ঈদ উপহার ফেরত পাঠিয়েছে স্বামীর পরিবার, পরদিন গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৪, ২১: ৫০
Thumbnail image

লক্ষ্মীপুরে বাবার বাড়ি থেকে দেওয়া ঈদ উপহারের সেমাই-চিনি ও জামা-কাপড় স্বামীর পরিবার ফেরত পাঠানোর পরদিন গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত তাসনুর আক্তার মুন্নি (১৯) নোয়াখালী সদর উপজেলার সুধারাম থানার পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে। 

আজ বুধবার সকালে সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের নলডগী গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে মুন্নির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

পরিবার সূত্র জানায়, প্রায় দেড় বছর আগে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নলডগী গ্রামের নাজমুল হকের ছেলে গাছ ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে মুন্নির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে রিয়া মনি নামে ১ মাস ৫ দিন বয়সী সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে ঈদসহ বিভিন্ন সময় মুন্নিকে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে উপহারের জন্য চাপ দিত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সাধ্যমতো মুন্নির বাবার উপহার দিতেন। এবার ঈদ উপলক্ষে সেমাই-চিনিসহ প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ও স্বামী-শ্বশুরের জন্য নতুন জামা-কাপড় যথাসময়ে পাঠানোও হয়। কিন্তু সেমাই-চিনি ও জামা-কাপড় কম হওয়ার অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার তা ফেরত পাঠায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আজ ভোরের দিকে পরিবারের কাছে খবর যায় মুন্নি আত্মহত্যা করেছেন। 

মুন্নির ফুফাতো ভাই লুৎফুর রহমান বলেন, বিভিন্ন সময় উপহারের জন্য মুন্নিকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন চাপ দিত। বিয়ের পর থেকেই এ অবস্থা। এবার ঈদ উপলক্ষে নতুন জামা-কাপড়, সেমাই-চিনিসহ অন্য খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়। কিন্তু পরিমাণে কম বলে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তা ফেরত পাঠায়। ধারণা করা হচ্ছে, এ নিয়ে মুন্নিকে মানসিক নির্যাতন করা হয়। পরে তাঁকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। 

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তখন প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত