জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
সংগঠন মানবিক চট্টলার পক্ষ থেকে ফ্রি অক্সিজেনসেবা দেওয়া হয় করোনা রোগীদের। তাদের সক্ষমতার চেয়ে প্রতিদিন চার গুণ রোগীর অক্সিজেনের অনুরোধ আসছে। সক্ষমতা বাড়াতে সিলিন্ডারের জন্য ৪টি দোকান ঘোরেন সংগঠনটির সভাপতি মোশরাফুল হক চৌধুরী পাবেল। কিন্তু অক্সিজেন সিলিন্ডার পাননি। ৬টি দোকান ঘুরে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ইউসুফ চৌধুরীও অক্সিজেন সিলিন্ডার পাননি। ৪ হাজার টাকার ১৩ লিটারের সিলিন্ডার ১৭ হাজার টাকা দিতেও রাজি ছিলেন। তিনি ব্যক্তিগত পর্যায়ে ফ্রি অক্সিজেন সেবা দিয়ে থাকেন। চট্টগ্রামজুড়ে অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য চলছে হাহাকার।
চট্টগ্রামে অক্সিজেনের সিলিন্ডার সংকটের বিষয়টি জেঁকে এন্টারপ্রাইজের মালিক জামাল উদ্দিনের মুখেই শোনা যাক। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে অবস্থিত দোকানটিতে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি ও রিফিল করা হয়। জামাল উদ্দিন এই ব্যবসায় প্রায় ১৫ বছর। তিনি বলেন, বাড়তি টাকা দিয়ে আমরা নিজেরাও সিলিন্ডার পাচ্ছি না। জানুয়ারি-মার্চের দিকে যেখানে ১৫টির মতো অক্সিজেন সিলিন্ডারের চাহিদা ছিল, সেটি এখন ৮০–এর ওপর চাহিদা। এমন দিনও গেছে ১৫০ জনের বেশি মানুষ অক্সিজেন সিলিন্ডার চেয়েছেন। কিন্তু আমরা দিতে পারছি না।
শুধু সিলিন্ডার নয়, অক্সিজেন রেগুলেটরের দামও আকাশচুম্বী। ৭০০ টাকার এই যন্ত্রটি এখন ১৫০০ টাকায় বলে জানান জামাল উদ্দিন।
পাঁচলাইশের অক্সিজেন সিলিন্ডার দোকান আছে চারটি। পাশের চকবাজার কাতালগঞ্জে আছে দুটি। এসব দোকান ঘুরে জানা যায়, দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাধারণের জন্য বিক্রি বন্ধ রাখায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংকট দেখা দিয়েছে। সিলিন্ডার সংকটের আরও একটি বড় কারণ কয়েক মাস আগে ভারত সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সিলিন্ডারের চাহিদা ছিল। ওই সময় চট্টগ্রামে যা মজুত ছিল এর বেশিরভাগই ব্যবসায়ীরা বিক্রি করে দিয়েছেন।
স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের ডিস্ট্রিবিউটর মো. আজম খান বলেন, আমরা এ মুহূর্তে শুধু সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করছি।
সিলিন্ডার ব্যবসায়ী আসহাব উদ্দিন জানান, উত্তরবঙ্গে করোনা মহামারির সময় তিনি নিজেই দেড় শ টির মতো সিলিন্ডার বিক্রি করে দেন। এখন তার মজুত আছে ৫০টি। যেগুলো বিভিন্ন রোগী ব্যবহার করছেন। একইভাবে বিক্রি করে দিয়েছেন জামাল উদ্দিনও। এখন তারা সিলিন্ডার বিক্রি করছেন না, শুধু গ্রাহকদের অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো রিফিল করে দিচ্ছেন।
চট্টগ্রামে সংকট তৈরি হয়েছে ১০-১৫ লিটার ধারণ ক্ষমতার সিলিন্ডারের। কারণ এসব সিলিন্ডার মাঝারি ধরনের হওয়ায় সহজে বহনযোগ্য। করোনা রোগীরা সাধারণত বাসায় এসব সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন। আবার অনেক রোগী অপ্রয়োজনে ব্যবহার করছে। অনেকে মজুত করে রাখায় সংকট তৈরি হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আবদুর রব মাসুম বলেন, অনেক রোগীর অক্সিজেন ৯০-৯৫। অথচ তারা ৫-৬ লিটার অক্সিজেন লাগিয়ে ফেলে। এটি ঠিক নয়। চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অক্সিজেন সিলিন্ডার যাতে বিক্রি না করে, সে বিষয়ে প্রশাসনকে নজর দিতে হবে।
সংগঠন মানবিক চট্টলার পক্ষ থেকে ফ্রি অক্সিজেনসেবা দেওয়া হয় করোনা রোগীদের। তাদের সক্ষমতার চেয়ে প্রতিদিন চার গুণ রোগীর অক্সিজেনের অনুরোধ আসছে। সক্ষমতা বাড়াতে সিলিন্ডারের জন্য ৪টি দোকান ঘোরেন সংগঠনটির সভাপতি মোশরাফুল হক চৌধুরী পাবেল। কিন্তু অক্সিজেন সিলিন্ডার পাননি। ৬টি দোকান ঘুরে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ইউসুফ চৌধুরীও অক্সিজেন সিলিন্ডার পাননি। ৪ হাজার টাকার ১৩ লিটারের সিলিন্ডার ১৭ হাজার টাকা দিতেও রাজি ছিলেন। তিনি ব্যক্তিগত পর্যায়ে ফ্রি অক্সিজেন সেবা দিয়ে থাকেন। চট্টগ্রামজুড়ে অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য চলছে হাহাকার।
চট্টগ্রামে অক্সিজেনের সিলিন্ডার সংকটের বিষয়টি জেঁকে এন্টারপ্রাইজের মালিক জামাল উদ্দিনের মুখেই শোনা যাক। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে অবস্থিত দোকানটিতে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি ও রিফিল করা হয়। জামাল উদ্দিন এই ব্যবসায় প্রায় ১৫ বছর। তিনি বলেন, বাড়তি টাকা দিয়ে আমরা নিজেরাও সিলিন্ডার পাচ্ছি না। জানুয়ারি-মার্চের দিকে যেখানে ১৫টির মতো অক্সিজেন সিলিন্ডারের চাহিদা ছিল, সেটি এখন ৮০–এর ওপর চাহিদা। এমন দিনও গেছে ১৫০ জনের বেশি মানুষ অক্সিজেন সিলিন্ডার চেয়েছেন। কিন্তু আমরা দিতে পারছি না।
শুধু সিলিন্ডার নয়, অক্সিজেন রেগুলেটরের দামও আকাশচুম্বী। ৭০০ টাকার এই যন্ত্রটি এখন ১৫০০ টাকায় বলে জানান জামাল উদ্দিন।
পাঁচলাইশের অক্সিজেন সিলিন্ডার দোকান আছে চারটি। পাশের চকবাজার কাতালগঞ্জে আছে দুটি। এসব দোকান ঘুরে জানা যায়, দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাধারণের জন্য বিক্রি বন্ধ রাখায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংকট দেখা দিয়েছে। সিলিন্ডার সংকটের আরও একটি বড় কারণ কয়েক মাস আগে ভারত সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সিলিন্ডারের চাহিদা ছিল। ওই সময় চট্টগ্রামে যা মজুত ছিল এর বেশিরভাগই ব্যবসায়ীরা বিক্রি করে দিয়েছেন।
স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের ডিস্ট্রিবিউটর মো. আজম খান বলেন, আমরা এ মুহূর্তে শুধু সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করছি।
সিলিন্ডার ব্যবসায়ী আসহাব উদ্দিন জানান, উত্তরবঙ্গে করোনা মহামারির সময় তিনি নিজেই দেড় শ টির মতো সিলিন্ডার বিক্রি করে দেন। এখন তার মজুত আছে ৫০টি। যেগুলো বিভিন্ন রোগী ব্যবহার করছেন। একইভাবে বিক্রি করে দিয়েছেন জামাল উদ্দিনও। এখন তারা সিলিন্ডার বিক্রি করছেন না, শুধু গ্রাহকদের অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো রিফিল করে দিচ্ছেন।
চট্টগ্রামে সংকট তৈরি হয়েছে ১০-১৫ লিটার ধারণ ক্ষমতার সিলিন্ডারের। কারণ এসব সিলিন্ডার মাঝারি ধরনের হওয়ায় সহজে বহনযোগ্য। করোনা রোগীরা সাধারণত বাসায় এসব সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন। আবার অনেক রোগী অপ্রয়োজনে ব্যবহার করছে। অনেকে মজুত করে রাখায় সংকট তৈরি হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আবদুর রব মাসুম বলেন, অনেক রোগীর অক্সিজেন ৯০-৯৫। অথচ তারা ৫-৬ লিটার অক্সিজেন লাগিয়ে ফেলে। এটি ঠিক নয়। চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অক্সিজেন সিলিন্ডার যাতে বিক্রি না করে, সে বিষয়ে প্রশাসনকে নজর দিতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৫ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৫ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৬ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে