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সহযোগিতায় কয়েকটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে বলে আশা করি।’
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রেফাত জামিল বলেন, ‘চরাঞ্চলের ভাঙনের বিষয়টি আমরা অবগত রয়েছি। ইতিমধ্যে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি প্রকল্প পাঠাবে।’
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার চরাঞ্চলে প্রমত্তা মেঘনা নদীর ভাঙনে ছোট হয়ে আসছে উপজেলার মানচিত্র। নদীর তীরবর্তী এলাকা নীলকমল ও হাইমচর ইউনিয়নের ২৬ হাজার মানুষ ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। বিশেষ করে হাইমচর ইউনিয়ন এখন অস্তিত্ব সংকটের মুখে রয়েছে। যে ইউনিয়নের নামে উপজেলার নামকরণ হয়েছে, সেটি এখন উপজেলার সবচেয়ে ছোট ইউনিয়নে পরিণত হয়েছে।
মেঘনার ভাঙনে প্রতিবছর হাইমচরের চরাঞ্চলের শত শত বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মাঝেমধ্যে ভাঙনকবলিত স্থানে বালুভর্তি জিইও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলা হলেও তা তেমন কাজে আসছে না ভাঙন প্রতিরোধে। ফলে দিন দিন ভাঙনে ছোট হয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চলের ইউনিয়নগুলো।
ভুক্তভোগী কয়েকজন জানায়, হাইমচরের মেঘনা নদীর পশ্চিমে নীলকমল ও হাইমচর ইউনিয়ন প্রতিবছর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কয়েক হাজার পরিবার। এখানে প্রায় ২৬ হাজার মানুষের বসবাস। এখানে উচ্চবিদ্যালয়, তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঁচটি মসজিদ, একটি বড় বাজার ও ছয়টি মৎস্য আড়ত রয়েছে। স্থায়ী বাঁধ না হলে যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
শিক্ষার্থী শাহ আলম ও মোরশেদা খাতুন বলেন, নদীভাঙনকবলিত এলাকা হওয়ায় অনেক মেধাবী শিক্ষক চরে থাকতে চান না। ফলে ভালো শিক্ষক পাওয়া এখানে ভাগ্যের বিষয়। তা ছাড়া বিদ্যালয়ের পাশেই নদী ভাঙছে। দিন দিন চরের মাটি নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যালয়টি নদীতে চলে গেলে কীভাবে পড়াশোনা করবে এখানকার শিক্ষার্থীরা।
নীলকমল ইউনিয়নের বাসিন্দা লতিফ মিয়া, হাসান মাহমুদ, জরিনা খাতুন বলেন, ‘নদীর ওই পাড়ে কত সুন্দর বাঁধ হইছে। কিন্তু এই চরে কোনো বাঁধের ব্যবস্থা নেই। বারবার নদী ঘরবাড়ি ভাঙছে। নতুন করে বাড়ি বানানোর কয়দিন পর আবার ভেঙে যাচ্ছে। ভবিষ্যৎ নিয়ে এখানে সবাই চিন্তিত।’
হাইমচর ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা মিজান পাটওয়ারী বলেন, আগে ইউনিয়নটি আরও বড় ছিল। কিন্তু নদীভাঙনে এখন ছোট হয়ে গেছে। নির্ঘুম রাত কাটে প্রতিনিয়ত। জানি না কোনো দিন স্থায়ী বাঁধ হবে কি না।
হাইমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলি জুলহাস সরকার বলেন, ইউনিয়নটির চারপাশে নদী। ভাঙনে একমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি পাঁচবার ভাঙনের শিকার হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, ‘নদীভাঙন থেকে রক্ষা পেতে চরাঞ্চলে ইতিমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সহযোগিতায় কয়েকটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে বলে আশা করি।’
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রেফাত জামিল বলেন, ‘চরাঞ্চলের ভাঙনের বিষয়টি আমরা অবগত রয়েছি। ইতিমধ্যে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি প্রকল্প পাঠাবে।’
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করার সময় তিনজনকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের বহনকারী একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ষোলোঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৮ মিনিট আগেহবিগঞ্জের লাখাইয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় যাত্রী নেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে মাইকে ঘোষণা দিয়ে উপজেলার সিংহ গ্রামের মাইজহাটি ও দাইরল এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে।
১১ মিনিট আগেরাজশাহীর মোহনপুরে ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আবুল বাসার (১৮) নামের এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চক বেলনা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল বাসার উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে।
১৪ মিনিট আগেসুনামগঞ্জ-পাগলা-জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের কাটাগাঙ্গ বেইলি সেতুর পাটাতন খুলে যাওয়ায় টানা ১২ ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ ছিল। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে মেরামত কাজ শেষে পুনরায় যানচলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঝুঁকিপূর্ণ ওই বেইলি সেতুর পাটাতন খুলে সেতু দিয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়
১৬ মিনিট আগে