ঈদে বাড়ি ফিরে নিখোঁজ কিশোর, পরদিন পুকুরে ভেসে উঠল গলাকাটা লাশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ২০: ৪০
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ২১: ০৮

ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় জাহিদুল ইসলাম নামে এক কিশোর। তাকে নৃশংসভাবে গলা কেটে জবাই করা হয়। বুক, পেটে ছুরিকাঘাত করে ভুঁড়ি বের করে ফেলা হয়েছে। দুই হাতের কবজির রগ কেটে দেওয়া হয় এবং দুই কানের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়েছে। এতেই ক্ষান্ত হয়নি দুর্বৃত্তরা, পরে লাশ পুকুরের পানিতে ফেলে দেয় তারা।

আজ মঙ্গলবার স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে সদর উপজেলার সুলতানপুর পূর্ব পাড়ার ওই পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হলে জাহিদুল ইসলামকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত কিশোর সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের দক্ষিণ জগৎসার গ্রামের অটোরিকশাচালক এলাছ মিয়ার ছেলে।

ওসি এমরানুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাহিদুল ইসলামের (১৬) বাবা এলাছ মিয়া পেশায় অটোরিকশার চালক। তাঁর চার ছেলে সন্তান রয়েছে। জীবিকার তাগিদে এরই মধ্যে জাহিদুলসহ তিন ছেলে চট্টগ্রামে বেকারিতে কাজ করে। গত ১৭ রমজান ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসে সে। গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হলে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। সকালে সুলতানপুরে একটি পুকুরে তার লাশ পাওয়া যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিহত জাহিদুলের গলা কেটে জবাই করা হয়েছে। বুক ও পেটে ছুরিকাঘাত করে ভুঁড়ি বের করে ফেলা হয়েছে। দুই হাতের কবজির রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। দুই কানের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত