আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ৩ নেতাকে পেটালেন বদি

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২২, ১৮: ৫৪

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পেশাজীবীদের গায়ে হাত তুলে একাধিকবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। ইয়াবাকাণ্ডে বারবার সমালোচিত আওয়ামী লীগের এই নেতা এবার শিরোনামে উঠে এলেন নিজ দলের নেতাদের পিটিয়ে।

গতকাল শুক্রবার টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধের জের ধরে সভাস্থলেই স্থানীয় তিন নেতাকে বেধড়ক পিটিয়েছেন বদি ও তাঁর সমর্থকেরা। এ নিয়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। এরই মধ্যে এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, সাবেক সাংসদ বদিসহ কয়েকজন এক ব্যক্তিকে মেঝেতে ফেলে কিল-ঘুষি ও লাথি মারছেন। বদি নিজেও একাধিকবার আঘাত করেন। ওই ব্যক্তিকে বাঁচাতে এসে আরও কয়েকজন মারধরের শিকার হন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যে ব্যক্তিকে মেঝেতে ফেলে পেটানো হয়েছে তিনি টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইউছুফ মনু। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইউছুপ ভুট্টো এবং টেকনাফ উপজেলার আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হক। আর বদির সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারি আব্দুস শুক্কুর, নুর মোহাম্মদ ওরফে লাস্টিপসহ কয়েকজন। জেলা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতাদের সামনেই মারধরের এ ঘটনা ঘটে। 

ওই সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, পৌর কমিটির সম্মেলন সামনে রেখে শুক্রবার উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে ওই সভায় বদিসহ জেলা কমিটির কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। সভার এক পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন নিয়ে ইউসুফ মনুর সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে বদি নিজেই মঞ্চ থেকে নেমে সভাস্থলের বাইরে থাকা শুক্কুর, লাস্টিপসহ তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের ভেতরে ডেকে আনেন। এরপর সবাই মিলে মনুকে মারতে থাকেন। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর বলেন, ‘ঘটনা তো সবার সামনেই ঘটেছে। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সাবেক এমপি বদি নিজ দলের নেতার গায়ে হাত তুলেছেন। সংসদ সদস্য থাকাকালেও তিনি একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। কিন্তু দলীয়ভাবে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’

ওই সভায় উপস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ বলেন, ‘ইফতারের আগে তিনি সভা থেকে চলে এসেছিলেন। পরে বিষয়টি জেনেছেন। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় একটি হোটেলে বসে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।’

মারধরের শিকার ইউসুফ মনু বলছেন, ‘এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তিনি দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবেন।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত