টেকনাফ ও কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লেদা রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের রশিদ আহমদের ছেলে ইয়াসির আরাফাত (১৮) ও মেয়ে উম্মে সালমা (১৯)। তাঁরা চার দিন আগে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ক্যাম্প থেকে বের হয়েছিলেন। তিন দিন টেকনাফের পাহাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে রাখার পর দালালেরা তাঁদের ট্রলারে তোলেন। সাগর পথে দুই ঘণ্টা যাত্রার পর তাঁদের ট্রলার ডুবে যায়। এতে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে দুই ভাইবোন সাঁতার কেটে কূলে ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু সালমা সাঁতার না জানায় তাঁকে ধরে রাখা যায়নি। বোনকে সাগরে ছেড়ে দিয়ে কূলে ফিরে আসেন ইয়াসির আরাফাত।
বোনের মরদেহের পাশে বসে ইয়াসির কেঁদে কেঁদে কথাগুলো বলছিলেন। তাঁর চোখে-মুখে কষ্ট ও আতঙ্কের ছাপ। ইয়াসির আরাফাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, দালালেরা টেকনাফের কচ্ছপিয়া এলাকায় ছোট একটি ট্রলারে তাঁদের তুলে দেয়। প্রায় দুই ঘণ্টা চলার পর গভীর সাগরে একটি বড় মাছ ধরার ট্রলারে তোলে। ট্রলারটি ছিল লক্কড়-ঝক্কড়। ট্রলারের ভেতরে জায়গা হচ্ছিল না। এ সময় বরফ রাখার ঘরে নেওয়া হয়। দালালের লোকজন হন্তা দিয়ে বরফ ভেঙে ফেলার সময় ট্রলারের তলা ফুটো হয়ে যায়। এতে ট্রলারটি ডুবে যেতে থাকে। এ সময় জীবন বাঁচাতে যে যেভাবে পারে সাগরে ঝাঁপ দেয়।
জীবিত ফিরে আসেন শাহ আলম (২৭)। তাঁর বাড়ি উখিয়ার বালুখালী ১০ নম্বর ক্যাম্পে। তিনি বলেন, ‘১০ দিন আগে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছি। উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ে ঘোরাঘুরির পর সোমবার রাতে ট্রলারে তোলা হয়েছিল।’
তাঁদের মতো, কেউ তিন দিন, কেউ সাত দিন, কেউ ১০ দিন পাহাড়ে অবস্থানের পর ট্রলারে করে মালয়েশিয়া রওনা হয়েছিলেন। বেশির ভাগই তরুণ-তরুণী। কেউ ১০ হাজার, কেউ ২০ হাজার টাকা চুক্তিতে মালয়েশিয়া যাচ্ছিল বলে জানান উদ্ধার রোহিঙ্গারা।
রোহিঙ্গারা জানান, অতিরিক্ত লোক তোলার কারণে ট্রলারটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার সময় নানাভাবে ট্রলারের মাঝি ও দালালদের অনুরোধ করেও ট্রলারটি নিরাপদে কূলে আনা যায়নি। কোনো দালালের পরিচয় বা নাম তারা জানেন না বলে জানান।
বালুখালী ক্যাম্পের আরেক রোহিঙ্গা মোহাম্মদ শরীফ জানান, সুখী ও উন্নত জীবনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দালালেরা সাগর পথে তাদের মালয়েশিয়া নিয়ে যাচ্ছিল। সেখানে পৌঁছার পর চার লাখ টাকা দেওয়ার শর্তে তিনি যাচ্ছিলেন। ট্রলারের ভাড়া হিসেবে ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া, শামলাপুর, মাথাভাঙ্গা, বড়ডেইল, হলবনিয়া ও জাহাজপোড়াসহ কয়েকটি এলাকার সমুদ্র তীর থেকে প্রতিনিয়ত ট্রলারে করে সাগরপথে মানব পাচার হয়ে আসছে। সম্প্রতি চক্রটি আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ বলেন, এ ঘটনায় চার দালালকে আটক করা হয়েছে। তাদের পরিচয় ও সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় কিছু মানুষও জড়িত। দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি রোহিঙ্গা ও সাধারণ মানুষকে লোভে ফেলে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করছে।
টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে. আশিক আহমেদ বলেন, ‘ট্রলারডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত তিন নারীর মরদেহ ও ৪৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার ভোরে টেকনাফের বাহারছড়া সমুদ্র উপকূলে প্রায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারটি ডুবে যায়। এ পর্যন্ত উম্মে সালমাসহ তিন যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আট নারীসহ ৪৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লেদা রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের রশিদ আহমদের ছেলে ইয়াসির আরাফাত (১৮) ও মেয়ে উম্মে সালমা (১৯)। তাঁরা চার দিন আগে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ক্যাম্প থেকে বের হয়েছিলেন। তিন দিন টেকনাফের পাহাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে রাখার পর দালালেরা তাঁদের ট্রলারে তোলেন। সাগর পথে দুই ঘণ্টা যাত্রার পর তাঁদের ট্রলার ডুবে যায়। এতে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে দুই ভাইবোন সাঁতার কেটে কূলে ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু সালমা সাঁতার না জানায় তাঁকে ধরে রাখা যায়নি। বোনকে সাগরে ছেড়ে দিয়ে কূলে ফিরে আসেন ইয়াসির আরাফাত।
বোনের মরদেহের পাশে বসে ইয়াসির কেঁদে কেঁদে কথাগুলো বলছিলেন। তাঁর চোখে-মুখে কষ্ট ও আতঙ্কের ছাপ। ইয়াসির আরাফাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, দালালেরা টেকনাফের কচ্ছপিয়া এলাকায় ছোট একটি ট্রলারে তাঁদের তুলে দেয়। প্রায় দুই ঘণ্টা চলার পর গভীর সাগরে একটি বড় মাছ ধরার ট্রলারে তোলে। ট্রলারটি ছিল লক্কড়-ঝক্কড়। ট্রলারের ভেতরে জায়গা হচ্ছিল না। এ সময় বরফ রাখার ঘরে নেওয়া হয়। দালালের লোকজন হন্তা দিয়ে বরফ ভেঙে ফেলার সময় ট্রলারের তলা ফুটো হয়ে যায়। এতে ট্রলারটি ডুবে যেতে থাকে। এ সময় জীবন বাঁচাতে যে যেভাবে পারে সাগরে ঝাঁপ দেয়।
জীবিত ফিরে আসেন শাহ আলম (২৭)। তাঁর বাড়ি উখিয়ার বালুখালী ১০ নম্বর ক্যাম্পে। তিনি বলেন, ‘১০ দিন আগে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছি। উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ে ঘোরাঘুরির পর সোমবার রাতে ট্রলারে তোলা হয়েছিল।’
তাঁদের মতো, কেউ তিন দিন, কেউ সাত দিন, কেউ ১০ দিন পাহাড়ে অবস্থানের পর ট্রলারে করে মালয়েশিয়া রওনা হয়েছিলেন। বেশির ভাগই তরুণ-তরুণী। কেউ ১০ হাজার, কেউ ২০ হাজার টাকা চুক্তিতে মালয়েশিয়া যাচ্ছিল বলে জানান উদ্ধার রোহিঙ্গারা।
রোহিঙ্গারা জানান, অতিরিক্ত লোক তোলার কারণে ট্রলারটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার সময় নানাভাবে ট্রলারের মাঝি ও দালালদের অনুরোধ করেও ট্রলারটি নিরাপদে কূলে আনা যায়নি। কোনো দালালের পরিচয় বা নাম তারা জানেন না বলে জানান।
বালুখালী ক্যাম্পের আরেক রোহিঙ্গা মোহাম্মদ শরীফ জানান, সুখী ও উন্নত জীবনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দালালেরা সাগর পথে তাদের মালয়েশিয়া নিয়ে যাচ্ছিল। সেখানে পৌঁছার পর চার লাখ টাকা দেওয়ার শর্তে তিনি যাচ্ছিলেন। ট্রলারের ভাড়া হিসেবে ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া, শামলাপুর, মাথাভাঙ্গা, বড়ডেইল, হলবনিয়া ও জাহাজপোড়াসহ কয়েকটি এলাকার সমুদ্র তীর থেকে প্রতিনিয়ত ট্রলারে করে সাগরপথে মানব পাচার হয়ে আসছে। সম্প্রতি চক্রটি আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ বলেন, এ ঘটনায় চার দালালকে আটক করা হয়েছে। তাদের পরিচয় ও সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় কিছু মানুষও জড়িত। দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি রোহিঙ্গা ও সাধারণ মানুষকে লোভে ফেলে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করছে।
টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে. আশিক আহমেদ বলেন, ‘ট্রলারডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত তিন নারীর মরদেহ ও ৪৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার ভোরে টেকনাফের বাহারছড়া সমুদ্র উপকূলে প্রায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারটি ডুবে যায়। এ পর্যন্ত উম্মে সালমাসহ তিন যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আট নারীসহ ৪৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
ঝিনাইদহ সদরের নতুন বাড়ি এলাকায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে আল আমিন (২৫) নামের এক ট্রাকচালকের নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও ৩ জন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাজেদুল লস্কর (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে তার চাচাতো ভাই আপেল লস্করের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি লস্কর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সাজেদুল লস্করকে আটক করেছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আউয়াল কবির বিষয়টি নিশ
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল দিত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার একটি রেস্তোরাঁর কর্মী তোফাজ্জল হোসেন। অর্থের অভাবে লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন রেস্তোরাঁয়।
১ ঘণ্টা আগে