চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে (৭৮) লাঞ্ছিত করার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এখনো গ্রেপ্তার হয়নি জামায়াতের (বহিষ্কৃত) দুই সমর্থক আবুল হাশেম ও ওহিদুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আক্তার উজ জামান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন–ভাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা গ্রামের আবদুল হক মজুমদারের ছেলে ইসমাইল হোসেন মজুমদার (৪৩), একই এলাকার মৃত সুলতান আহমেদ মজুমদারের ছেলে জামাল উদ্দিন মজুমদার (৫৮), মৃত এছাক ভুইয়ার ছেলে ইলিয়াছ ভুইয়া (৫৮), মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪৮) ও চাঁদপুর জেলার মইশাদী গ্রামের মো. জাকির হোসেনের ছেলে ইমতিয়াজ আবদুল্লাহ সাজ্জাদ (১৯)।
এর আগে গত রোববার রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
অভিযোগ উঠেছে, জামায়াতে ইসলামীর লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে বহিষ্কার করেছে দলটি। একই সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় দলের জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, রোববার দুপুরে কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওই গ্রামের প্রবাসী আবুল হাশেমের নেতৃত্বে অহিদ, রাসেল, পলাশসহ ১০-১২ জন আবদুল হাই কানুর গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। ভিডিওতে ওই ব্যক্তিদের বলতে শোনা যায়, ‘তুমি বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন আমাদের ওপর অনেক অত্যাচার করেছ, নির্যাতন, জুলুম ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আমাদের বাড়িছাড়া করেছ।’ এ সময় আবদুল হাই কানু দুই হাত তুলে তাদের কাছে ক্ষমা চান। তবে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা বলেন, ‘তুমি এলাকাতে থাকতে পারবা না। তুমি কুমিল্লা ছেড়ে চলে যাও।’
স্থানীয়রা জানান, ওই ঘটনার পর আবদুল হাই কানু এলাকা ছেড়ে পাশের জেলা ফেনীতে তাঁর ছেলে গোলাম মোস্তফা বিপ্লবের বাসায় চলে যান। তিনি সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গণমাধ্যমকে আবদুল হাই কানু ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, রোববার দুপুরে বাড়ির পাশের পাতড্ডা বাজারে একটি ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে যান তিনি। এ সময়ে স্থানীয় আবুল হাশেমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন লোক তাঁকে জোরপূর্বক ধরে স্কুলমাঠে নিয়ে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দ্রুত এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন তৎকালীন সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মুজিবুল হকের বিভিন্ন অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তাঁর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে বিগত ১০ বছরের বেশি সময় তিনি গ্রামের বাড়ি যেতে পারেননি। একাধিকবার তাঁর বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন জেলও খেটেছেন। আর এখন সরকার পরিবর্তনের পরও তিনি নির্যাতনের শিকার।
তাঁর স্ত্রী রেহানা বেগম বলেন, ‘রোববারের ঘটনায় আমার স্বামী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।’
এদিকে আবদুল হাই কানু বীর প্রতীককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন করেছেন। এ ছাড়া গতকাল সোমবার বিক্ষোভ–সমাবেশ করেছে উপজেলা ও পৌর বিএনপি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার প্রমোদ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘আবদুল হাই কানুর ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। জুতার মালা পরিয়ে সকল মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করা হয়েছে। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে। বিচারের দাবিতে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।’
জানতে চাইলে ওসি এটিএম আক্তার উজ জামান বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে অপমান করার বিষয়টি অত্যন্ত নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি দেখার পর থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে রোববার রাত থেকে পুলিশের অভিযান চলছে।’
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে (৭৮) লাঞ্ছিত করার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এখনো গ্রেপ্তার হয়নি জামায়াতের (বহিষ্কৃত) দুই সমর্থক আবুল হাশেম ও ওহিদুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আক্তার উজ জামান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন–ভাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা গ্রামের আবদুল হক মজুমদারের ছেলে ইসমাইল হোসেন মজুমদার (৪৩), একই এলাকার মৃত সুলতান আহমেদ মজুমদারের ছেলে জামাল উদ্দিন মজুমদার (৫৮), মৃত এছাক ভুইয়ার ছেলে ইলিয়াছ ভুইয়া (৫৮), মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪৮) ও চাঁদপুর জেলার মইশাদী গ্রামের মো. জাকির হোসেনের ছেলে ইমতিয়াজ আবদুল্লাহ সাজ্জাদ (১৯)।
এর আগে গত রোববার রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
অভিযোগ উঠেছে, জামায়াতে ইসলামীর লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে বহিষ্কার করেছে দলটি। একই সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় দলের জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, রোববার দুপুরে কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওই গ্রামের প্রবাসী আবুল হাশেমের নেতৃত্বে অহিদ, রাসেল, পলাশসহ ১০-১২ জন আবদুল হাই কানুর গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। ভিডিওতে ওই ব্যক্তিদের বলতে শোনা যায়, ‘তুমি বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন আমাদের ওপর অনেক অত্যাচার করেছ, নির্যাতন, জুলুম ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আমাদের বাড়িছাড়া করেছ।’ এ সময় আবদুল হাই কানু দুই হাত তুলে তাদের কাছে ক্ষমা চান। তবে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা বলেন, ‘তুমি এলাকাতে থাকতে পারবা না। তুমি কুমিল্লা ছেড়ে চলে যাও।’
স্থানীয়রা জানান, ওই ঘটনার পর আবদুল হাই কানু এলাকা ছেড়ে পাশের জেলা ফেনীতে তাঁর ছেলে গোলাম মোস্তফা বিপ্লবের বাসায় চলে যান। তিনি সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গণমাধ্যমকে আবদুল হাই কানু ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, রোববার দুপুরে বাড়ির পাশের পাতড্ডা বাজারে একটি ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে যান তিনি। এ সময়ে স্থানীয় আবুল হাশেমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন লোক তাঁকে জোরপূর্বক ধরে স্কুলমাঠে নিয়ে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দ্রুত এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন তৎকালীন সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মুজিবুল হকের বিভিন্ন অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তাঁর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে বিগত ১০ বছরের বেশি সময় তিনি গ্রামের বাড়ি যেতে পারেননি। একাধিকবার তাঁর বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন জেলও খেটেছেন। আর এখন সরকার পরিবর্তনের পরও তিনি নির্যাতনের শিকার।
তাঁর স্ত্রী রেহানা বেগম বলেন, ‘রোববারের ঘটনায় আমার স্বামী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।’
এদিকে আবদুল হাই কানু বীর প্রতীককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন করেছেন। এ ছাড়া গতকাল সোমবার বিক্ষোভ–সমাবেশ করেছে উপজেলা ও পৌর বিএনপি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার প্রমোদ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘আবদুল হাই কানুর ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। জুতার মালা পরিয়ে সকল মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করা হয়েছে। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে। বিচারের দাবিতে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।’
জানতে চাইলে ওসি এটিএম আক্তার উজ জামান বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে অপমান করার বিষয়টি অত্যন্ত নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি দেখার পর থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে রোববার রাত থেকে পুলিশের অভিযান চলছে।’
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় একটি বেড়িবাঁধের তিন স্থানে কেটে ইটভাটার রাস্তা তৈরির আট বছরেও বাঁধটি সংস্কার করা হয়নি। এতে বন্যার পানি লোকালয়ে ঢোকায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের চলাচলেও ভোগান্তি হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় যমুনা নদীতে দিনরাত অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করছে একটি চক্র। রাজনীতির পালাবদলের পর আইনের তোয়াক্কা না করে চক্রটি প্রকাশ্যে নদীর বিভিন্ন স্থানে ৮টি খননযন্ত্র (ড্রেজার) দিয়ে বালু তুলছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে এই বালু লুট চললেও তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে
১ ঘণ্টা আগেখুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) পার্শ্ববর্তী ইসলামনগর এলাকাটি ‘হল রোড’ নামে পরিচিত। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছেন কিছু চা ও জুসের দোকানি। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে অনেক জনপ্রিয় ‘কাদের জুস কর্নার’ নামের দোকানটি। দোকানের মালিক আব্দুল কাদের খান শিক্ষার্থীদের কাছে ‘কাদের ভাই’ নামে বহুল
১ ঘণ্টা আগেআট বছর আগে শুরু হওয়া চট্টগ্রাম ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পে পানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ কোটি লিটার। সেই লক্ষ্যমাত্রার কোনো হেরফের হয়নি। তবে প্রকল্প ব্যয়ে বড় ধরনের হেরফের হয়েছে। শুরুর ১ হাজার ৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প ঠেকেছে ১ হাজার ৯৯৫ কোটিতে। বেশি ব্যয় হলো ৯৫৯ কোটি টাকা।
১ ঘণ্টা আগে