কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় চক্রের মূল হোতা পুলিশের বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল পারভেজ ও তাঁর দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় তাঁদের আস্তানা থেকে অপহৃত এক নারীসহ পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। চক্রটির সদস্যদের বিরুদ্ধে স্বামীর হাত-মুখ বেঁধে অপহৃত নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে তাঁদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ মাইতুল সরকারবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও পুলিশের বরখাস্ত উপপরিদর্শক এস এম ইকবাল পারভেজ (৪০), কক্সবাজার শহরের নতুন বাহারছড়ার এম টি মুন্না (৩০) ও মো. ইউসুফ (২৫)।
আবু সালাম চৌধুরী জানান, চক্রের প্রধান ইকবাল পারভেজ ২০২১ সালের ১৭ ডিসেম্বর পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ র্যাবের হাতে ধরা পড়েন। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর চাকরিও হারান তিনি। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর ইকবাল তাঁর শ্যালক মুন্নাসহ অন্য সাত-আটজন সহযোগী নিয়ে গড়ে তোলেন অপহরণ চক্র। চক্রের সদস্যরা দেশের নানা প্রান্ত থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা লোকজনকে টার্গেট করে অপহরণ করে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় করে আসছেন। মুক্তিপণ না পেলে অপহৃতদের আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন করা হতো।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী জানান, র্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজারকেন্দ্রিক একটি ভয়ংকর অপহরণ চক্রের সন্ধান মেলে। তাঁদের অবস্থান শনাক্তের পর গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বন্দী এক নারীসহ পাঁচ অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। গতকাল শুক্রবার কক্সবাজার শহরের কলাতলি ও সুগন্ধা এলাকায় রাতভর এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আবু সালাম চৌধুরী আরও জানান, ১৬ মে কক্সবাজার বেড়াতে এসে নিখোঁজ হন ঢাকার উত্তরার বাসিন্দা মো. শাহজাহান কবির ও মঞ্জুর আলম। পরে একটি মোবাইল নম্বর থেকে কল করে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণ চক্রটি। এ ছাড়া উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা অপহৃত দম্পতির গল্প আরও ভয়ংকর। এই দম্পতির কাছ থেকে দাবি করা মুক্তিপণ না পেয়ে স্বামীর হাত-মুখ বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন চক্রের সদস্যরা। স্বামীর ওপর চালানো হয় বর্বর নির্যাতন।
র্যাব কর্মকর্তা অপহৃত শাহজাহান ও মঞ্জুরের পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তাঁদের স্বজনেরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পরও অপহৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়নি। বেদম মারধরের পাশাপাশি চাহিদামতো মুক্তিপণ না দিলে অপহৃতদের মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। স্বজনেরা বিষয়টি র্যাবকে জানালে গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে তাঁদের আইনের আওতায় আনতে কাজ শুরু করা হয়।
আসামি ও উদ্ধার করা ব্যক্তিদের কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
কক্সবাজারে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় চক্রের মূল হোতা পুলিশের বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল পারভেজ ও তাঁর দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় তাঁদের আস্তানা থেকে অপহৃত এক নারীসহ পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। চক্রটির সদস্যদের বিরুদ্ধে স্বামীর হাত-মুখ বেঁধে অপহৃত নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে তাঁদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ মাইতুল সরকারবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও পুলিশের বরখাস্ত উপপরিদর্শক এস এম ইকবাল পারভেজ (৪০), কক্সবাজার শহরের নতুন বাহারছড়ার এম টি মুন্না (৩০) ও মো. ইউসুফ (২৫)।
আবু সালাম চৌধুরী জানান, চক্রের প্রধান ইকবাল পারভেজ ২০২১ সালের ১৭ ডিসেম্বর পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ র্যাবের হাতে ধরা পড়েন। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর চাকরিও হারান তিনি। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর ইকবাল তাঁর শ্যালক মুন্নাসহ অন্য সাত-আটজন সহযোগী নিয়ে গড়ে তোলেন অপহরণ চক্র। চক্রের সদস্যরা দেশের নানা প্রান্ত থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা লোকজনকে টার্গেট করে অপহরণ করে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় করে আসছেন। মুক্তিপণ না পেলে অপহৃতদের আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন করা হতো।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী জানান, র্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজারকেন্দ্রিক একটি ভয়ংকর অপহরণ চক্রের সন্ধান মেলে। তাঁদের অবস্থান শনাক্তের পর গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বন্দী এক নারীসহ পাঁচ অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। গতকাল শুক্রবার কক্সবাজার শহরের কলাতলি ও সুগন্ধা এলাকায় রাতভর এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আবু সালাম চৌধুরী আরও জানান, ১৬ মে কক্সবাজার বেড়াতে এসে নিখোঁজ হন ঢাকার উত্তরার বাসিন্দা মো. শাহজাহান কবির ও মঞ্জুর আলম। পরে একটি মোবাইল নম্বর থেকে কল করে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণ চক্রটি। এ ছাড়া উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা অপহৃত দম্পতির গল্প আরও ভয়ংকর। এই দম্পতির কাছ থেকে দাবি করা মুক্তিপণ না পেয়ে স্বামীর হাত-মুখ বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন চক্রের সদস্যরা। স্বামীর ওপর চালানো হয় বর্বর নির্যাতন।
র্যাব কর্মকর্তা অপহৃত শাহজাহান ও মঞ্জুরের পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তাঁদের স্বজনেরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পরও অপহৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়নি। বেদম মারধরের পাশাপাশি চাহিদামতো মুক্তিপণ না দিলে অপহৃতদের মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। স্বজনেরা বিষয়টি র্যাবকে জানালে গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে তাঁদের আইনের আওতায় আনতে কাজ শুরু করা হয়।
আসামি ও উদ্ধার করা ব্যক্তিদের কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দুই সাংবাদিককে জিম্মি করে বেধড়ক মারধরের পর মুক্তিপণ আদায় করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে সড়কের পাশে তাঁদের ফেলে রেখে যায়।
৬ মিনিট আগেবাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন , দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের ‘ইন্ডিয়ার দালাল’ ও ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ আখ্যা দিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আর জ্বালানো যাবে না।
২৭ মিনিট আগেবাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
১ ঘণ্টা আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে