নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
এবার সমন্বয়ক পরিচয়ে চট্টগ্রামে সমকালের স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক নিজের ফেসবুক আইডিতে লিখেন, ‘সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ছোট বোনের ইনকোর্স পরীক্ষা ছিল। আজ বেলা ২টার আগে তাকে হলে ঢুকিয়ে দিয়ে গেট দিয়ে বের হচ্ছিলাম। দেখলাম তিন-চারজন মিলে এক ছেলেকে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছে। তার মোবাইল কেড়ে নিয়েছে। তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কেন পেটাচ্ছে জানতে চাইলে ওই যুবকেরা বলেন, “ছেলেটা ছাত্রলীগ করে। মোবাইলে সব প্রমাণ আছে।”
‘আমি বললাম কেউ ছাত্রলীগ করলেই কি আপনারা মারতে পারেন? ও যদি কোনো অপরাধ করে থাকে আপনারা আইনের আশ্রয় নেন। পুলিশকে খবর দেন। আপনারা কেন মারধর করছেন। তারা আমার সঙ্গে চোখ রাঙিয়ে চেঁচামেচি করে ছেলেটাকে মারতে মারতে দেব পাহাড়ের দিকে নিয়ে গেল। তাদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় যিনি ছিলেন তিনি ওই ছেলের মোবাইল চেক করতে থাকেন। সেখান থেকে ছবিও তুলে নেন তিনি। আমি তাদের হাত থেকে ছেলেটাকে ছাড়াতে পারিনি।
‘বোনের পরীক্ষা আধঘণ্টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল। তাই কলেজ গেটে অপেক্ষা করছিলাম। কিছুক্ষণ পর ছেলেগুলো আবার আসল। তারা আমার পরিচয় জানতে চাইল। কলেজে কেন এসেছি জানতে চাইল। আমি ভদ্রভাবে সব উত্তর দিলাম। তারা বলল, “আপনি ছাত্রলীগকে বাঁচাতে চাইলেন কেন? আমি বললাম, আমি একজন মানুষকে বাঁচাতে এগিয়ে গিয়েছি।”’
ওরা বলল, ‘ও ছাত্রলীগ, মানুষ না। ছাত্রলীগ মানুষ হয় না। আমরা কারফিউ ভেঙে সরকার পরিবর্তন করেছি। আমরা পেটাতেও পারব। ছাত্রলীগমুক্ত ক্যাম্পাস করব। গত ১৫ বছর ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি, র্যাগের নামে নির্যাতন করা হতো, ১৫ বছর এসবের প্রতিবাদ করেছি কি না, লিখেছি কিনা তারও কৈফিয়ত চাইল।’
এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওরা আমাকে ছাত্রলীগের দালাল আখ্যায়িত করে পরনের গেঞ্জির কলার ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করে। গাড়িতে ওঠানোর চেষ্টা করেন। জীবন বিপন্ন হচ্ছে দেখে নিজের পরিচয় দিলাম। আইডি কার্ড দেখতে চাইলেন। তা–ও দেখালাম। আমার স্ত্রী কলেজটির শিক্ষক তা–ও জানালাম। তারা আইডি কার্ড হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেললেন। মোবাইল কেড়ে নিয়ে তন্নতন্ন করে চেক করলেন। আমার স্ত্রী শিক্ষক হয়েছে তাতে কী হয়েছে? বলে মারমুখী আচরণও করলেন।’
এই বিষয়ে জানতে চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক খান তালহা মো. রাফি ও মো. রাসেলের মোবাইল ফোনে কল দিলে সাড়া না পাওয়ায় তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি।
এবার সমন্বয়ক পরিচয়ে চট্টগ্রামে সমকালের স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক নিজের ফেসবুক আইডিতে লিখেন, ‘সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ছোট বোনের ইনকোর্স পরীক্ষা ছিল। আজ বেলা ২টার আগে তাকে হলে ঢুকিয়ে দিয়ে গেট দিয়ে বের হচ্ছিলাম। দেখলাম তিন-চারজন মিলে এক ছেলেকে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছে। তার মোবাইল কেড়ে নিয়েছে। তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কেন পেটাচ্ছে জানতে চাইলে ওই যুবকেরা বলেন, “ছেলেটা ছাত্রলীগ করে। মোবাইলে সব প্রমাণ আছে।”
‘আমি বললাম কেউ ছাত্রলীগ করলেই কি আপনারা মারতে পারেন? ও যদি কোনো অপরাধ করে থাকে আপনারা আইনের আশ্রয় নেন। পুলিশকে খবর দেন। আপনারা কেন মারধর করছেন। তারা আমার সঙ্গে চোখ রাঙিয়ে চেঁচামেচি করে ছেলেটাকে মারতে মারতে দেব পাহাড়ের দিকে নিয়ে গেল। তাদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় যিনি ছিলেন তিনি ওই ছেলের মোবাইল চেক করতে থাকেন। সেখান থেকে ছবিও তুলে নেন তিনি। আমি তাদের হাত থেকে ছেলেটাকে ছাড়াতে পারিনি।
‘বোনের পরীক্ষা আধঘণ্টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল। তাই কলেজ গেটে অপেক্ষা করছিলাম। কিছুক্ষণ পর ছেলেগুলো আবার আসল। তারা আমার পরিচয় জানতে চাইল। কলেজে কেন এসেছি জানতে চাইল। আমি ভদ্রভাবে সব উত্তর দিলাম। তারা বলল, “আপনি ছাত্রলীগকে বাঁচাতে চাইলেন কেন? আমি বললাম, আমি একজন মানুষকে বাঁচাতে এগিয়ে গিয়েছি।”’
ওরা বলল, ‘ও ছাত্রলীগ, মানুষ না। ছাত্রলীগ মানুষ হয় না। আমরা কারফিউ ভেঙে সরকার পরিবর্তন করেছি। আমরা পেটাতেও পারব। ছাত্রলীগমুক্ত ক্যাম্পাস করব। গত ১৫ বছর ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি, র্যাগের নামে নির্যাতন করা হতো, ১৫ বছর এসবের প্রতিবাদ করেছি কি না, লিখেছি কিনা তারও কৈফিয়ত চাইল।’
এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওরা আমাকে ছাত্রলীগের দালাল আখ্যায়িত করে পরনের গেঞ্জির কলার ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করে। গাড়িতে ওঠানোর চেষ্টা করেন। জীবন বিপন্ন হচ্ছে দেখে নিজের পরিচয় দিলাম। আইডি কার্ড দেখতে চাইলেন। তা–ও দেখালাম। আমার স্ত্রী কলেজটির শিক্ষক তা–ও জানালাম। তারা আইডি কার্ড হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেললেন। মোবাইল কেড়ে নিয়ে তন্নতন্ন করে চেক করলেন। আমার স্ত্রী শিক্ষক হয়েছে তাতে কী হয়েছে? বলে মারমুখী আচরণও করলেন।’
এই বিষয়ে জানতে চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক খান তালহা মো. রাফি ও মো. রাসেলের মোবাইল ফোনে কল দিলে সাড়া না পাওয়ায় তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি।
মূল সড়কে অটোরিকশা চালানোর দাবিতে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় চালকেরা বিক্ষোভ করলে মারধরের শিকার হয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা তাঁদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেন। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে...
২৫ মিনিট আগেকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
১ ঘণ্টা আগেরংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
২ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
২ ঘণ্টা আগে