Ajker Patrika

সমন্বয়ক পরিচয়ে চট্টগ্রামে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩: ০৩
সমন্বয়ক পরিচয়ে চট্টগ্রামে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত

এবার সমন্বয়ক পরিচয়ে চট্টগ্রামে সমকালের স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে এই ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী সাংবাদিক নিজের ফেসবুক আইডিতে লিখেন, ‘সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ছোট বোনের ইনকোর্স পরীক্ষা ছিল। আজ বেলা ২টার আগে তাকে হলে ঢুকিয়ে দিয়ে গেট দিয়ে বের হচ্ছিলাম। দেখলাম তিন-চারজন মিলে এক ছেলেকে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছে। তার মোবাইল কেড়ে নিয়েছে। তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কেন পেটাচ্ছে জানতে চাইলে ওই যুবকেরা বলেন, “ছেলেটা ছাত্রলীগ করে। মোবাইলে সব প্রমাণ আছে।” 

‘আমি বললাম কেউ ছাত্রলীগ করলেই কি আপনারা মারতে পারেন? ও যদি কোনো অপরাধ করে থাকে আপনারা আইনের আশ্রয় নেন। পুলিশকে খবর দেন। আপনারা কেন মারধর করছেন। তারা আমার সঙ্গে চোখ রাঙিয়ে চেঁচামেচি করে ছেলেটাকে মারতে মারতে দেব পাহাড়ের দিকে নিয়ে গেল। তাদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় যিনি ছিলেন তিনি ওই ছেলের মোবাইল চেক করতে থাকেন। সেখান থেকে ছবিও তুলে নেন তিনি। আমি তাদের হাত থেকে ছেলেটাকে ছাড়াতে পারিনি। 

‘বোনের পরীক্ষা আধঘণ্টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল। তাই কলেজ গেটে অপেক্ষা করছিলাম। কিছুক্ষণ পর ছেলেগুলো আবার আসল। তারা আমার পরিচয় জানতে চাইল। কলেজে কেন এসেছি জানতে চাইল। আমি ভদ্রভাবে সব উত্তর দিলাম। তারা বলল, “আপনি ছাত্রলীগকে বাঁচাতে চাইলেন কেন? আমি বললাম, আমি একজন মানুষকে বাঁচাতে এগিয়ে গিয়েছি।”’ 

ওরা বলল, ‘ও ছাত্রলীগ, মানুষ না। ছাত্রলীগ মানুষ হয় না। আমরা কারফিউ ভেঙে সরকার পরিবর্তন করেছি। আমরা পেটাতেও পারব। ছাত্রলীগমুক্ত ক্যাম্পাস করব। গত ১৫ বছর ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি, র‍্যাগের নামে নির্যাতন করা হতো, ১৫ বছর এসবের প্রতিবাদ করেছি কি না, লিখেছি কিনা তারও কৈফিয়ত চাইল।’ 

এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওরা আমাকে ছাত্রলীগের দালাল আখ্যায়িত করে পরনের গেঞ্জির কলার ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করে। গাড়িতে ওঠানোর চেষ্টা করেন। জীবন বিপন্ন হচ্ছে দেখে নিজের পরিচয় দিলাম। আইডি কার্ড দেখতে চাইলেন। তা–ও দেখালাম। আমার স্ত্রী কলেজটির শিক্ষক তা–ও জানালাম। তারা আইডি কার্ড হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেললেন। মোবাইল কেড়ে নিয়ে তন্নতন্ন করে চেক করলেন। আমার স্ত্রী শিক্ষক হয়েছে তাতে কী হয়েছে? বলে মারমুখী আচরণও করলেন।’ 

এই বিষয়ে জানতে চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক খান তালহা মো. রাফি ও মো. রাসেলের মোবাইল ফোনে কল দিলে সাড়া না পাওয়ায় তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত